BN/Prabhupada 1014 - এক কৃত্রিম ভগবান তাঁর শিষ্যকে শিখাচ্ছিলেন এবং তিনি বৈদ্যুতিক ঝাঁকুনি অনুভব করছেন

The printable version is no longer supported and may have rendering errors. Please update your browser bookmarks and please use the default browser print function instead.


750626 - Lecture SB 06.01.13-14 - Los Angeles

আপনার কাছে দুই লাখ ডলার থাকতে পারে; আমার কাছে দশ ডলার থাকতে পারে; আপনার কাছে একশত ডলার থাকতে পারে। প্রত্যেকেরই কিছু ধন আছে। এটা সবাই জানে। কিন্তু কেউ বলতে পারে না যে "আমার কাছে সব ধন আছে"। সেটা সম্ভব না। যদি কেউ বলে "আমার কাছে সব ধন আছে," তিনি ভগবান। এটি কৃষ্ণ বলছেন, বিশ্বের ইতিহাসে কেউ কখনো তা বলেনি। কৃষ্ণ বলেছেন ভোক্তারাং যজ্ঞ তপস্যাং সর্ব লোক মহেশ্বরম (ভ.গী.৫.২৯) "আমি সবকিছুর ভোক্তা এবং আমি সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডের মালিক।" কে এটা বলতে পারে? তিনি হচ্ছেন ভগবান। ঐশ্বর্যস্য সমগ্রস্য। সমগ্র মানে সব, যেটা আংশিক নয়, যে "আমার কাছে এত আছে। এখন আমি বিতরণ করছি।" আমি নাম উল্লেখ করতে চাই না - একজন কৃত্রিম ভগবান, তিনি তাঁর শিষ্যকে শেখাচ্ছিলেন এবং শিষ্য বৈদ্যুতিক ঝঁটকা অনুভব করেন। তাই দুর্ভাগ্যবশত, আমি আপনাদের বৈদ্যুতিক ঝঁটকা দিতে পারব না। (হাসি) আপনারা বুঝতে পারছেন? বৈদ্যুতিক ঝঁটকা এবং তারা বৈদ্যুতিক ঝঁটকা দ্বারা বেহুঁশ হচ্ছিলেন। এবং এই কথাগুলি সর্বজনীনভাবে লিখিত হয় এবং বোকা লোকেরা তা গ্রহণ করছে। কেন শিক্ষক বৈদ্যুতিক ঝঁটকা দেবে? শাস্ত্রে কোথায় উল্লিখিত আছে? (হাসি) কিন্তু এই কথাগুলি, আজাবাজে কথা বলা হয়। বৈদ্যুতিক ঝঁটকা। এবং যখন তিনি বেহুশ হন, তখন ভগবান বসেন, এবং যখন তার হুঁশ হয়, তখন শিষ্যরা ভগবানকে জিজ্ঞাসা করেন, "মহাশয়, আপনি কাঁদছেন কেন?" "এখন আমি সবকিছু শেষ করে দিয়েছি। আমি তোমাকে সবকিছু দিয়েছি।" শুধু দেখুন। একজন শিক্ষকের কি সবকিছু শেষ হয়ে যায়, শিষ্যকে পড়ালে? এইরকম চলছে। তাই কৃষ্ণ এই ধরনের ভগবান নয়, যে "আমি সব কিছু শেষ করে দিয়েছি।" পূর্ণস্য পুর্ণমাদায় পূর্নমেবা বশিষ্যতে (ঈশপ.)এটি ভগবানের সংজ্ঞা। ভগবান এত পূর্ণ যে এমনকি যদি আপনি তাঁর সব সম্পদ নিয়েও নেন, তবুও তিনি পূর্ণ। এই হচ্ছে ভগবান, এইরকম না যে "আমি আমার স্টক শেষ করে দিয়েছি।"

তাই বুদ্ধিমান মানুষকে বৈদিক তথ্য থেকে জানতে হবে যে ভগবান কে। ভগবান সৃষ্টি করবেন না। সৃষ্টি, কিভাবে আমরা ভগবান সৃষ্টি করতে পারি? সেটা সম্ভব না। তাই বলা হয় মন-ধর্ম। মানসিক জল্পনাকল্পনা দ্বারা, মানসিক ধারণা দ্বারা , আমরা ভগবান তৈরি করতে পারি না। এখানে ভগবানের সংজ্ঞা, যে ঈশাবাস্য মিদং সর্বম যৎ কিঞ্চিদ জগতং জগৎ (ঈ.শ.প ১) ইদং সর্বম। সর্বম মানে যাকিছু আপনি দেখবেন। আপনি বড় প্রশান্ত মহাসাগর দেখুন। এটা ভগবান দ্বারা তৈরি করা। এটা এমন নয় যে তিনি এক প্রশান্ত মহাসাগর তৈরি করেছেন, তাই তার সব রাসায়নিক পদার্থ, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন, শেষ হয়ে গেছে। না। লক্ষ লক্ষ এবং কোটি কোটি প্রশান্ত মহাসাগর আকাশে ভাসছে। এটা ভগবানের সৃষ্টি। আকাশে লক্ষ লক্ষ এবং কোটি কোটি গ্রহ ভাসছে, এবং লক্ষ লক্ষ এবং কোটি জীব আছে, সমুদ্র, পর্বতমালা এবং সবকিছু আছে, কিন্তু কোন কিছু কম নেই। শুধু এই ব্রহ্মান্ড নয়; লক্ষ লক্ষ এবং কোটি কোটি ব্রহ্মান্ড আছে। আমরা এই তথ্যটি বেদিক থেকে পাই ...

যস্য প্রভা প্রভাবতো জগদন্ড কোটি
কোটিস্বশেষা বসুদাধি বিভুতি ভিন্নম্‌
তদ ব্রহ্ম নিষ্কলম্‌ অনন্তম্‌ অশেষ ভূতম্‌
গোবিন্দম আদি পুরুষম্‌ তমহম্‌
(ব্রহ্মসংহিতা ৫.৪০)...

ভগবানের সমৃদ্ধিকে বুঝতে চেষ্টা করুন।