BN/Prabhupada 0272 - ভক্তি দিব্য

Revision as of 05:54, 10 December 2021 by Soham (talk | contribs)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.7 -- London, August 7, 1973

সুতরাং এইসব কার্যক্রম মূর্খের কার্যক্রম। কিন্তু যখন কেউ সত্ত্বগুণে থাকে তখন সে ধীর হয় তিনি বুঝতে পারেন কিভাবে জীবনযাপন করতে হয়, জীবনের মূল্য কী তা বুঝতে পারেন, জীবনের উদ্দেশ্য কি, জীবনের লক্ষ্য কি। জীবনের উদ্দেশ্য হলো ব্রহ্মকে বুঝতে হবে। ব্রহ্ম জানাতি ব্রাহ্মণ। অতএব, ভাল গুণের মানে ব্রাহ্মণ। একইভাবে, ক্ষত্রিয়। তাই তারা, গুণ-কর্ম-বিভাগশ। গুণ। গুণকে মনে রাখা উচিত। শ্রীকৃষ্ণ তারপর বললেন; চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টম গুণ-কর্ম-বিভাগশ (ভ.গী.৪.১৩) আমরা কিছু গুণকে গ্রহণ করেছি। এটা খুবই কঠিন। কিন্তু আমরা অবিলম্বে সব গুণাবলীকে অতিক্রম করতে পারি। অবিলম্বে। কিভাবে? ভক্তি যোগ প্রক্রিয়া দ্বারা। স গুণান সমতিতৈতান ব্রহ্ম-ভূয়ায় কল্পতে (ভ.গী ১৪.২৬) যদি আপনি এই ভক্তি যোগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করেন, তবে আপনি আর প্রভাবিত হবেন না, এই তিনটি গুণাবলী থেকে, সত্ত্ব, রজো এবং তমো। এটি ভগবত গীতাতে বলা হয়েছে: মাম চ অব্যভিচারিণী ভক্তি যোগেন সেবতে। যে কেউ কৃষ্ণের ভক্তিমূলক সেবা নিযুক্ত। অব্যভিচারিনী, কোন বিচ্যুতি ছাড়াই, কঠোর, গভীর মনযোগে থাকা ব্যক্তি। মাম চ অব্যভিচারিনী যোগেন,মাম চ অব্যভচারিনী যোগেন ভজতে মাম স গুণান সমতিতৈতান (ভ.গী ১৪.২৬) অবিলম্বে, তিনি সব গুণাবলী অতিক্রম করে যায়। তাই ভক্তিমূলক সেবা এই জড় গুনের অধীনে নয়। তারা দিব্য। ভক্তি দিব্য। অতএব, আপনি ভক্তি ছাড়া কৃষ্ণ বা ভগবানকে বুঝতে পারবেন না। ভক্তা মাম অভিজানাতি (ভ.গী ১৮.৫৫)। শুধুমাত্র ভক্তা মাম অভিজানাতি। অন্যথায় এটা সম্ভব নয়। ভক্তা মামভিজানাতি যাবান যস্যাস্মি তত্ত্বত। বাস্তবতা, বাস্তবে, আপনি যদি ভগবান কি বুঝতে চান, তাহলে আপনি এই ভক্তিমূলক প্রক্রিয়া, ভক্তিমূলক সেবা গ্রহণ কর্রুন। তারপর আপনি পার করতে সক্ষম হবেন অতএব, শ্রীমদ্‌ ভাগবতমে, নারদ বলেছেন: ত্বক্তা স্ব ধর্ম চরনাম্বুজ হরে (শ্রী. ভা. ১.৫.১৭)। যদি কেউ, এমনকি নিজের আবেগবশতঃ, তার কর্তব্য ত্যাগ করে, গুণ অনুযায়ী ... তাকে স্ব ধর্ম বলা হয় ... স্ব-ধর্ম এর মা্নে গুণ অনুযায়ী, যে কর্তব্য সে অর্জন করেছে এটাকে স্ব-ধর্ম বলা হয়। ব্রাহ্মন,ক্ষত্রিয়, বৈশ্য,শুদ্র তাদেরকে ভাগ করা হয় গুন-কর্ম-বিভাগস (ভ.গী ৪.১৩) গুন এবং কর্ম দ্বারা।

তাই এখানে অর্জুন বলছেন যে, কার্পন্য দোষপহত-স্বভাব (ভ.গী ২.৭)। " আমি ক্ষত্রিয়।" তিনি বুঝতে পেরেছেন যে: "আমি ভুল করছি। আমি লড়াই করতে অস্বীকার করছি। অতএব, এটি কার্পন্য দোষ, কৃপণ কৃপণ অর্থ আমি ব্যয় করার জন্য কিছু উপায় পেয়েছি, কিন্তু যদি আমি এটি ব্যয় না করি, তাহলে এটিকে কৃপণ বলা হয়, কৃপণতা। তাই কৃপণতা, দুই শ্রেনীর মানুষ আছে, ব্রাহ্মণ এবং শুদ্র। ব্রাহ্মণ এবং শুদ্র। ব্রাহ্মণ মানে। তিনি কৃপণ নন। তিনি এই মানব শরীরের মহান সম্পদের সুযোগ পেয়েছেন। অনেক মিলিয়ন ডলার মূল্য, এই মানুষ্য দেহের ... কিন্তু সে সঠিকভাবে এটি ব্যবহার করছে না। শুধু এটি দেখছে; "আমি কতটা সুন্দর" ব্যাস। কেবল আপনার সৌন্দর্য ব্যয় বা, আপনার সম্পত্তি সদ্ব্যবহার করুন, মানুষ ... তিনিই ব্রাহ্মণ, উদার।