BN/Prabhupada 0939 - চৌষট্টি বার বিয়ে করা জামাইকে কেউ বিয়ে করবে না



730427 - Lecture SB 01.08.35 - Los Angeles

চৌষট্টি বার বিয়ে করা জামাইকে কেউ বিয়ে করবে না। ভক্তঃ অনুবাদঃ আবার অন্য আরও অনেকে বলেন যে তুমি আবির্ভূত হয়েছ শ্রবণ, স্মরণ, অর্চন আদি ভক্তিযোগের পন্থাসমূহ পুনঃপ্রবর্তন করার জন্য, জড়জাগতিক দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্থ বদ্ধজীবেরা যাতে ভক্তিযোগের সুযোগ নিয়ে জড়জগতের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারে।" (শ্রীমদ্ভাগবত ১।৮.৩৫)।

প্রভুপাদঃ সুতরাং অস্মিন ভবে। অস্মিন মানে "এই।" সৃষ্টি, ভবে মানে জড়জগত। ভব, ভব মানে "তুমি হবে।" "তুমি হবে" মানে তুমি শেষও হবে। যখনই তোমার হওয়ার প্রশ্ন আসে, তুমি শেষও হবে। যেকোনো জিনিস যার জন্ম হয়েছে, তার মৃত্যুও হবে। এটিই প্রকৃতির আইন। তথাকথিত বিজ্ঞানীরা, তারা চেষ্টা করছে, তারা তাদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার দ্বারা মৃত্যুকে থামানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা জানে না যে, জন্ম নেয়া যেকোনো কিছুরই মৃত্যুও হবে। জন্ম-মৃত্যু। এটি সম্বন্ধযুক্ত। আর যা কিছু জন্ম নেয়নি, তা কখনও মরবে না। ব্যাপারটা হচ্ছে জন্ম। জাগতিক যেকোনো কিছু জন্ম নেয়। কিন্তু চিন্ময় কখনও জন্ম নেয় না। তাই ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে, ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিণ (ভগবদ্গীতা ২.২০)। আত্মা কখনও জন্ম নেয় না, তাই আত্মা মরেও না।

ভবেস্মিন্‌। ভব, এই ভব মানে এই জড়জগত, সৃষ্টির প্রকাশ। ভবেস্মিন্‌ ক্লিশ্যমানানাম। এই জড়জগতের মধ্যে যেই রয়েছে, তাকে কর্ম করতে হবে। এটিই হচ্ছে জড়জগত। ঠিক যেমন জেলখানায়, এটি সম্ভব নয় যে কয়েদী সেখানে বসে থাকবে। আর তাকে জামাই আদর করা হবে। না। আমাদের দেশে মেয়ের জামাইরা খুব পূজ্য। পূজ্য মানে আদরণীয়। যাতে মেয়েকে ত্যাগ না করে। তাই কারো আশা করা উচিত নয়... আমরা ভারতবর্ষের মেয়ের জামাইকে নিয়ে অনেক রসাত্মক কিছু বলতে পারি। পূর্বে... এটিই নিয়ম ছিল যে মেয়েদেরকে অবশ্যই বিবাহ করতে হবে। এটি ছিল পিতার দায়িত্ব। এটিকে বলে কন্যাদান। একজন পিতা তার পুত্রকে বিবাহ নাও দিতে পারে। এটি কোন গুরুতর দায়িত্ব নয়। কিন্তু যদি কন্যা থাকে, তাহলে পিতাকে অবশ্যই তার বিবাহের ব্যবস্থা করতে হয়। দশ বছর, বারো বা তেরো বছর আগের কথা। এর বেশী নয়। এটিই নিয়ম। এটি ছিল বৈদিক নিয়ম। কন্যা। কন্যা মানে যৌবন আরম্ভের পূর্বে। কন্যা। তাই কন্যাদান। তাকে অবশ্যই কারো কাছে দান করা হতো। তো পুলিন ব্রাহ্মণেরা, ব্রাহ্মণরা ছিলেন খুব সম্ভ্রান্ত সম্প্রদায়। কিন্তু কোন উপযুক্ত জামাই খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন ছিল। তাই পূর্বে কোন ভদ্রলোক শুধুমাত্র বিয়ে করার মাধ্যমে ব্যবসায়ী হতেন। আমার ছেলেবেলায়, যখন আমি ছাত্র ছিলাম, একটি স্কুল ছাত্র, সে ছিল প্রথম সারির বন্ধু, সে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। আমি দেখলাম একজন ভদ্রলোক ধূমপান করছে, সে আমাকে বলল, "তুমি কি এই ভদ্রলোককে চেন?" তো আমি বললাম, "ওহ, আমি কি করে চিনব?" "তিনি হচ্ছেন আমার মাসির জামাই, আর আমার মাসি হচ্ছে উনার চৌষট্টিতম বউ।" চৌষট্টিতম। তাই এই সমস্ত পুলিন ব্রাহ্মণদের কাজ ছিল এইরকম। যেকোনো জায়গায় বিয়ে কর, সেখানে কিছুদিন থাক, আবার আরেক স্ত্রীর কাছে যাও, আবার আরেক স্ত্রীর কাছে যাও, আবার আরেক জায়গায়। শুধু বউয়ের কাছে যাওয়া, এই ছিল তাদের কাজ। এটি ছিল সামাজিক প্রথা, আমি তা দেখেছি। এখন এটি উঠে গেছে। চৌষট্টি বার বিয়ে করেছে, এমন জামাইকে কেউ বিয়ে করবে না। (হাসি) কিন্তু এটি একসময় ছিল। তো এই ক্ষেত্রে জামাই খুবই পূজ্য। অনেক গল্প রয়েছে। আমাদের এভাবে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। (হাসি)