BN/Prabhupada 0001 - এক কোটি পর্যন্ত ছড়িয়ে দিন

The printable version is no longer supported and may have rendering errors. Please update your browser bookmarks and please use the default browser print function instead.


Lecture on CC Adi-lila 1.13 -- Mayapur, April 6, 1975

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সমস্ত আচার্যদের নির্দেশ দিয়েছেন ... নিত্যানন্দ প্রভু, অদ্বৈত প্রভু এবং শ্রীবাস আদি সমস্ত গৌরভক্তবৃন্দ, তারা সকলেই ছিলেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আজ্ঞাবাহক ভৃত্য। তাই আচার্য-পন্থা অনুসরণ করার চেষ্টা করুন। তাহলেই জীবন সফল হবে। আচার্য হওয়া খুব একটা কঠিন নয়। সর্বপ্রথমে, আপনার আচার্যের একজন বিশ্বস্ত সেবক হতে হলে, তিনি যা বলছেন তা নিষ্ঠা সহকারে পালন করুন। তাঁকে প্রীত করার চেষ্টা করুন এবং কৃষ্ণভাবনামৃত প্রসার করুন। ব্যাস্। এটা আদৌ কঠিন কিছু নয়। আপনার গুরুদেবের নির্দেশ অনুসরণ করার চেষ্টা করুন এবং কৃষ্ণভাবনামৃত প্রসার করুন। সেটিই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আজ্ঞা।

আমার আজ্ঞায় গুরু হঞা তার' এই দেশ,

যারে দেখ তারে কহ 'কৃষ্ণ'-উপদেশ। (চৈ.চ.মধ্য ৭.১২৮)

"আমার আজ্ঞায় এই গুরু দায়িত্ব গ্রহণ কর।" এবং যদি আমরা নিষ্ঠাসহকারে আচার্য-পদ্ধতি অনুসরণ করি এবং শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ প্রচার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি, যারে দেখ তারে কহ 'কৃষ্ণ'- উপদেশ (চৈ.চ.মধ্য ৭.১২৮) দুই ধরনের কৃষ্ণ-উপদেশ রয়েছে। উপদেশ কথাটির অর্থ হল শিক্ষা। শ্রীকৃষ্ণ যে শিক্ষা প্রদান করেন, সেটিও কৃষ্ণ উপদেশ, এবং শ্রীকৃষ্ণ বিষয়ে প্রাপ্ত যে শিক্ষা, সেটিও 'কৃষ্ণ উপদেশ। কৃষ্ণস্য উপদেশ ইতি কৃষ্ণ উপদেশ। সমাস, ষষ্ঠী-তৎপুরুষ সমাস। এবং শ্রীকৃষ্ণ বিষয়ে উপদেশ, সেটিও কৃষ্ণউপদেশ। বহুব্রীহি সমাস। এই হল সংস্কৃত ব্যাকরণ বিশ্লেষণ করার পদ্ধতি। সুতরাং শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ হচ্ছে ভগবদ্গীতা। তিনি নিজে সরাসরি শিক্ষা দিচ্ছেন। সুতরাং যিনি কৃষ্ণ উপদেশ প্রচার করছেন... শ্রীকৃষ্ণ যা বলেছেন কেবলমাত্র সেটিই পুনরাবৃত্তি করুন, তাহলে আপনিও আচার্য হবেন। এসব আদৌ কঠিন নয়। সবকিছুই শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। আমাদের কেবল তোতাপাখির মত পুনরাবৃত্তি করতে হবে। একদম তোতাপাখি নয়। তোতাপাখি কোন অর্থ বোঝে না; সে শুধু পুনরাবৃত্তি করে। কিন্তু আপনাকে অর্থও বুঝতে হবে; অন্যথায় আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? তাই আমরা এই কৃষ্ণভাবনামৃতের প্রসার ঘটাতে চাই। কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশাবলী খুব সুন্দরভাবে, কোনও অপব্যাখ্যা ছাড়াই পুনরাবৃত্তি করা যায়, সে ব্যপারে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলুন। তাহলে ভবিষ্যতে.... ধরুন, আপনার কাছে এখন দশ হাজার মানুষ রয়েছে। সেখান থেকে আমরা এক লাখে বিস্তার করব। সেটিই চাই। তারপর এক লাখ থেকে দশ লাখ, এবং দশ লাখ থেকে এক কোটি।

ভক্তবৃন্দঃ হরিবোল ! জয় !

সুতরাং এইভাবে আচার্যের আর কোন অভাব হবে না, এবং লোকেরা অনেক সহজেই কৃষ্ণভাবনামৃত বুঝতে পারবে। সুতরাং এইরকম সংস্থা গড়ে তুলুন। মিথ্যা গর্বে স্ফীত হবেন না। আচার্যগণের শিক্ষাধারা অনুসরণ করুন এবং এইভাবে নিজেকে আদর্শ ও পরিপক্ক করে তুলুন। তাহলে মায়াকে যুদ্ধে পরাস্ত করা খুবই সহজ হবে। হ্যাঁ। আচার্যগণ, তারা মায়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।