BN/Prabhupada 1057 - ভগবদ্গীতার আর এক নাম গীতোপনিষদ্‌, এটি বৈদিক দর্শনের সারমর্ম



660219-20 - Lecture BG Introduction - New York

প্রভুপাদঃ আমি আমার শ্রীগুরুদেবকে সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি যিনি আমাকে অজ্ঞানের তিমির অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোক বর্তিকা দ্বারা চক্ষুদ্বয় উন্মীলিত করেছেন।

যখন শ্রীল রূপ গোস্বামী প্রভুপাদ, ‍যিনি এই জড় জগতে স্থাপন করেছেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বিশেষ ইচ্ছা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এই প্রচার পরিকল্পনা (সংঘ), তাঁর পাদপদ্মে আমাকে আশ্রয় প্রদান করবেন?

আমি আমার গুরুদেব এবং ভক্তিযোগ পন্থার সকল গুরুবর্গের শ্রীপাদপদ্মে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি সকল বৈষ্ণব এবং ষড়গোস্বামীর চরণকমলে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি, শ্রীল রূপ গোস্বামী, শ্রীল সনাতন গোস্বামী, রঘুনাথ দাস গোস্বামী, জীব গোস্বামী এবং তাদের পার্ষদবর্গকেও আমি সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি, শ্রীঅদ্বৈত আচার্য প্রভু, শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং তাঁর সকল ভক্তবৃন্দকেও, যার নেতৃত্বে আছেন শ্রীবাস ঠাকুর। তারপর আমি সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে, শ্রীমতি রাধারাণীকে এবং সকল গোপীগণের চরণকমলে যার নেতৃত্ব আছেন ললিতা এবং বিশাখা

ওহে আমার প্রিয় কৃষ্ণ, করুণার সিন্ধু, তুমিই দীনের বন্ধু এবং সমস্ত সৃষ্টির উৎস। তুমি গোপদের প্রভু এবং গোপীদের প্রেমাস্পদ, বিশেষকরে শ্রীমতী রাধারাণীর। আমি আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।

আমি শ্রীমতি রাধারাণীকে প্রণতি নিবেদন করি যাঁর অঙ্গকান্তি তপ্তকাঞ্চনের মতো এবং যিনি বৃন্দাবনের ঈশ্বরী। তুমি মহারাজ বৃষভানুর দুহিতা এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রেয়সী।

পরমেশ্বর ভগবানের সকল বৈষ্ণব-ভক্তবৃন্দের চরণকমলে আমি আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। তাঁরা বাঞ্ছাকল্পতরুর মতো সকলের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে পারেন এবং তাঁরা কৃপার সাগর ও পতিতপাবন।

আমি আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, প্রভু নিত্যানন্দ, শ্রীঅদ্বৈত আচার্য, শ্রী গদাধর, শ্রীবাস আদি গৌরভক্তবৃন্দের চরণকমলে নিবেদন করি।

আমার প্রিয় পরমেশ্বর ভগবান, পরমেশ্বর ভগবানের চিৎ শক্তি কৃপা করে আপনাদের সেবায় নিযুক্ত করুন। আমি এখন জড় কর্মে বিমূঢ়। কৃপা করে আমার প্রিয় পরমেশ্বর ভগবান, পরমেশ্বর ভগবানের চিৎ শক্তি কৃপা করে আপনাদের সেবায় নিযুক্ত করুন।

গীতোপনিষদের মুখবন্ধ এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী কর্তৃক প্রণীত, শ্রীমদ্ভাগবতম্‌ ও পরলোকে সুগম যাত্রার লেখক, ভগবৎ দর্শনের সম্পাদক, ইত্যাদি ভগবদ্গীতার আর এক নাম গীতোপনিষদ্‌। এটি বৈদিক দর্শনের সারমর্ম, এবং ভগবত গীতা হলো বৈদিক সাহিত্যের বিভিন্ন উপনিষদের মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উপনিষদ এই ভগবদ গীতার-ইংরেজিতে, অনেক ভাষ্য আছে এবং নিম্নলিখিত ভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে ভগবদ গীতা-এর অন্য ইংরেজি অনুবাদ এর কি প্রয়োজনীয়তা আছে। এক এক আমেরিকান ভদ্রমহিলা, মিসেস শার্লট লে ব্ল্যাঙ্ক আমাকে একটি ভগবদ্গীতা সুপারিশ করতে বলেছিলেন ভগবদ গীতা্র- একটি ইংরেজি সংস্করণ.করতে, যাতে তিনি পড়তে পারেন, অবশ্যই, আমেরিকায় ইংরেজি ভগবত গীতার অনেক সংস্করণ আছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি তাদের যে গুলো দেখেছি তা আমেরিকা হোক বা ভারতে, তাদের কোনটি কঠোরভাবে প্রামাণিক নয় কারণ তাদের মধ্যে প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন সেই সকল ভাষ্যে ভগবদ্গীতার মূলভাব স্পর্শই করেনি।

ভগবদ্গীতাতেই ভগবদ্গীতার মূলভাব ব্যক্ত হয়েছে। এটি ঠিক এই রকম-- আমরা যখন কোন ঔষধ খাই, তখন ঔষধের শিশিতে দেওয়া নির্দেশ অনুসারে সেই ঔষধ খেতে হয়। আমরা কোন বিশেষ ঔষধ আমাদের নিজস্ব বা বন্ধুর নির্দেশানুসারে খেতে পারি না, তবে আমাদেরকে ঔষধের শিশিতে দেয়া নির্দেশ এবং ডাক্তারের দেয়া নির্দেশ অনুসারে খেতে হবে। তেমনই ভগবদ্গীতাকে গ্রহণ করতে হবে ঠিক যেভাবে তার বক্তা তাঁকে গ্রহণ করবার নির্দেশ দিয়েছেন।