BN/Prabhupada 0018 - শ্রীগুরুদেবের পাদপদ্মে সুদৃঢ় বিশ্বাস: Difference between revisions

 
(No difference)

Latest revision as of 04:48, 2 June 2021



Lecture on SB 6.1.26-27 -- Philadelphia, July 12, 1975

প্রভুপাদ : সুতরাং মুক্ত হওয়ার জন্যে এই সময়কে কাজে লাগাতে হবে। জীবনে আমাদের বার বার মৃত্যু হয়এবং আবার অন্য শরীর গ্রহণ করতে হয়। তো তাহলে তারা কি করে বুঝবে যদি তারা সঠিক গুরুর কাছে না যায়। সুতরাং শাস্ত্র বলেছে তৎ বিজ্ঞানার্থম ; " যদি তুমি জীবনের আসল সমস্যা কে জানতে চাও " আর যদি তুমি কৃষ্ণ চেতনা গ্রহণ করতে চাও , কি করে শাশ্বত হওয়া যায় এবং ভগবানের ধামে ফেরৎ যাওয়া যায়, তাহলে তোমাকে গুরুর কাছে যেতে হবে। " আর গুরু কে : সোজা ভাবে বোঝানো আছে, গুরু কখনো নিজের মনগড়া কথা বলেন না, " তুমি এটা কর আর আমাকে টাকা দাও তাহলে তুমি খুশি হবে। " সে গুরু নয়। এটা তো টাকা কামানোর একটা পদ্ধতি। এইখানে বলা হয়েছে, মুধা, সবাই যারা মূর্খের স্বর্গে আছে, অজামিলের মতো , নিজেদের মত পোষন করে... কেউ ভাবে, " এটা আমার কর্তব্য ",কেউ আছে... সেই মূর্খ। তোমাকে জানতে হবে তোমার কর্তব্য কী, গুরুর কাছ থেকে। তুমি রোজ গান করছ, গুরু মুখ পদ্ম বাক্য, চিত্তেতে করিয়া ঐক্য, আর না করিয়ো মনে আসা। এটা জীবন। এটাই জীবন। গুরু মুখ পদ্ম... তুমি প্রকৃত গুরু কে গ্রহন কর এবং সে যা আদেশ দেয় তাই মেনে চল। তাহলে তোমার জীবন পরিপূর্ণ হবে। আর না করিহ মনে আসা। তুমি বোকা আর কিছু আসা রাখবে না। তুমি রোজ গান করছো না ? আর তুমি এটার মানে বোঝ ? না কি তুমি শুধু গানই কর ? এর কি অর্থ ? কে আমাকে বলবে মানে কি ? কেউ জানে? কি অর্থ ?

ভক্ত : আমার এক মাত্র ইচ্ছা আমার মন শুদ্ধ হোক, গুরুর বাণী শুনে। আমার আর কোন ইচ্ছা নাই। "

প্রভুপাদ : হ্যাঁ, এইটা আদেশ , গুরু মুখ পদ্য বাক্য, চিত্তে তে করিয়া ঐক্য । চিত্তের অর্থ হচ্ছে চেতনা অথবা হৃদয়। "আমি এইটাই করবো আর কিছু না , আমার গুরু মহারাজ বললেন , আমি এটাই করব " চিত্তে তে করিয়া ঐক্য, আর না করিহ মনে আশা। সুতরাং এটা আমার অহংকার নয়, আপনি বলেছিলেন সেইজন্যে আমি করলাম। যা আপনারা দেখছেন এ সব আমার গুরুভাই দের জন্যে। আমার কোনো ক্ষমতা নাই, কিন্তু আমি গুরুর আদেশকে নিজের মনেপ্রানে গ্রহন করেছি। সুতরাং এটাই তত্ত্ব : গুরু মুখ পদ্য বাক্য চিত্তে তে করিয়া ঐক্য। সবাই কে সেটা করা উচিৎ। যদি কেউ এর মধ্যে ফের বদল করে তাহলে সেই শেষ। কোনো বদল করবেন না। তোমাকে গুরুর কাছে যেতে হবে -গুরু মানে কৃষ্ণের ভৃত্য। এবং তার আজ্ঞাতে কৃষ্ণ সেবা করুন। তাহলে তুমি সফল হবে। তুমি যদি ভাব " আমি গুরুর থেকে বুদ্ধিমান, আর আমি ফের বদল করতে পারি।" তাহলে তুমি শেষ। ব্যাস । এখন আগে গাও।

ভক্ত: শ্রী-গুরু চরণে রতি এই সেই উত্তম গতি।

প্রভুপাদ : ভক্ত -শ্রী গুরু চরণে রতি এই সেই উত্তম গতি। তুমি যদি সত্যি প্রগতি করতে চাও তাহলে তোমাকে গুরুর চরণে স্থিত ও বিশস্ত থাকতে হবে।

ভক্ত : যে প্রাসাদে পুরে সর্ব আসা।

প্রভুপাদ : যে প্রাসাদে পুরে সর্ব আসা। বৈষ্ণব দর্শনের এটাই নির্দেশ। সুতরাং যতক্ষন আমরা এরম না করবো ততক্ষন আমরা মূর্খ থাকব। এটা আজামিল-উপাখ্য়না তে বোঝানো আছে। আজকে আমরা এই শ্লোকটা পড়ছি স এবং বর্তমানহ অজ্ঞনাহ। আবার সেই বলে। আবার ব্যাসদেব বললেন, " ওই মূর্খ টা, নিজের পুত্রের, সেবায় মগ্ন ছিল ,নারায়ণ নামে। সে জানত না " এটা কি মূর্খামি, নারায়ন ?" সে নিজের পুত্র কে জানত। কিন্তু ভগবান নারায়ন খুব কৃপালু , কারন সে অনবরত নিজের পুত্র কে ডাকছিল। "নারায়ন, এইখানে আসো। নারায়ন এটা নিয়ে যাও। " সুতরাং কৃষ্ণ ভাবছেন, " ও নারায়ন জপ করছে। ' কৃষ্ণ এত কৃপালু। অজামিল কখনো ভাবেনি যে সে নারায়নের কাছে যাচ্ছে। সে নিজের পুত্রকে চাইছিল, পুত্রের প্রতি আসক্ত ছিল। কিন্তু সে নারায়নের নাম নেবার সুযোগ পেয়ছিল। এটা তার সৌভাগ্য, সুতরাং অতএব, এই অনুযায়ী, আমরা নাম পরিবর্তন করি। কেন ? কারণ প্রতিটি নাম কৃষ্ণের এর দাস হয়ে উঠার জন্য বোঝানো হয়। যেমন উপেন্দ্র। উপেন্দ্র মানে বামনদেব। তো তুমি যদি "উপেন্দ্র , উপেন্দ্র" বল তাহলে আপনার লাভ হবে। এটা পরে বিস্তৃত ভাবে বোঝানো হবে।