BN/Prabhupada 0803 - হে ভগবান, কৃপা করে আমায় আপনার সেবায় নিযুক্ত করুন



Lecture on SB 1.7.19 -- Vrndavana, September 16, 1976

হরে কৃষ্ণ মানে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁর হ্লাদিনী শক্তি তাই আমরা বলি, হরে - "হে ভগবানের হ্লাদিনী শক্তি," এবং কৃষ্ণ - "হে পরমেশ্বর ভগবান" । হরে রাম, একই ব্যাপার পরম ব্রহ্ম। রাম মানে পরম ব্রহ্ম, কৃষ্ণ মানে পরম ব্রহ্ম এবং ... তাহলে এই সম্বোধনের অর্থ কি দাঁড়াল? "হে কৃষ্ণ, হে রাধে, হে রাম," ... কেন? তাতে কিছু... কেন তুমি চাইছ? "আমাকে আপনার সেবায় নিযুক্ত কর।" সেটি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু শিক্ষা দিয়েছেন

অয়ি নন্দতনুজ কিঙ্করম্‌
পতিতম্‌ মাম্‌ বিষমে ভবাম্বুধৌ
কৃপয়া তবপদপঙ্কজ
স্থিত ধূলি-সাদৃশম্‌
(চৈতন্য চরিতামৃত অন্ত্য ২০/৩২)

সেটি আমাদের প্রার্থনা। আমার প্রার্থনা এই নয় যে "হে কৃষ্ণ, হে রাম, আমাকে কিছু টাকাপয়সা দিন, স্ত্রীলোক দিন"। না, এটি প্রার্থনা নয়। অবশ্য নতুন স্তরে কেউ এই প্রার্থনা করতে পারে, কিন্তু আমি বলতে চাইছি, সেটি শুদ্ধভক্তি নয়।

শুদ্ধভক্তি মানে ভগবানের কাছে সেবা প্রার্থনা করা "হে ভগবান দয়া করে আমাকে আপনার সেবায় নিযুক্ত করুন" সেটিই হচ্ছে জীবনের সার্থকতা। যখন কেউ ভগবানের সেবায় প্রেমসহকারে যুক্ত হয়। তুমি অনেক বড় ভক্ত হতে পার এবং কোন নির্জন স্থানে বাস করতে পার এবং এই কথা মনে করে অহংকার করতে পার যে তুমি বিরাট কেউ হয়ে গেছ। মানুষেরা তোমাকে দেখতে আসতে পারে,"ওহ্‌ একে বাইরে দেখা যায় না, ইনি সবসময় জপ করেন"। আমার গুরু মহারাজ নিন্দা করে বলেছেন, মন তুমি কিসের বৈষ্ণব। "আমার প্রিয় মন, মনে মনে ভেবে নিচ্ছ তুমি অনেক বড় বৈষ্ণব হয়ে গেছ। তুমি কিছুই করছ না, কেবল নির্জন স্থানে বসে আছ আর হরিদাস ঠাকুরের অনুকরণ করে জপ করার ভান করছ। তাই তুমি একটা বদমাশ, "মন তুমি কিসের বৈষ্ণব। কেন? নির্জনের ঘরে, প্রতিষ্ঠার তরেঃ বড় কীর্তনকারী হিসেবে কিছু সস্তা পূজা পাবার জন্য। কারণ কেউ যদি সত্যিই জপ করে, তাহলে কেন আবার স্ত্রীলোক এবং বিড়ি টানার প্রতি লালায়িত হবে? যদি সে সত্যিই হরিদাস ঠাকুরের মতো অবস্থানে থাকে, তাহলে সে কেন আবার জড় বস্তুর দ্বারা আকৃষ্ট হবে? সেটি কেবল মিথ্যা ভান দেখানো মাত্র সেটি সাধারণ মানুষের দ্বারা সম্ভব না।

তাই সাধারণ লোকেদের জন্য অবশ্যই সমস্ত ইন্দ্রিয়গুলো নিযুক্ত করতে হবে। সেটি আসলে দৈহিক স্তরে নয়, সেটিও চিন্ময় স্তরেই। সর্বদা কৃষ্ণভাবনামৃতের কোন কিছুতে যুক্ত থাকো। সেটাই চাই। এমন না যে "ও আমি এখন বড় পণ্ডিত হয়ে গেছি, এবং এখন আমি জানি কীভাবে বড় বৈষ্ণব হওয়া যায়। আমি ৬৪ মালা জপ করি, আর কোথাও আবার স্ত্রীর কথা চিন্তা করি, আর তারপর গোবিন্দজীকে বিদায় জানিয়ে বৃন্দাবন ছেড়ে পালাই।" এই ধরণের বদমাশির পেছনে যেও না। গোবিন্দজী এই ধরণের বদমাশদের বৃন্দাবন থেকে তাড়িয়ে দেবেন। তাই যে ব্যক্তি বৃন্দাবনে বাস করছে তিনি অবশ্যই বৃন্দাবনচন্দ্রের মহিমা কীভাবে সারা বিশ্বে কীভাবে প্রচার করা যায় যে বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হবেন। সেটাই চাই। এমন নয় যে "বৃন্দাবনচন্দ্র আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি, আর আমি এক জায়গায় বসে থাকি আর ভোগের চিন্তা করি," না, আমরা তা চাইনা। সেটি চাই না। সেটি আমার গুরু মহারাজ নিন্দা করেছেন।