BN/Prabhupada 0745 - তুমি বিশ্বাস কর আর নাই বা কর, শ্রীকৃষ্ণের কথা কখনও মিথ্যা হতে পারে না



Lecture on SB 7.9.54 -- Vrndavana, April 9, 1976

তুমি যদি বর্তমান পৃথিবীর দিকে তাকাও, তারা আত্মা বিশ্বাস করে না। তারা আত্মার এক দেহ থেকে অন্য দেহে দেহান্তরিত হওয়াকে বিশ্বাস করে না। এমনকি বড় বড় অধ্যাপক, বিশাল বিশাল পণ্ডিতেরা, তারাও বিশ্বাস করে না। কাজেই তোমরা বুঝতে পারছ বর্তমান পৃথিবীর মানুষদের অবস্থা- সব বদমাশ। সব বদমাশ। তারা সাধারণ সত্যটুকুও বুঝতে পারে না, অথচ তারাই বড় বড় পণ্ডিত, বৈজ্ঞানিক, মহান রাজনীতিবিদ , আরও এটা সেটা হিসেবে পার পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা সব বদমাশ। এই যা। এটিই উপসংহার। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, ধীরস্তত্র ন মুহ্যতি... (BG 2.13) আত্মার এই এক দেহ থেকে অন্য দেহতে দেহান্তরিত হওয়া, শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, ধীরস্তত্র ন মুহ্যতি। এখানেও সেই একই ব্যাপার, /// আধ্যাত্মিক... যদি তুমি বুঝতেই না পার যে আত্মা কি, তাহলে আধ্যাত্মিক জীবন আর আধ্যাত্মিক জীবনের উন্নতির প্রশ্ন কোথায়? প্রশ্নই আসেনা। এটি হচ্ছে চিন্ময় অস্তিতের শুরু। এই শিক্ষা, যে "আমি এই দেহ নই। আমি চিন্ময় আত্মা।" অহং ব্রহ্মাস্মি। তাঁরা বুঝতে পারে।

তাই আমরা যদি সচেতন ভাবে কৃষ্ণভাবনাময় হয়, যদি আমরা বিশ্বাস করি শ্রীকৃষ্ণ... আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি আর নাই করি, শ্রীকৃষ্ণের কথা মিথ্যা হবে না। এটিই সত্য। তুমি বদমাশ হতে পার, তুমি বিশ্বাস নাও করতে পার, কিন্তু যারা ধীর, তাঁরা বিশ্বাস করেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন। যদি শ্রীকৃষ্ণের প্রতি তোমার ভালোবাসা থাকে... এটি ভালোবাসা থাকা না থাকার প্রশ্ন নয়। এটিই সত্য। তাই একজনকে হতে হবে... এটিই জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য, যে একজনকে ধীর হতে হবে, কুকুর বিড়ালের মতো এখানে সেখানে লাফালাফি নয়। এটি মনুষ্য জীবন নয়। এটি কুকুরের জীবন।

যস্যাত্মবুদ্ধিঃ কুণপে ত্রিধাতুকে
স্বধীঃ কলত্রাদিষু ভৌম ইজ্যধীঃ
যত্তীর্থবুদ্ধিঃ সলিলে ণ কর্হিচিৎ
জনেষু অভিজ্ঞেষু স এব গোখরঃ
(শ্রীমদ্ভাগবতম ১০।৮৪।১৩),

এই শ্রেণীর মানুষেরা, যস্য, যাদের জীবন দেহাত্মবুদ্ধিতে পূর্ণ, "আমি এই দেহ।" "আমি হিন্দু," "আমি মুসলিম," "আমি ব্রাহ্মণ," "আমি ভারতীয়," "আমি আমেরিকান," "আমি..." সমগ্র বিশ্ব এই নিয়ে যুদ্ধ করছে, কারণ তারা সবাই পাগল, ধীর নয়। এই হচ্ছে বৈদিক সভ্যতা। যস্যাত্মবুদ্ধিঃ কুণপে। এটি হচ্ছে হাড়, মাংস আর রক্তে পূর্ণ একটি থলে, আর তারা ভাবছে যে তারা হচ্ছে এই দেহটি, তাহলে তুমি যদি এই দেহটি হও, তবে এই জীবনী শক্তিটি কোথা থেকে আসল? কারণ জীবনী শক্তিটি চলে যাওয়ার সাথে সাথে দেহটি অকেজো হয়ে পড়ে, একটি মাটির দলা। তাহলে তুমি কি মনে কর যে এই মাটির দলাটিই জীবন দান করছে? কিন্তু তারা ধীর নয়। সব বদমাশ, তারা বুঝতে পারে না। শব্দটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধীরস্তত্র ন মুহ্যতি। বদমাশরা কিভাবে বুঝবে? তাই আমাদের কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন এই সমস্ত বদমাশদের শিখাচ্ছে, এই যা। সহজ ব্যাপার। আমরা প্রত্যককে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেই যে "আপনি ১নাম্বারের বদমাশ। শ্রীকৃষ্ণকে জানার চেষ্টা করুন," এটিই আমাদের চ্যলেঞ্জ। সামনে এগিয়ে আসুন। আমরা বলি, আমরা চ্যলেঞ্জ করি, "আপনি ১ নাম্বারের বদমাশ। আপনি কৃষ্ণভাবনামৃতের শিক্ষা গ্রহণ করুন আর জীবনকে সার্থক করে তুলুন। এটিই হচ্ছে কৃষ্ণভাবনামৃত। কেউ ধীর নয়।