BN/Prabhupada 0030 - শ্রীকৃষ্ণ শুধুই উপভোগ করছেন

The printable version is no longer supported and may have rendering errors. Please update your browser bookmarks and please use the default browser print function instead.


Sri Isopanisad, Mantra 2-4 -- Los Angeles, May 6, 1970

ভগবানের যদিও তাঁর নিজ আলয়ে অবিস্থিত, তবুও মনের থেকে দ্রুত, এবং সকল গতিকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন। শক্তিশালী দেবতারাও তাঁর কাছে যেতে পারেন না। যদিও তিনি এক জায়গায় স্থিত, তবুও যারা বায়ু, বৃষ্টি ইত্যাদি সরবরাহ করেন, তাদের উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তিনি সবকিছু দারুণভাবে অতিক্রম করেন।" এটি ব্রহ্ম-সংহিতাতেও বলা আছেঃ গোলক এব নিবসতি অখিলাত্মভূত" (ব্রহ্মসংহিতা ৫.৩৭) শ্রীকৃষ্ণ, যদিও সর্বদা গোলক বৃন্দাবনে আছেন, তাঁর করণীয় কিছুই নেই। তিনি কেবল তার পার্ষদদের সাথে আনন্দ উপভোগ করছেন, গোপীদের এবং রাখাল বালকদের সঙ্গে, তাঁর মা, তাঁর বাবার সাহচর্য উপভোগ করেন। মুক্ত, সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। এবং যারা তাঁর পার্ষদ, তারা আরও মুক্ত। কারণ যখন তাঁর পার্ষদেরা বিপদে পড়েন, শ্রীকৃষ্ণ কিছুটা উদ্বিগ্ন হন কিভাবে তাদেরকে রক্ষা করবেন, কিন্তু পার্ষদেরা, তাদের কোনও দুশ্চিন্তা নেই। "ওহ, এইতো কৃষ্ণ।" দেখুন। (মৃদু হাসি) পার্ষদেরা, তাদের কোন দুশ্চিন্তাই নেই। যে কোন কিছু ঘটছে না কেন, আপনি কৃষ্ণ-গ্রন্থটি পাঠ করে দেখবেন - অনেক অনেক বিপদ। বালকেরা শ্রীকৃষ্ণের সাথে প্রতিদিন তাদের গাভী এবং বাছুরগুলি সাথে নিয়ে যেতেন। এবং যমুনার তীরে বনে বনে তাঁরা খেলা করতেন, আর কংস তাঁদেরকে ধ্বংস করার জন্য কিছু রাক্ষস পাঠাতো। আপনারা দেখেছেন, আপনি ছবিগুলোও দেখবেন। তাঁরা অনেক আনন্দ উপভোগ করতেন কারণ তাঁরা এতোটাই নিশ্চিত ছিলেন। এই হচ্ছে পারমার্থিক জীবন। অবশ্য রক্ষিবে কৃষ্ণ বিশ্বাস পালন। এই দৃঢ় বিশ্বাস, " যেকোনো ভয়ানক বিপদে, শ্রীকৃষ্ণই আমাকে রক্ষা করবেন," এটি হচ্ছে আত্মসমর্পণ।

আত্মসমর্পণের ছয়টি স্তর রয়েছে। প্রথমত হল যে, কোনটি ভক্তিমূলক সেবার অনুকূল আমাদের শুধু সেটিই গ্রহণ করা উচিৎ। , ভক্তিমূলক সেবার জন্য প্রতিকূল এমন যে কোন কিছু আমরা পরিত্যাগ করব। এর পর হচ্ছে ভগবানের ভগবানের পার্ষদদের সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করানো। ঠিক যেমন শ্রীকৃষ্ণের অনেক অনেক পার্ষদ রয়েছেন, আপনিও হতে পারেন... তা অবশ্যই.....কৃত্রিমভাবে নয়। যখন আপনি উন্নত হবেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে শ্রীকৃষ্ণের সাথে আপনার সম্পর্ক কি। যদি আপনি সেই সঙ্গের সাথে নিজেকে পরিচিত করান, তাহলে পরবর্তী স্তর হল দৃঢ়বিশ্বাস যে, "শ্রীকৃষ্ণ আমাকে রক্ষা রবেন।" আসলে তিনি সবাইকে রক্ষা করছেন। এটাই হচ্ছে প্রকৃত সত্য। কিন্তু মায়ার প্রভাবে আমরা মনে করি যে আমরা নিজেরাই আমাদেরকে রক্ষা করছি, আমরাই আমাদেরকে খাওয়াচ্ছি। না, আসলে তা নয়।