BN/Prabhupada 1019 - তুমি যদি শ্রীকৃষ্ণের জন্য কিছু সেবা কর, শ্রীকৃষ্ণ তোমাকে শতগুণে পুরস্কৃত করবেন

Revision as of 14:46, 26 September 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 1019 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730408 - Lecture SB 01.14.44 - New York

অতএব, যুধিষ্ঠির মহারাজ বুঝতে পেরেছিলেন যে শ্রীকৃষ্ণ আর এই গ্রহে নেই; তাই তিনি বিভিন্ন রকমের অমঙ্গল সূচক লক্ষণ দেখতে পাচ্ছিলেন। এখন যখন অর্জুন ফিরে আসলেন, তিনি জিজ্ঞাসা করছেন, "তুমি কেন বিষণ্ণ? তুমি কি এটি করেছ? তুমি কি সেটি করেছ? সবকিছু। এখন তিনি সমাপ্তি টানলেন, "আমি মনে করি তোমার এই তীব্র বিষণ্ণতার কারণ হচ্ছে, শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে তোমার বিচ্ছেদ, যা আমি অনুভব করছিলাম। "কচ্চিৎ প্রেষ্ঠতমেনাথ। প্রেষ্ঠতমেনাথ, এটি সর্বোচ্চ বা পরম। ইংরেজি ভাষায় যেমন পজেটিভ, কম্পারেটিভ আর সুপারলেটিভ আছে, একইভাবে সংস্কৃতেও। প্রেষ্ঠ হচ্ছে পজিটিভ, প্রেষ্ঠ পরা হচ্ছে কম্পারেটিভ, আর প্রেষ্ঠতম হচ্ছে সুপারলেটিভ ডিগ্রী। শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন প্রেষ্ঠতম, প্রিয়তম, সর্বোচ্চ মাত্রায়। কচ্চিৎ প্রেষ্ঠতমেনাথ। প্রেষ্ঠতমেনাথ হৃদয়েনাত্মবন্ধুনা। আত্মবন্ধু, সুহৃদ। সংস্কৃতে বিভিন্ন শব্দ রয়েছে, আত্মবন্ধু, সুহৃদ, বন্ধু, মিত্র- এগুলোর সবগুলোই বন্ধুকে বোঝায়, কিন্তু বিভিন্ন মাত্রায়। মিত্র মানে সাধারণ বন্ধু। যেমন তোমরা বলে থাক "সে আমার বন্ধু," এর মানে এটি বোঝায় না যে সে আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু। তাই শ্রেষ্ঠ বন্ধু হচ্ছে সুহৃদ। সুহৃদ মানে "কোন প্রতিদান ছাড়াই।" যদি তুমি কারো সমন্ধে চিন্তা কর যে, সে কি করে সুখী হতে পারে, এটিকে বলে সুহৃদ।

সুতরাং হৃদয়েনাত্মবন্ধুনা। অর্জুন সর্বদাই শ্রীকৃষ্ণের কথা চিন্তা করতেন, আর এটিই ছিল সম্পর্ক। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, সাধবো হৃদয়েং মহ্যং (শ্রীমদ্ভাগবত ৯.৪.৬৮)। যেহেতু ভক্তরা সর্বদাই শ্রীকৃষ্ণের কোথা চিন্তা করে, একইভাবে শ্রীকৃষ্ণও তাঁর ভক্তদের কোথা চিন্তা করেন। তিনি আরও বেশী চিন্তা করেন। এটি হচ্ছে ভাবের আদান-প্রদান।

যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে
তাংস্তথৈব ভজাম্যহম
(ভগবদ্গীতা ৪.১১)।

যদি তুমি চব্বিশ ঘণ্টাই শ্রীকৃষ্ণের কথা চিন্তা কর, তাহলে শ্রীকৃষ্ণ তোমার কথা ছাব্বিশ ঘণ্টা চিন্তা করবে। (হাসি) শ্রীকৃষ্ণ এতো দয়ালু। যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণের জন্য কিছু সেবা কর, শ্রীকৃষ্ণ তোমাকে শতগুনে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু মানুষ তা চায় না। তারা মনে করে, "শ্রীকৃষ্ণের সেবা করে আমাদের কি লাভ হবে? আমাকে আমার কুকুরের সেবা করতে দাও।" এটিই হচ্ছে ভুল ধারণা। আর আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে এই সুপ্ত কৃষ্ণভাবনামৃতকে জাগিয়ে তোলা। প্রত্যেকের মধ্যে ভালোবাসা রয়েছে- সঞ্চিত প্রেম রয়েছে- কিন্তু এটি ভুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তারা জানে না এই ভালবাসাকে কোথায় দিতে হয় যাতে করে... যেহেতু তারা জানেনা; তাই তারা হতাশ হচ্ছে , তারা বিমর্ষ হচ্ছে।

তাই আমাদের এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন হচ্ছে শুধুমাত্র মানুষকে এই বিষয়ে শিক্ষিত করা যে "তুমি ভালবাসছ। তুমি একজন উপযুক্ত প্রেমিকের জন্য পাগল যে তোমাকেও ভালবাসবে। কিন্তু এই জড়জগতে তুমি এমনটি খুঁজে পাবে না। সেটি তুমি খুঁজে পাবে, যখন তুমি শ্রীকৃষ্ণকে ভালবাসবে।" আর এটি হচ্ছে আমাদের কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন। এটি অতিরঞ্জিত বা বানানো কিছু নয়। প্রত্যেকেই তা বুঝতে পারে যে "আমি কাউকে ভালবাসতে চাই।" কিন্তু সে হতাশাকেই খুঁজে পাচ্ছে কারণ সে শ্রীকৃষ্ণকে ভালবাসছে না। এই হচ্ছে (অস্পষ্ট)। তুমি যদি শুধু তোমার ভালোবাসার শক্তিকে শ্রীকৃষ্ণের দিকে ফিরাও, তাহলেই তুমি পূর্ণ হবে, তুমি সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট হবে, যয়াত্মা সুপ্রসীদতি (শ্রীমদ্ভাগবত ১.২.৬)। আমরা মনের শান্তি পেতে চেষ্টা করছি, মনের শান্তি পেতে চাই, পূর্ণ সন্তুষ্টি। এই পূর্ণ সন্তুষ্টি কেবল তখনই অর্জন করা যাবে, যখন তুমি জানতে পারবে যে কি করে শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসা যায়। এটিই হচ্ছে রহস্য। অন্যথায় তুমি পারবে না। কারণ... কারণ তুমি ভালবাসতে চাও আর সন্তুষ্ট হতে চাও- এটি পরিপূর্ণ হবে যখন তুমি শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসার স্তরে পৌঁছাবে।