BN/Prabhupada 0889 - যদি রোজ এক পয়সা করে জমাও, তাহলে একদিন তোমার কাছে একশ ডলার হতে পারে



750522 - Lecture SB 06.01.01-2 - Melbourne

ভক্তঃ শ্রীল প্রভুপাদ, যখন শাস্ত্রে বলা আছে যে ব্রহ্মাজী হংসের ওপর বিচরণ করেন, এটি কি...? আমরা কি একে একটি বাস্তব রাজহাঁস মনে করব, নাকি প্রতীকী কিছু?

প্রভুপাদঃ প্রতীকী নয়। এটা বাস্তব। কেন একে প্রতীকী বলবে?

ভক্তঃ এটা বরং সচরাচর নয়।

প্রভুপাদঃ সচরাচর নয়... তোমার কি অভিজ্ঞতা আছে? তোমার কোনই অভিজ্ঞতা নেই। তোমার কি অন্য কোন গ্রহের ব্যাপারে কিছু অভিজ্ঞতা আছে, সেখানে কি আছে? তাহলে? তোমার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত ক্ষুদ্র। তাই তোমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা দিয়ে ব্রহ্মার জীবন ও অন্যান্য কিছু গণনা করা তোমার উচিৎ না ভগবদগীতায় ব্রহ্মার আয়ুষ্কাল নিয়ে বলা আছে যে সহস্রযুগপর্যন্তম্‌ অহর্যদ ব্রহ্মনো বিদুঃ (গীতা ৮/১৭) ব্রহ্মার আয়ু সম্পর্কে শাস্ত্রে বলা আছে আমরা ইতিমধ্যেই বলেছি যে আমরা শাস্ত্রের প্রামাণিক কথা গ্রহণ করি এখানে ব্রহ্মার জীবনকাল দেয়া আছে। অর্হৎ মানে তাঁর এক দিন আমাদের চার যুগের সমান চার যুগ মানে ৪৩ লক্ষ বছর এবং একে ১০০০ দিয়ে গুণন কর, সহস্রযুগপর্যন্তম্, সহস্র মানে এক হাজার যুগ মানে ৪৩ লক্ষ বছরে এক যুগ একে এক হাজার দিয়ে গুণন দাও, সেই সময়টা হচ্ছে ব্রহ্মার একদিন এইভাবে তাঁর রাত, তাঁর এক মাস, একইভাবে, তাঁর এক বছর, এবং এইভাবে তিনি একশ বছর বাঁচবেন। তাই কীভাবে তা গণনা করবে? তা কীভাবে তোমার অভিজ্ঞতার মধ্যে আসবে? তুমি ভাববে কাল্পনিক কিছু। না। তোমার অভিজ্ঞতা কিছুই না তাই তোমাকে যথাযথ ব্যক্তির কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে, শ্রীকৃষ্ণ তাহলেই তোমার জ্ঞান পূর্ণ। আমি সেই কথা ইতিমধ্যেই বলেছি। তোমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা দিয়ে বোঝার চেষ্টা কর না। তাহলে ব্যর্থ হবে

ভক্ত (২)ঃ প্রভুপাদ, একজন ব্যক্তির সব প্রচেস্তাই কি... (অস্পষ্ট)

প্রভুপাদঃ সেটি আমি ইতিমধ্যেই বলেছি যে তুমি এখানে আসচ যদিও তুমি দীক্ষিত নও, তবু সেটাও সেবা তাই যদি তুমি রোজ এক পয়সা করে জমাও, তাহলে একদিন তা হয়ত একশ ডলার হয়ে যাবে তো যখন তোমার একশ ডলার হবে, তখন তুমি ব্যবসা শুরু করতে পার। (হাসি) তাই তুমি রোজ এখানে আসতে পার, এক পয়সা, এক পয়সা... যখন এটি একশ ডলার হবে, তখন তুমি ভক্ত হবে।

ভক্তবৃন্দঃ জয়! হরি বোল!

প্রভুপাদঃ তাই এটার কোন ক্ষয় নেই। এটি... সেই কথা শ্রীমদ্ভাগবতে বলা আছে, কৃত পুণ্য পুঞ্জাঃ (ভাগবত ১০/১২/১১) কৃতপুণ্য। কৃত মানে করা হয়েছে শুকদেব গোস্বামী বর্ণনা করেছেন যে যখন কৃষ্ণ তাঁর গোপবালক বন্ধুদের সাথে খেলা করছেন তখন তিনি বর্ণনা করছেন যে, "এই সব বালকেরা কৃষ্ণের সাথে যারা খেলছেন তাঁরা এই অবস্থানে একদিনে আসেন নি" কৃতপুণ্য পুঞ্জাঃ। "জন্মের পর জন্ম ধরে তাঁরা পুণ্য কর্ম করেছেন, এখন তাঁরা এই অবস্থানে এসেছেন যে তাঁরা ভগবানের সাথে খেলা করতে পারেন।" তাই কৃতপুণ্য পুঞ্জাঃ , কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে যে কোন কিছু করাই তোমার চিরস্থায়ি সম্পদ হয়ে থাকবে তা কখনও নাশ হবে না। এই সম্পদ বাড়তেই থাকবে একদিন এটা তোমাকে এতোই সাহায্য করবে যে তুমি কৃষ্ণের সাথে খেলা করতে পারবে এই হচ্ছে কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন