BN/Prabhupada 1048 - তুমি কখনও সুখী হতে পারবেনা, নির্ভুল নির্দেশনা, যদি না তুমি ভগবানের কাছে ফিরে যেতে পার: Difference between revisions
(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 1048 - in all Languages Categor...") |
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items) |
||
Line 9: | Line 9: | ||
<!-- END CATEGORY LIST --> | <!-- END CATEGORY LIST --> | ||
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | <!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | ||
{{1080 videos navigation - All Languages| | {{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 1047 - সে মিথ্যা কিছু কর্তব্য নিয়েছে আর খেটে চলছে, তাই সে একটা গাধা ছাড়া আর কিছুই না|1047|BN/Prabhupada 1049 - গুরু মানে ভগবানের বিশ্বস্ত সেবক। এই হচ্ছে গুরু|1049}} | ||
<!-- END NAVIGATION BAR --> | <!-- END NAVIGATION BAR --> | ||
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | <!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> |
Latest revision as of 07:08, 28 September 2021
750712 - Lecture SB 06.01.26-27 - Philadelphia
তুমি কখনোই সুখী হতে পারবে না - নির্ভুল নির্দেশনা - যদি না তুমি ভগবানের কাছে ফিরে যেতে পার আমরা আমাদের আদি পুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে জীবনের এই বদ্ধ অবস্থায় রয়েছি। কারণ আমরা শ্রীকৃষ্ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা আমরা ভুলে গিয়েছি। আমরা মনে করছি আমরা আমেরিকা অথবা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটিকে বলে মায়া। তারা আসক্ত... কেউ তার দেশের প্রতি আসক্ত, কেউ তার সমাজ বা পরিবারের প্রতি আসক্ত। সেখানে আমরা অনেক দায়িত্ব সৃষ্টি করেছি। তাই শাস্ত্র বলছে যে "এই সমস্ত বদমাশরা জানে না যে তাদের আসল স্বার্থ কি।" ন তে বিদুঃ স্বার্থগতিং হি বিষ্ণুং দুরাশয়া (শ্রীমদ্ভাগবত ৭.৫.৩১)। সে এমন কিছু আশা করছে যা কোন দিনও পূরণ হবে না। তাই সে একটা বদমাশ। আমরা এই জড় জগতের বস্তুর সাথে মানিয়ে নিয়ে সুখী হওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু এই মূর্খগুলি জানে না যে, যতদিন তারা এই জড় জগতে থাকবে, সুখের কোন প্রশ্নই নেই। এটি হচ্ছে মূর্খতা।
শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে এই জায়গাটি হচ্ছে দুঃখালয়ম অশাশ্বতম (ভগবদ্গীতা ৮.১৫)। এই জড় জগত, যেখানে এখন আমরা বসবাস করছি, একটার পর একটা বিভিন্ন রকমের দেহ পরিবর্তন করার মাধ্যমে, এটি দুঃখালয়ম। আমি কেন আমার দেহ পরিবর্তন করছি? আমি কেন নিত্য নই? ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে (ভগবদ্গীতা ২.২০)। তাই আমাদেরকে জানতে হবে, আমাদেরকে শিক্ষিত হতে হবে, আমাদেরকে নির্ভুল উৎস থেকে জ্ঞান আহরণ করতে হবে। এবং পরম নির্ভুল ব্যাক্তি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং তোমাকে জ্ঞান দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা এতোটাই দুর্ভাগা যে আমরা সেই নির্ভুল জ্ঞান গ্রহণ না করে - আমরা নিজেরাই বানাচ্ছি, আমরা জল্পনা কল্পনা করে নিজেদের মত তৈরি করছি- তাই এটিকে দুরাশয়া বলে বুঝতে হবে। আমরা ভাবছি, "আমি এই উপায়ে সুখী হবো। আমি ঐউপায়ে সুখী হবো..." কিচ্ছু না। তুমি কখনই সুখী হবে না- এটি নিখুঁত নির্দেশ- যদি না তুমি তোমার নিত্য আলয় ভগবদ্ধামে ফিরে যাচ্ছ। ঠিক যেমন একটি পাগল ছেলে, সে তার বাবাকে হারিয়ে ফেলেছে। তার বাবা একজন ধনী ব্যাক্তি, তার সব কিছু রয়েছে, কিন্তু সে হিপ্পি হয়ে গেছে। তো একইভাবে, আমরাও ঠিক এইরকম। আমাদের পিতা হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ। আমরা সেখানে আরামসে বসবাস করতে পারি, কোন উপদ্রব আর অর্থ উপার্জনের কোন প্রচেষ্টা ছাড়াই, কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা এই জড় জগতেই থাকব। এটিকে বলে গাধা। তাই মূঢ়।
আমরা জানি না আমাদের প্রকৃত স্বার্থ কোনটি। আর আমরা একটার পর একটা আশা করেই যাচ্ছি, "আমি এইভাবে সুখী হবো, আমি ঐভাবে সুখী হবো।" তাই মূঢ় শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তারা জানে না আসলে তাদের কিসে সুখ হবে, সে এটার পর একটা, একটার পর আরেকটা এভাবে শুধু চেষ্টা করেই যাচ্ছে, "এখন আমি সুখী হবো।" গাধা। অনেক সময় ধোপা গাধার পিঠে বসে এক গোছা ঘাস ধরে রাখে, সে এটাকে গাধার সামনে ঝুলিয়ে রাখে, আর গাধাটি সেই ঘাস খেতে চায়। কিন্তু সে যখন সামনের দিকে এগিয়ে যায়, ঘাসও সামনে যায়। (হাসি) আর সে ভাবে, "শুধু আর এক পা সামনে গেলেই, আমি ঘাসটি ধরে ফেলব।" কিন্তু যেহেতু সে একটা গাধা, তাই সে বুঝতে পারে না, যে, "ঘাসটি এমনভাবে অবস্থিত যে আমি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এগিয়ে গেলেও, আমি সুখকে ধরতে পারব না।" এই হচ্ছে গাধা। সে এই চেতনায় আসে না যে "লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি বছর ধরে আমি এই জড় জগতে সুখী হওয়ার চেষ্টা করতে পারি। আমি কখনই সুখী হবো না।"
কাজেই আমাদেরকে গুরুদেবের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে যিনি সবকিছু জানেন। তাই গুরুদেবকে পূজা করা হয়ঃ
- অজ্ঞানতিমিরান্ধস্য
- জ্ঞানাঞ্জনশলাকয়া।
- চক্ষুরুন্মীলিতং যেন
- তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।