BN/Prabhupada 0945 - ভাগবত ধর্ম মানে ভগবান এবং আমাদের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন

Revision as of 13:24, 8 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 0945 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


720831 - Lecture - New Vrindaban, USA

ভগবৎ ধর্ম মানে হচ্ছে ভগবান আর ভক্তের মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনে যোগদান করার জন্য আমি তোমাদের সকলকে অত্যন্ত ধন্যবাদ জানাই। কীর্তনানন্দ মহারাজ ইতিমধ্যে যেমনটা বললেন, যে, এই ভগবৎ ধর্ম ভগবান স্বয়ং বলেছিলেন, শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন ভগবান। এটি একটি সংস্কৃত শব্দ। ভগ মানে ভাগ্য এবং বান মানে যার সেটা রয়েছে। এই দুটো শব্দ যোগ করে হয় ভগবান মানে যিনি পরম সৌভাগ্যবান। যখন কারো অনেক টাকা আর কারো অনেক শক্তি থাকে তখন আমরা সেটিকে আমাদের ভাগ্য বলে মনে করি, অথবা যদি কোনও ব্যক্তি অনেক সুদর্শন হন, যদি কেউ অনেক জ্ঞানবান হন, যদি কেউ জীবনে অত্যন্ত ত্যাগীর মতো হন। এরকম ছয় ধরণের ঐশ্বর্য রয়েছে, আর যখন কারও মাঝে এই ঐশ্বর্যগুলো পূর্ণ মাত্রায় থাকে, কোনোরকম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই, তাঁকেই ভগবান বলা হয়। সবথেকে ধনী, সবথেকে বিজ্ঞ, সবথেকে সুন্দর, সবথেকে বিখ্যাত, - তিনিই ভগবান। আর 'ভগবৎ' এসেছে 'ভগ' শব্দটি থেকে। ভগ থেকে বিশেষায়িত হয়ে 'ভাগ' হয়। সুতরাং ভাগবত। একইভাবে 'বৎ' থেকে এসেছে 'বান'। বৎ শব্দ। ভাগবত। সংস্কৃতে প্রতিটি শব্দ ব্যকরণগতভাবে অত্যন্ত সুগঠিত। প্রতিটি শব্দ। তাই এটিকে সংস্কৃত ভাষা বলা হয়। সংস্কৃত মানে সংশোধিত। আমরা আমাদের খেয়াল খুশি মত বানাতে পারি না। এটিকে অবশ্যই ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী হতে হবে।

তাই ভগবৎ ধর্ম হচ্ছে ভক্ত আর ভগবানের মধ্যকার সম্পর্ক। পরমেশ্বর হচ্ছেন ভগবান এবং তাঁর ভক্তেরা হলেন ভাগবত, অর্থাৎ ভগবানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই সবাই পরমেশ্বর ভগবানের সাথে সম্পর্কিত। ঠিক যেমন পিতা এবং পুত্র সবসময় সম্পর্কিত। এই সম্পর্ক কোন পরিস্থিতেই ভাঙ্গা যায় না। কিন্তু কখনও কখনও এমন হয় যে, পুত্র নিজের স্বাধীনতায়, ঘরের বাইরে যায় আর বাবার সাথে যে স্নেহের সম্পর্ক তা ভুলে যায়। তোমাদের দেশে এটি খুব অসাধারণ কিছু নয়। বহু ছেলেরাই পিতার স্নেহের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। এটি খুবই সাধারণ একটি অভিজ্ঞতা। সকলেরই স্বাধীনতা রয়েছে। ঠিক একইভাবে আমরাও সবাই ভগবানের সন্তান কিন্তু একই সাথে আমরা স্বাধীনও। সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন নই, কিন্তু স্বাধীন। আমাদের সবার স্বাধীন হবার প্রবণতা রয়েছে। যেহেতু ভগবান সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং আমাদের জন্ম হয়েছে ভগবানের থেকে, তাই আমরাও স্বাধীন হতে চাওয়ার গুণ পেয়েছি। যদিও আমরা ভগবানের মতো সম্পূর্ণ স্বাধীন হতে পারি না, কিন্তু সেই প্রবণতাটা আছে যে, "আমাকে স্বাধীন হতে হবে"। সুতরাং আমরা, বদ্ধজীবেরা, ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যখন আমরা ভগবানের থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনভাবে থাকতে চাই, সেটিই আমাদের বদ্ধ দশা।