BN/Prabhupada 0531 - বৈদিক শাস্ত্রের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কৃষ্ণের অনেক ধরণের শক্তি রয়েছে



Radhastami, Srimati Radharani's Appearance Day -- London, August 29, 1971

একটি জীবিত সত্তার নাম সর্বগঃ। সর্বগঃ এর অর্থ "যিনি নিজের পছন্দ মতো যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন।" কেবল নারদ মুনি। নারদ মুনি তার যে কোনও জায়গায় ভ্রমণ করতে পারেন, হয় আধ্যাত্মিক জগতে বা জড় জগতে। সুতরাং আপনিও তা করতে পারেন। সম্ভাবনা আছে। দুর্বাসা মুনি ছিলেন, এক মহান যোগী। এক বছরের মধ্যে তিনি সম্পূর্ণ ব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করেছিলেন, এবং বিষ্ণুলোক গিয়ে আবার ফিরে এসেছিলেন। ইতিহাসে তা লিপিবদ্ধ আছে। সুতরাং এগুলি জীবনের পরিপূর্ণতা। এবং এই পরিপূর্ণতা কীভাবে অর্জন করা যায়? শ্রীকৃষ্ণকে বুঝে। যস্মিন্‌ বিজ্ঞাতে সর্বম্‌ এব বিজ্ঞাতম্‌ ভবন্তি। উপনিষদ বলে, আপনি যদি কেবল শ্রীকৃষ্ণকে বুঝতে পারেন, তবে এই সমস্ত জিনিস খুব সহজেই বোঝা যাবে। কৃষ্ণ ভাবনামৃত এমন সুন্দর জিনিস।

সুতরাং আজ, আজ সন্ধ্যায় আমরা রাধাষ্টমীর ব্যাপারে কথা বলব। আমরা শ্রীকৃষ্ণের প্রধান শক্তি বোঝার চেষ্টা করছি। শ্রীমতি রাধারানী হল শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি। বৈদিক সাহিত্য থেকে যেমন আমরা বুঝতে পারি, শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন ধরণের শক্তি রয়েছে। পরাস্য শক্তির বিবিধৈব শ্রূয়তে (শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত ১৩। ৬৫ তাৎপর্য)। ঠিক যেমন সেই একই উদাহরণত, একজন বড় লোকের অনেক সহকারী এবং সচিব থাকে। যাতে তাকে ব্যক্তিগতভাবে কিছু করতে না হয়, কেবল তার ইচ্ছায় সবকিছু সম্পন্ন হয়, একইভাবে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিভিন্ন ধরণের শক্তি আছে, এবং সবকিছু খুব সুন্দরভাবে করা হচ্ছে। ঠিক এই জড় শক্তি হিসাবে। এই জড় জগত, যেখানে আমরা এখন বাস করছি ... এটাকে বলা হয় জড় শক্তি। বহিরঙ্গ-শক্তি। সংস্কৃত নাম বহিরঙ্গা, শ্রীকৃষ্ণের বাহ্যিক শক্তি। সুতরাং এটি কত সুন্দরভাবে করা হচ্ছে, ভৌতিক শক্তির মধ্যে। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাতেও তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ময়াধ্যক্ষেণ প্রকৃতিঃ সূয়তে স চরাচরম্‌ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৯।১০)। "আমার তত্ত্বাবধানে জড় শক্তি কাজ করছে।" জড়া শক্তি অন্ধ নয়। এটি ...পটভূমিতে শ্রীকৃষ্ণ রয়েছেন। ময়াধ্যক্ষেণ প্রকৃতিঃ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৯।১০)। প্রকৃতি মানে এই ভৌতিক শক্তি। একইভাবে ... এটি বাহ্যিক শক্তি। একইভাবে, অন্য শক্তি আছে, যা অভ্যন্তরীণ শক্তি। অভ্যন্তরীণ শক্তির দ্বারা আধ্যাত্মিক জগত প্রকাশিত হচ্ছে। পরাস তু ভবাহঃ অন্যঃ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৮।২০)। আর একটি শক্তি, পরা, উচ্চতর, তুরীয়, আধ্যাত্মিক বিশ্ব। বাহ্যিক শক্তির অধীনে এই ভৌতিক জগতকে চালিত করা হচ্ছে, একইভাবে, আধ্যাত্মিক জগতও অভ্যন্তরীণ শক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই অভ্যন্তরীণ শক্তি হল শ্রীমতী রাধারানী।

শ্রীমতী রাধারানী ..., আজ শ্রীমতি রাধারনীর আবির্ভাব তিথি। তাই আমাদের শ্রীমতী রাধারারীর বৈশিষ্ট্যটি বোঝার চেষ্টা করা উচিত। শ্রীমতী রাধারানী হলেন হ্লাদিনী-শক্তি, হ্লাদিনী-শক্তি। আনন্দময়ো ভ্যাস্যাৎ (বেদান্ত সূত্র ১।১।১২ )। বেদান্ত সূত্রে , পরম সত্যকে আনন্দময় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, সর্বদা হ্লাদিনী শক্তিতে। সেই আনন্দময়, হ্লাদিনী শক্তি ... ঠিক যেমন আনন্দ। আপনি যখন আনন্দ চান, আপনি একা তা পেতে পারেন না। একা, আপনি উপভোগ করতে পারবেন না। আপনি যখন বন্ধুদের মধ্যে থাকেন, বা পরিবার, বা অন্যান্য সহযোগী, আপনি আনন্দ বোধ করেন। আমি যেমন কথা বলছি ঠিক তেমনই। এখানে অনেক ব্যক্তি উপস্থিত থাকলে বক্তৃতাটি খুব আনন্দদায়ক হয় আমি এখানে একা কথা বলতে পারি না। তা আনন্দ নয়। আমি এখানে রাতে কথা বলতে পারি, অনেক রাতে, যখন কেউ থাকবেনা। কিন্তু তা আনন্দ নয়। আনন্দ মানে অন্যদের অবশ্যই থাকা উচিত।