BN/Prabhupada 0086 - কেন বৈষম্য

The printable version is no longer supported and may have rendering errors. Please update your browser bookmarks and please use the default browser print function instead.


Sri Isopanisad, Mantra 9-10 -- Los Angeles, May 14, 1970

কেন আমরা অনেক আলাদা ব্যক্তিত্ব খুঁজে পাই? যদি তারা কফ, পিত্ত এবং বায়ু্র সংমিশ্রণ হয়, তাহলে কেন তারা সমান নয়? সুতরাং তারা এই জ্ঞানকে বিকশিত করে না। কেন এমন বৈষম্য? একজন মানুষ কোটিপতি হয়ে জন্মগ্রহণ করেন; আরেকজন মানুষ জন্ম নেয়, সে এমনকি দিনে দুইবার পূর্ণ খাবারও পায় না, যদিও সে খুব কঠিন পরিশ্রম করছেন। কেন এই বৈষম্য? কেন একজনকে এই ধরনের অনুকূল অবস্থার মধ্যে রাখা হয়? আরেকজনকে কেন নয়? সুতরাং কর্মের আইন রয়েছে, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য।

এই হচ্ছে জ্ঞান, সেইজন্য ঈশোপনিষদে বলা হয়েছে যে অন্যদ এবাহুর বিদ্যয়া অন্যদ আহুর অবিদ্যয়া। যারা অজ্ঞানতার মধ্যে রয়েছে, তারা একটি আলাদা ধরনের জ্ঞানের উন্নয়নের জন্য চর্চা করছে, আর যাদের মধ্যে জ্ঞান আছে, তারা অন্যভাবে চর্চা করছে। সাধারন লোকেরা আমাদের কৃষ্ণভাবনামৃতের কাজ পছন্দ করে না। তারা অবাক হয়ে যায়। গর্গমুনি কালকে সন্ধ্যাবেলায় আমাকে বলছিল যে, মানুষরা জিজ্ঞাসা করে, "তোমরা কোথা থেকে এত টাকা পাও? তোমরা অনেক গাড়ি কিনছ এবং অনেক চার্চের সম্পত্তি কিনছ, আর পঞ্চাশ ষাটজন লোককে রোজ ভরণপোষণ করছ, আনন্দ করছ, কি ব্যাপার?" (হাসি) তারা অবাক হয়ে যায়। আর আমরা অবাক হই কেন এই বদমাশগুলো... এত কঠোর পরিশ্রম করে শুধুমাত্র উদরপূর্তির জন্য। সুতরাং ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে, যা নিশা সর্বভূতানাং তস্যাং জাগর্তি সংযমী (ভগবৎ গীতা 2.69)। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এই লোকগুলি ঘুমাচ্ছে, আর তারা দেখছে যে আমরা আমাদের সময় নষ্ট করছি। এটা বিপরীত দৃষ্টিকোন, কেন? কারণ তাদের কর্মপদ্ধতি আলাদা, আমাদের কর্মপদ্ধতি আলাদা। এখন একজন বুদ্ধিমান মানুষের দ্বারা আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যার কার্যকলাপ প্রকৃতপক্ষে সঠিক।

এই ব্যাপারটি বৈদিক শাস্ত্রে খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এখানে আরেকটি, যেমন এই ঈশোপনিষদ আছে , এরকম আরেকটি উপনিশদ আছে , গর্গ উপনিষদ। এটি হচ্ছে একজন স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে আলোচনা, খুব শিক্ষণীয়\। স্বামী স্ত্রীকে শেখাচ্ছে। এতৎ বিদিত্বা যঃ প্রয়াতি স এব ব্রাহ্মণ গার্গী। এতৎ অবিদিত্বা যঃ প্রয়াতি স এব কৃপণা। এই জ্ঞানের বাস্তব সংস্কৃতি, যে কেউ... প্রত্যেকে জন্ম গ্রহণ করে এবং প্রত্যেকে মৃত্যুবরণ করে। এটি সম্পর্কে কোন আলাদা মতামত নেই। আমরা মারা যাব এবং তারা মারা যাবে। তারা বলতে পারে যে, তোমরা জন্ম,মৃত্যু,জরা এবং ব্যাধির চিন্তা করছ। তো তোমরা কি বলতে চাচ্ছ যে, যেহেতু তোমরা কৃষ্ণ ভাবনামৃত জ্ঞানের অনুশীলন করছ, তাই তোমরা প্রকৃতির এই চারটি নিয়মের আক্রমণ থেকে মুক্তি পাবে?" না। এটা তথ্য নয়। তথ্য এটাই, গর্গ উপনিষদে বলা হয়েছে এতৎ বিদিত্বা যঃ প্রয়াতি। যিনি এটা জানার পর দেহ ত্যাগ করেন যে তিনি কে, স এব ব্রাহ্মণ, তিনি ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণ...আমরা তোমাদের পবিত্র উপবীত প্রদান করছি। কেন? তোমরা শুধু জীবনের রহস্যটা কি সেটা বোঝার চেষ্টা কর। এটাই ব্রাহ্মণ । বিজানতঃ। আমরা এই শ্লোকে পড়েছি, বিজানতঃ। যিনি সবকিছু যর্থার্থ রূপে জানার পর এই দেহকে ত্যাগ করেন, তিনি ব্রাহ্মণ।