BN/Prabhupada 0965 - এমন ভক্তের শরণাগত হতে হবে যিনি তাঁর জীবন শ্রীকৃষ্ণের চরণে সমর্পণ করেছেন



720000 - Lecture BG Introduction - Los Angeles

মায়াবাদী দার্শনিকেরা, তারা মনে করে যে পরম সত্য হচ্ছেন নৈর্ব্যক্তিক.

ময্যাসক্তমনাঃ পার্থ
যোগং যুঞ্জন্মদাশ্রয়ঃ
অসংশয়ং সমগ্রং মাং
যথা জ্ঞাস্যসি তচ্ছৃণু
(ভগবদগীতা ৭.১)।

অর্জুন শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক উপদেশ পেয়েছিলেন, " ভগবান কি?" ভগবানের ধারণা, যদিও আমরা অনুমান করতে পারি, এটি যথাযথ হবে না, কারণ ভগবান সীমাহীন, সর্বব্যাপী। আমরা সীমিত। আসলে যতদিন ভগবান নিজেকে ভক্তের কাছে প্রকাশিত না করবেন, এটা বোঝা সম্ভব নয় যে ভগবান কি। তাই, ভগবান নিজে, শ্রীকৃষ্ণ নিজের কথা বলছেন। প্রক্রিয়াটি হল ময্যাসক্তমনাঃ প্রত্যেককে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের এখন জাগতিক বস্তুর প্রতি আকর্ষণ রয়েছে এবং আমাদের এটি অন্যদিকে ফিরিয়ে নিতে হবে। আমাদের অবস্থা হল যে আমাদের কিছুর প্রতি আকর্ষণ থাকতে হবে। সেটাই সত্যি। এখন, দেহাত্মবুদ্ধিতে, আমরা এই দেহের প্রতি আকর্ষিত হয়ে আছি, এবং যা কিছু এই দেহের সাথে সম্পর্কিত, আমরা তার প্রতি আকর্ষিত। ঠিক যেমন আমি আমার স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করি। কেন? লক্ষ লক্ষ এবং হাজার হাজার মহিলা আছে, সুন্দরী মহিলা। আমার তাদের প্রতি কোন আকর্ষণ নেই। কিন্তু আমার স্ত্রীর প্রতি আমার আকর্ষণ থাকবে যদি সে খুব সুন্দরও না হয়, এটাই সত্যি। কেন? কারণ, আমার দেহের সাথে তার সম্পর্কের কারনে। একইরকমভাবে, আমার দেশের প্রতি আমার আকর্ষণ রয়েছে। আমার গৃহের প্রতি আমার আকর্ষণ রয়েছে, আমার, অনেক জিনিস, কারণ আমি চিন্তা করছি আমি এই শরীরটি, এবং আমার শরীরের সাথে যা কিছু সম্পর্কিত, তা আমি আমার মনে করছি। তাই এখন, আমার এই ধারণাটি "আমি" এবং "আমার" এটি ভুল। তাই, আমরা যদি আমাদের আকর্ষণ শ্রীকৃষ্ণের দিকে পরিচালিত করি, তাহলে আমরা বুঝতে পারব শ্রীকৃষ্ণকে, অথবা ভগবানকে, পুরোপুরি সঠিক ভাবে। শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন সূর্যের মত। যখন সূর্যের আলো থাকে, তুমি সূর্য কে দেখতে পারবে এবং নিজেকেও। সূর্যের আলো ছাড়া, রাতের অন্ধকারে, না তুমি সূর্য দেখতে পারবে না নিজেকে। তাই প্রক্রিয়াটি হল ময্যাসক্তমনাঃ, কৃষ্ণভাবনামৃতের উন্নতি করা। ময্যাসক্তমনাঃ পার্থ যোগং যুঞ্জন্মদাশ্রয়ঃ

এটিই যোগ। যোগ মানে সংযুক্ত হওয়া।যোগং যুঞ্জন... সেই যোগটি পালন করতে হবে শ্রীকৃষ্ণের সাথে সম্পর্কিত অবস্থায়। তাই তিনি বলেছেন, মদাশ্রয়াঃ। মদ্‌ মানে আমি অথবা আমার। এবং আশ্রয় মানে শরণ গ্রহণ করা। তাই হয় তুমি ভগবানের শরণ গ্রহণ করো অথবা ভগবানের প্রতিনিধির। অবশ্যই এটা আমাদের দ্বারা সম্ভব না ভগবানের শরণ গ্রহণ করা, কারণ শ্রীকৃষ্ণ এখন এই মুহূর্তে এখানে উপস্থিত নেই। কিন্তু সেখানে তাঁর প্রতিনিধি রয়েছে। তাই প্রত্যেককে ভগবানের প্রতিনিধির শরণ গ্রহণ করতে হবে। এবং ভক্তি যোগ অনুশীলন করতে হবে, মনকে শ্রীকৃষ্ণে নিবিষ্ট করে। একেই বলা হয় কৃষ্ণভাবনামৃত। প্রত্যেককে এমন কোন ব্যক্তির আশ্রয় নিতে হবে যার জীবন ভগবানের ভক্তিতে নিয়োজিত এবং তার নির্দেশনায়, আমাদের অনুশীলন করতে হবে কীভাবে কৃষ্ণভাবনামৃতে উন্নতি করা যায় এবং তখন শ্রীকৃষ্ণ প্রকাশিত হবেন। কৃষ্ণভাবনামৃতের উন্নতির সমানুপাতিকভাবে কৃষ্ণদর্শনের প্রকাশ ঘটবে।