BN/Prabhupada 0573 - যে কোনও ভগবৎ ভাবনাময় মানুষের সাথে আমি কথা বলতে প্রস্তুত



Press Interview -- December 30, 1968, Los Angeles

প্রভুপাদ: এখন আমি পোপের কাছে একটি চিঠি লিখেছি। আপনি কি দেখেছেন? সেই কাগজটি কোথায়? হয়গ্রীব: এখানে আছে।

সাংবাদিক: ওহ, পোপের কাছে চিঠি। তিনি কি উত্তর দিয়েছিলেন?

প্রভুপাদ: না, আমি কোনও উত্তর পাইনি। এটা কি এই কাগজে আছে? না, এই কাগজে না। সবার শেষে লেখাটা কোথায়? ওখানে কে? শেষ লেখাটা আনতে বল হ্যাঁ, সর্বশেষ লেখাটা আন। সুতরাং আমরা চিঠি পাঠিয়েছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, আমি কোন উত্তর পাইনি। ওটা কেমন? [বিরতি ...]

প্রভুপাদ: আমি সবার সাথে সহযোগিতা করতে চাই, তবে তারা অনিচ্ছুক। আমি কি করতে পারি? আমি যে কোনও ভগবৎ ভাবনাময় মানুষের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত। আমরা এমন একটি কার্যক্রম তৈরি করতে চাই যাতে লোকেরা উপকৃত হয়, তবে তারা তাদের নিজস্ব বদ্ধমূল ধারণায় চলতে চায়। যদি আমরা দেখি যে কেউ এমন একটি নির্দিষ্ট ধরণের ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করছে যেখানে একজন ব্যক্তি পরম ভগবানের প্রতি তার ভালবাসা বিকাশ করছে, তাহলে তা হচ্ছে প্রথম শ্রেণীর ধর্ম। তবে যদি কেউ অসুর বা অবৈধ টাকার প্রতি তার ভালোবাসা দেখায় তবে ধর্মটি কোথায়?

সাংবাদিক: ঠিক।

প্রভুপাদ: (হেসে) দেখলেন তো? এটা আমাদের পরীক্ষা। আপনি যদি ... আমরা বলি না যে আপনি খ্রিস্টান বা মুসলমান বা ইহুদী বা হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করুন - আমরা বলি না। আপনি ভগবানের প্রতি আপনার ভালবাসা বিকাশ করছেন কিনা। তবে তারা অস্বীকার করে, "ওহ, আমিই ভগবান। ভগবানটা আবার কে? আমিই ভগবান।" দেখছেন তো? সবাইকে আজকাল শেখানো হয় যে সবাই ভগবান মজাটা দেখুন। প্রত্যেকেই ভগবান? আপনি কি এমনটাই মনে করেন?

সাংবাদিক: আপনি মেহের বাবার কথা জানেন?

প্রভুপাদ: সে তো আরেকটা বদমাশ। সে এই প্রচার করছে যে সবাই ভগবান।

সাংবাদিক: তিনি বলেন যে তিনি ঈশ্বর।

প্রভুপাদ: সে ঈশ্বর? দেখুন অবস্থা? এসবই চলছে।

সাংবাদিক: আপনি তাকে চেনেন?

প্রভুপাদ: আমি তাঁর নাম শুনেছি। আমি এই লোকদের জানার কোন চেষ্টা করি না। সে কিছু উল্টাপাল্টা প্রচার করছে যে সে ঈশ্বর।

সাংবাদিক: তিনি বলেছেন তিনি চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে কথা বলেননি। প্রভুপদ: এর অর্থ ঈশ্বর কে তা মানুষ জানেনা? মনে করুন আমি যদি আপনার কাছে আসি, আমি যদি বলি আমি রাষ্ট্রপতি জনসন, আপনি কি আমাকে গ্রহণ করবেন?

সাংবাদিক: না (হাসতে হাসতে) আমি মনে করি না।

প্রভুপাদ: কিন্তু এই লোকেরা, দুর্বৃত্তরা তাকে ঈশ্বর হিসাবে গ্রহণ করবে কারণ তারা জানে না ঈশ্বর কী। এটাই ত্রুটি। আমরা জানি যে ঈশ্বর কী, তাই আমরা ঈশ্বর বলে ঘোষণা করে এমন কোনও ধর্মান্ধ কে আমরা গ্রহণ করতে পারি না। এটাই পার্থক্য।

সাংবাদিক: আচ্ছা এটা একেবারেই অযৌক্তিক যে কেউ এসে আপনাকে বলে যে সে ঈশ্বর।

প্রভুপাদ: তাহলে সে কতটা বদমাশ, যে ওকে ঈশ্বর হিসাবে গ্রহণ করেন। সে এক নম্বরের বদমাশ। সে একটা প্রতারক এবং যে ব্যক্তিকে প্রতারণা করা হয়েছে সেও একটা ধর্মান্ধ। সে জানেই না ভগবান কে? যে কেউই ভগবান নাম ধরে আসছে, ভগবান এতোটাই সস্তা হয়ে গেছে যে বাজারে পাওয়া যায়, সব জায়গাতেই

সাংবাদিক: অবশ্যই পশ্চিমা ধারণাটি হল ভগবানের আদলে মানুষকে বানানো হয়েছে ফলস্বরূপ ভগবান অবশ্যই মানুষের মতো দেখতে হবেন, সুতরাং যে কোনও মানুষই ভগবান হতে পারে।

প্রভুপাদ: ঠিক আছে। আপনাদের তো অনেক বিজ্ঞানী আছে। ভগবানের রূপটি কেমন সেটা বোঝার বের করার চেষ্টা করুন তাঁর রূপ আছে কি না। ... সেই বিভাগটি কোথায়? আপনাদের এমন কোনও বিভাগ নেই। আপনাদের অনেক বিভাগ, প্রযুক্তি বিভাগ, এই বিভাগ আছে পেয়েছেন। সেই বিভাগটি কোথায়, ভগবান কী জানা আছে? জ্ঞানের কোন বিভাগ আছে কি?

সাংবাদিক: আমি জানি না ... আজ রাতে কোনও ঈশ্বরের বিভাগ কাজ করছে না আমি এখনই আপনাকে এটি বলব।

প্রভুপাদ: এটাই অসুবিধা। এবং এখানে, এখানে কৃষ্ণ ভাবনাময় আন্দোলন হল ঈশ্বরকে কীভাবে জানব সেই জ্ঞানের বিভাগ। তারপরে আপনি কোনও উপহাসকে ঈশ্বর হিসাবে গ্রহণ করবেন না, আপনি কেবল ঈশ্বরকে ঈশ্বর হিসাবে গ্রহণ করবেন। (শেষ)