BN/Prabhupada 0955 - অধিকাংশ জীবাত্মারাই ভগবদ্ধামে রয়েছে। কেবল অল্প সংখ্যক এই জগতে পতিত হয়েছে

Revision as of 15:40, 8 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 0955 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


750623 - Conversation - Los Angeles

ডাঃ মাইজঃ সমস্ত জীবাত্মা যারা চিন্ময় জগতে রয়েছে, তাদের কি এইজগতে একসঙ্গে পতন হয় নাকি ভিন্ন সময়ে, অথবা এমনও কি জীবাত্মা আছে, যারা সবসময়ই খুব ভাল, যারা বোকা নয়, তাদের কি পতন হয় না?

প্রভুপাদঃ না, সেখানে আছে... বেশীর ভাগ, নব্বই শতাংশ, তারা সবসময়ই ভাল। তাদের কখনো পতন হয় না।

ডাঃ মাইজঃ তাহলে আমরা কি ১০ শতাংশের মধ্যে পড়ি?

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ।অথবা তার থেকেও কম। এই জড় জগতে, সমস্ত জীবেরা তারা... ঠিক যেমন কারাগারে কিছু জনসংখ্যা রয়েছে, কিন্তু তারা সংখ্যায় বেশী নয়। বেশীরভাগ জনসংখ্যা, তারা কারাগারের বাইরে থাকে। তেমনি, অধিকাংশ জীবেরা, ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ,তারা চিন্ময় জগতে রয়েছেন। কিছু সংখ্যকের এই জড়জগতে পতন হয়।

ডাঃ মাইজ : শ্রীকৃষ্ণ কি আগে থেকেই জানেন যে জীবাত্মা বোকামি করবে এবং তার পতন হবে?

প্রভুপাদঃ কৃষ্ণ? হ্যাঁ, কৃষ্ণ জানতে পারেন কারণ তিনি সর্বজ্ঞ।

ডাঃ মাইজ : সবসময়ই কি আরও জীবাত্মার পতন হচ্ছে?

প্রভুপাদঃ সবসময় না। কিন্তু সেখানে পতনের প্রবণতা আছে, সবার জন্য নয়, কিন্তু যেহেতু সেখানে স্বাধিনতা রয়েছে... প্রত্যেকে স্বাধীনতার অপব্যবহার করতে চায় না। একই উধাহরণঃ ঠিক যেমন একজন সরকার একটি শহর নির্মাণ করেন, এবং কারাগারও নির্মাণ করেন, কারণ সরকার জানে যে কেও অপরাধী হবে, তাই তাদের জন্য আশ্রয় তৈরি করতে হবে। এটি বোঝা খুবই সহজ। এমন নয় যে শতভাগ লোক অপরাধী হবে, কিন্তু সরকার জানে যে তাদের মাঝে কিছু পরিমাণ হবে। নয়তো তারা কেন কারাগার নির্মাণ করে? কেও বলতে পারে যে, " কোথায় অপরাধী? তোমরা নির্মাণ করছ..."সরকার জানে যে সেখানে অপরাধী থাকবে। তাই যদি সাধারণ সরকার জানতে পারেন, তাহলে ভগবান কেন জানবেন না? কারণ সেখানে প্রবণতা আছে।

ডাঃ মাইজ: সেই প্রবণতার উৎস .....

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ।

ডাঃমাইজঃ এই প্রবণতা কথা থেকে আসছে?

প্রভুপাদঃ প্রবণতা মানে স্বাধীনতা। তাই প্রত্যেকে জানতে পারে যে স্বাধীনতার অর্থ হল কেও এর সদ্ব্যবহার করতে পারে, কেও অপব্যবহার করতে পারে। সেটাই হল স্বাধীনতা। তুমি যদি এটি কেবলমাত্র একদিকে তৈরি করো, যেন তোমার অধঃপতন না হয়, সেটি স্বাধীনতা নয়। সেটি বলপূর্বক। তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, যথেচ্ছসি তথা কুরু (গীতা ১৮.৬৩)ঃ" এখন যা ইচ্ছা হয় তাই কর"।