BN/Prabhupada 0264 - মায়াও কৃষ্ণের সেবা করছে, কিন্তু কোন ধন্যবান নেই

The printable version is no longer supported and may have rendering errors. Please update your browser bookmarks and please use the default browser print function instead.


Lecture -- Seattle, September 27, 1968

তমাল কৃষ্ণঃ মায়া কি একজন শুদ্ধ ভক্ত? মায়া।

প্রভুপাদঃ শুদ্ধ ভক্ত, না, সে মায়ার অধীনে নয়।

তমাল কৃষ্ণঃ না না মায়া, মায়াদেবী একজন শুদ্ধ ভক্ত?

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, নিশ্চয়। পুলিশ বাহিনী, তারা কি সরকারের সৎ কর্মচারী নয়? তার অর্থ কি পুলিশ বাহিনী আপনাকে অত্যাচার করে, তাই তারা সরকারি কর্মচারী নয়? তাদের কাজে কোন ধন্যবাদ পায় না। একইভাবে, মায়াও কৃষ্ণের সেবা করছে, কিন্তু কোন ধন্যবাদ নেই। এটি পার্থক্য। তিনি নাস্তিকদেরকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এই ধন্যবাদহীন কাজ গ্রহণ করেছেন। তাই মায়া যর্থার্থ, এই নয় যে তিনি কৃষ্ণের সংস্পর্শের বাইরে। বৈষ্ণবী। চন্ডী, মায়া গ্রন্থে, এটি বলা হয়েছে যে "বৈষ্ণবী।" মায়াকে বর্ণনা করা হয়েছে বৈষ্ণবী বলে। যেমন শুদ্ধ ভক্তকে বৈষ্ণব বলা হয়, তাকেও বৈষ্ণবী বলা হয়। বিষ্ণুজনঃ আপনি সবকিছু কিভাবে এত সহজ করে দেন বোঝার জন্য? প্রভুপাদঃ কারণ পুরো দর্শনটি খুব সহজ। ভগবান মহান, আপনি মহান নন। কখনো নিজেকে ভগবান বলে মনে করো না। কখনো বলো না ভগবান নেই। ভগবান আছেন এবং তিনি মহান এবং তুমি ক্ষুদ্র। তাহলে তোমার অবস্থান কি? তোমাকে কৃষ্ণের সেবা করতে হবে। এটা সহজ সত্য। তাই বিদ্রোহী মনোভাবকে মায়া বলা হয়। যে কেউ ঘোষণা করে যে "ভগবান নেই, ভগবান মৃত। আমি ভগবান, আপনি ভগবান।" তারা সব মায়ার জাদুর অধীনে হয়। পিশাচী পাইলে যেন মতিছন্ন হয়। যখন একজন মানুষ ভূতগ্রস্ত হয়, তখন সে আজেবাজে বকতে থাকে এই সমস্ত লোক মায়াগ্রস্ত, এবং তাই তারা বলে, ভগবান মরে গেছে। আমিই ভগবান। তোমরা কেন সব জায়গায় ভগবান খুঁজছ? রাস্তায় অনেক ভগবান ঘুরে বেড়াচ্ছে।" এরা সব ভুতগ্রস্ত এই কারণে আমাদের তাদেরকে এই চিন্ময় শব্দতরঙ্গের দ্বারা, হরে কৃষ্ণ দ্বারা ঠিক করতে হবে। এটিই একমাত্র চিকিৎসা ওদের শুধু কথা শুনতে দিন এবং ফলে ওরা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। ঠিক যেমন একজন মানুষ গভীর ঘুমের মধ্যে আছেন, আপনি তার কানের কাছে গিয়ে কথা বলবেন এবং তিনি উঠে পড়বেন। তাই এই মন্ত্র ঘুমিয়ে থাকা মানব সমাজকে জাগ্রত করার জন্য উত্তিষ্ঠ উত্তিষ্ঠ জাগ্রত প্রাপ্য বরান্‌ নিবোধত। বেদে বলেছে, " হে মানব জাতি দয়া করে ওঠ। আর ঘুমিয়ে থেকো না। তোমরা এই মানুষের শরীরের এই সুযোগ পেয়েছ। এটির সদ্ব্যবহার কর। নিজেকে মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত কর।" এই হচ্ছে বেদের ঘোষণা। সুতরাং আপনি সেই কাজ করছেন। হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ জপ করো আর তারা

ভক্ত...হরে কৃষ্ণের!

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ?

জয় গোপালঃ অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ এর কি এটা জড় অর্থে, বিকৃত প্রতিফলন,

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতের বিভিন্ন ধরনের আপেক্ষিকতা অনুযায়ী। এটি একটি বৈজ্ঞানিক প্রমাণ। প্রফেসর আইনস্টাইন এটা প্রমাণিত করেছেন। যেমন আপনার অতীত ব্রহ্মার অতীত নয়। আপনার বর্তমান একটি পিঁপড়ের বর্তমান নয়। অতএব, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ - সময় শাশ্বত। এটি শরীরের আপেক্ষিকতার বিভিন্ন মাত্রা অনুযায়ী। সময় অসীম। যেমন একটি ছোট পিঁপড়ে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে চব্বিশ বার তার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত হয়। স্পুটনিক করে, রাশিয়ান স্পুটনিক করে, তারা এই পৃথিবীকে ঘূর্ণন করে এক ঘন্টা বা পঁচিশ মিনিটের মধ্যে এরকম কিছু। তারা, আমি বলতে চাচ্ছি, পঁচিশ বার পৃথিবীর চারপাশে ঘোরা। এর অর্থ হল এক ঘণ্টার মধ্যে, পঁচিশ মিনিটের মধ্যে, সকাল ও রাত স্পুটনিকের লোকটি পঁচিশ বার দেখে। তাই উচ্চ বায়ুমন্ডলে অতীত এবং বর্তমান ভিন্ন। তাই এই অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত আপনার শরীর অনুযায়ী আপেক্ষিক হয়, পরিস্থিতি অনুযায়ী। প্রকৃতপক্ষে, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ নেই। সবকিছু শাশ্বত। তুমি নিত্য, নিত্য শাশ্বত "অহং না হন্যতে হন্যমানে শরীরে (ভ.গী ২.২০)। তুমি মরবে না তাই ... মানুষ জানে না যে আমি শাশ্বত। আমার শাশ্বত সম্পর্ক কি? আমার শাশ্বত জীবন কি? তারা কেবল বর্তমান জীবন দ্বারা মুগ্ধ হয়: "আমি আমেরিকান," "আমি ভারতীয়," "আমি এই," "আমি সেই।" ব্যাস। এটা অজ্ঞতা। তাই আমাদের কৃষ্ণের সাথে এই শাশ্বত সম্পর্ক খুঁজে পেতে হবে। তাহলে তিনি খুশি হবেন। ধন্যবাদ।