BN/Prabhupada 0919 - কৃষ্ণের কোন শত্রু নেই, কোন বন্ধু নেই। তিনি সম্পূর্ণ স্বাধীন



730421 - Lecture SB 01.08.29 - Los Angeles

শ্রীকৃষ্ণের কোন শ্ত্রু নেই, কোন বন্ধু নেই। তিনি সম্পূর্ণ রূপে স্বাধীন। শ্রীল প্রভুপাদঃ শ্রীকৃষ্ণের ক্ষেত্রে এইরকম কিছু নেই, যে তুমি শ্রীকৃষ্ণকে কামুক, ইন্দ্রিয়পরায়ণ এসব বলতে পারবে। তিনি তাঁর সমস্ত ভক্তদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করেছেন। শ্রীকৃষ্ণের অনেক ভক্ত রয়েছেন। কোন কোন ভক্ত শ্রীকৃষ্ণকে তাঁদের পতি হবার অনুরোধ করেন। কোনও কোনও ভক্ত তাঁকে তাঁদের বন্ধু হবার প্রার্থনা করেন। কোনও ভক্ত তাঁকে তাঁদের সন্তান হবার অনুরোধ করেন। এবং কোন কোন ভক্ত তাঁকে তাঁদের খেলার সাথী হবার প্রার্থনা জানান। এইভাবে সারা জগত জুড়ে অসংখ্য কোটি ভক্ত। এবং শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের সকলকেই সন্তুষ্ট করেন। কোনও ভক্তের থেকে তাঁর কোন সাহায্যের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি ভক্ত চান... যেমন এই ষোল হাজার ভক্তেরা চেয়েছিলেন যেন শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের পতি হন। ভগবান তাতে রাজী হয়েছিলেন। ঠিক একজন সাধারণ মানুষের মতো। কিন্তু ভগবান রূপে তিনি নিজেকে ১৬০০০ ভাগে বিভক্ত করেছিলেন।

শ্রীনারদ মুনি দেখতে এসেছিলেন, "শ্রীকৃষ্ণ ষোল হাজার স্ত্রীকে বিবাহ করেছেন। দেখা যাক্‌, তিনি কীভাবে তাঁদের সাথে থাকছেন। তিনি যখন এসেছিলেন তিনি দেখলেন যে শ্রীকৃষ্ণ ষোল হাজার প্রাসাদে ভিন্ন ভিন্ন কাজে নিযুক্ত। কোথাও তিনি তাঁর স্ত্রীর সাথে কথা বলছেন, কোথাও তিনি তাঁর পুত্রদের সাথে খেলা করছেন। কোথাও তিনি তাঁর সন্তানদের বিয়ে দিচ্ছেন। বহুভাবে। ষোল হাজার ভাবে তিনি নিযুক্ত ছিলেন। তিনিই হলেন শ্রীকৃষ্ণ ... যদিও ঠিক যেমন, তিনি সাধারণ শিশুর মতো খেলা করছিলেন। কিন্তু যখন মা যশোদা চেয়েছিলেন যে তিনি যেন মুখ হা করেন যাতে তিনি দেখতে পারেন যে কৃষ্ণ সত্যিই মাটি খেয়েছে কিনা, তিনি তাঁর মুখের ভেতর সারা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড দর্শন করেছিলেন। এই হল শ্রীকৃষ্ণ। যদিও তিনি কেবল সাধারণ শিশুর মতোই খেলা করছেন কিন্তু যখনই প্রয়োজন পড়ে, তিনি তাঁর ভগবত্ত্বা প্রদর্শন করেন।

ঠিক যেমন অর্জুনের ক্ষেত্রে। তিনি তাঁর রথ চালাচ্ছিলেন, কিন্তু যখনই অর্জুন তাঁর বিশ্বরূপ দেখতে চাইলেন, তৎক্ষণাৎ তিনি তাঁকে তা দেখালেন। হাজার হাজার লক্ষ কোটি মস্তক ও অস্ত্রশস্ত্র সমন্বিত, শ্রীকৃষ্ণ । ন যস্য কশ্চিৎ। শ্রীকৃষ্ণের কোন শত্রু নেই। শ্রীকৃষ্ণের কোন বন্ধুও নেই। তিনি সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। তিনি কোন শত্রুর ওপরেও নির্ভর করেন না। কিন্তু তিনি তাঁর তথাকথিত বন্ধু বা তথাকথিত শত্রুদের মঙ্গলের জন্য এমনভাবে লীলা করেন। এই হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ। সেটিই শ্রীকৃষ্ণের পরা প্রকৃতি। যখন শ্রীকৃষ্ণ কাউকে তাঁর বন্ধু বা শত্রু রূপে কৃপা করেন, ফলাফল একই। তাই শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরম।

অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভক্তগণঃ জয় প্রভুপাদ।