BN/Prabhupada 0960 - যে ব্যক্তি ভগবানের অস্তিত্ব স্বীকার করে না, সে একটা পাগল



750624 - Conversation - Los Angeles

প্রভুপাদঃ প্রকৃত ভোক্তা এবং দুঃখভোগকারী হচ্ছে আত্মা, এই শরীরটি নয়। যখন এই আত্মাটি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, তখন শরীর আর উপভোগ অথবা দুঃখ ভোগ করতে পারে না, এটি একগুচ্ছ বস্তু মাত্র। আনন্দ এবং দুঃখের অনুভূতিটি ততক্ষণ থাকে যতক্ষণ আত্মা সেখানে আছে। তাই আত্মাটি গুরুত্বপূর্ণ। এবং তাই তুমি যদি আত্মা সম্পর্কে জানতে পার, তাহলে তুমি বুঝতে পারবে ভগবান কি।

পিটারঃ আপনি কীভাবে জানেন যে সেখানে একটি আত্মা আছে?

প্রভুপাদঃ কারণ তুমি কথা বলছ। কারণ তুমি জিজ্ঞাসা করছ, আমি আত্মাকে জানি। যেহেতু তুমি একটি আত্মা, তাই তুমি জিজ্ঞাসা করছ। আত্মা আপনার শরীর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই, আপনি আর জিজ্ঞাসা করতে পারবেন না। জিজ্ঞাসা শেষ।

ডাঃ অলফঃ কেউ কি বলতে পারেন যে আত্মা এবং জীবন অভিন্ন?কেউ কি বলতে পারেন যে আত্মা এবং জীবন অভিন্ন?

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। অভিন্ন...জীবন হচ্ছে আত্মার অভিন্ন। যেহেতু সেখানে আত্মা আছে, তাই জীবন আছে। আত্মা আপনার শরীর ত্যাগ সাথে সাথেই, সেখানে আর জীবন থাকবে না। আকাশে সূর্য আছে এবং আলো আছে, সূর্যের আলো। যখন সূর্য অস্ত যাবে, আর আলো থাকবে না, অন্ধকার হয়ে যাবে।

ডাঃ অরঃ শরীরটি কে কি তাহলে প্রতিহত করতে হয়? শরীরটি কে কি তাহলে শৃঙ্খলা, প্রতিহত, উপেক্ষিত করতে হয়?, আপনি কি এটাই পরামর্শ দিচ্ছেন?

প্রভুপাদঃ উপেক্ষা করা? বহুলাশ্বঃ কীভাবে শরীরের ব্যবহার করতে হয়?

ডাঃ অরঃ আপনি কীভাবে শরীরের ব্যবহার করেন?

প্রভুপাদঃ খারাপ দর কষাকষির সর্বোত্তম ব্যবহার করুন।(হাসি) এটি খারাপ দরকষাকষি। কিন্তু আমাদের এটার সদ্ব্যবহার করতে হবে।

ডাঃ অরঃ যখন আপনি বলেন, যে, সবকিছুই ভগবানের অংশ, আপনি শরীরের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম করেন- শরীরটি পারমার্থিক নয়।

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ।

ভক্তঃ না, তিনি বলছেন যে যখন আমরা বলি সবকিছুই ভগবানের অংশ শরীরটি বাদে। তিনি বলছেন শরীরটি তাহলে ব্যতিক্রম। শরীরটি ভগবানের অংশ নয়?

প্রভুপাদঃ না, কেন? শরীরটিও অংশ। হ্যাঁ, আমি সেটা বর্ণনা করেছি।

ডাঃ জুদাহঃ মায়া-শক্তি।

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, এটি অন্য শক্তি।

ডাঃ অরঃ ও, আমি বুঝেছি।

ডাঃ জুদাহঃ শ্রী কৃষ্ণের নিকৃষ্ট শক্তি।

ডাঃ অরঃ নিকৃষ্ট শক্তি।

প্রভুপাদঃ সবকিছুই ভগবানের শক্তি, তাই শরীরও ভগবানের শক্তি। তাই শরীরের সর্বোত্তম ব্যবহার হচ্ছে ভগবানের শক্তি ভগবানের কাজে লাগানো। তখন এটি হয়... শরীরটি পারমার্থিক হয়ে যায়। শরীরটিও ভগবানের শক্তি এবং যদি এটি ভগবানের সেবায় কাজে লাগানো হয় তখন শরীরটি খারাপ দর কষাকষি নয়, এটি ভাল দর কষাকষি।(বিরতি)

প্রভুপাদঃ যদি ভাড়াটে মনে করে যে, "এই এপার্টমেন্টটি আমার। আমি মালিক, " তাহলে সে ভুল। যদি সে সঠিকভাবে জানে যে এটা জমির মালিকের, " আমাকে ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে, " তাহলে এটা সঠিক জ্ঞান।

ডাঃ অলফ: শ্রীল প্রভুপাদ, এবং ভারাটিয়াকে সহজেই উৎপাটিত করা যেতে পারে।

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। উৎপাটিত। সেই সময় সে জানবে কে মালিক(হাসি) যখন তাকে বার করে দেয়া হবে। এটা ভগবদ গীতাতেও উল্লেখ করা আছেঃ মৃত্যুঃ সর্বহরশ্চাহম (গীতা ১০.৩৪)। যারা ভগবানকে বিশ্বাস করছে না, তাদের কাছে ভগবান একদিন আসবেন মৃত্যুরূপে, "এখন আমাকে বিশ্বাস কর। বেরিয়ে যাও!" শেষ তোমার সব অহংকার শেষ। তোমার অহংকার, তোমার সম্পত্তি, তোমার পরিবার, তোমার ব্যাংকে টাকা, তোমার গগনচুম্বী অট্টালিকা-সব নিয়ে নেওয়া হয়েছেঃ "সব শেষ। এখন বেরিয়ে যাও।" ইনি ভগবান। এখন ভগবানকে চিনেছ? বিশ্বাস করো আর নাই করো, একদিন ভগবান আসবেন। সে তোমাকে নিয়ে যাবে, তোমার সবকিছু নিয়ে যাবে এবং "বেরিয়ে যাও!" তিনিই ভগবান। তুমি বিশ্বাস করো অথবা না করো, তাতে কিছু যায় আসে না। একই উধাহরণঃ সেই ভাড়াটে বাড়ির মালিককে বিশ্বাস না করতে পারে, কিন্তু যখন সেই বাড়ির মালিক কোর্টের নির্দেশ সাথে নিয়ে আসবেন, " বেরিয়ে যাও," তখন তোমাকে বেরিয়ে যেতে হবে। এখানেই শেষ। এটা ভগবদ গীতায় উল্লেখ করা আছে, যে " যারা ভগবানে বিশ্বাসী না, তাদের কাছে আমি মৃত্যুরূপে আসি এবং সবকিছু নিয়ে চলে যাই।শেষ।" একজনকে এটা বিশ্বাস করতেই হবে। " হ্যাঁ, মৃত্যুর মতো নিশ্চিত." তাহলে ভগবান নিশ্চিত। তুমি চ্যালেঞ্জ করতে পার যতক্ষণ তোমার কাছে এই ছোট জীবনটি আছে কিছু বছরের জন্য, (হাসি) কিন্তু ভগবান আসবেন এবং তোমার সব কেড়ে নিয়ে যাবেন এখনের অহংকার, সম্মানিত পদ, "বেরিয়ে যাও।" তাই যদি কেও পাগল না হয় তাহলে সে বলতে পারে না, "কোন ভগবান নেই।" কেও যদি ভগবানের অস্তিত্ব কে অস্বীকার করে, তাহলে সে পাগল।

ডাঃ অলফঃ প্রভুপাদ, এটা কি ঠিক হবে না তাকে অন্ধ বলা, সে কি বোকা?

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, একই ব্যাপার। পাগলামি হল সমস্ত বোকামির যোগফল। যখন আমি পাগল বলি, এটি হচ্ছে সমস্ত বোকামির যোগফল। (পাশথেকে) এখন আপনি তাদের প্রসাদ দিতে পারেন। আমার মনে হয় আমরা তাদের সময় নিয়ে নিচ্ছি।