BN/Prabhupada 0270 - প্রত্যেক ব্যাক্তির নিজের প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি আছে
Lecture on BG 2.7 -- London, August 7, 1973
প্রদ্যুন্মঃ অনুবাদ, "এখন আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে বিভ্রান্ত এবং দুর্বলতা কারণে সব মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছি। এই অবস্থায়, আমি আপনাকে স্পষ্টভাবে জিজ্ঞাসা করছি আমার জন্য এখন কি করা শ্রেয়ষ্কর। এখন আমি আপনার শিষ্য এবং একটি আত্মা যা আপনাকে নিবেদিত। আমাকে আদেশ দাও।"
প্রভুপাদঃ এটি ভগবত গীতার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক। এটি জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য বাঁক পয়েন্ট। কার্পন্য-দোষ। কৃপন, দোষ মানে ভুল করা। যখন কেউ তার পরিস্থিতি অনুসারে কাজ করে না, তখন এটি একটি ভুল। এবং তাকে কৃপন বলা হয়। তাই প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব প্রাকৃতিক প্রবণতা, স্বভাব আছে। যস্য হি স্বভাবস্য তস্যাসৌ দুরতিক্রম্যঃ। স্বভাব, প্রাকৃতিক প্রবণতা। এটি একটি সাধারণ উদাহরণ, এটি দেওয়া হয়, যস্য হি স্বভাবস্য তস্যাসৌ দুরতিক্রম্যঃ। এক ... অভ্যাস দ্বিতীয় প্রকৃতি। একজন যিনি অভ্যস্থ, যেটা, যার প্রকৃতি, কোন কিছু ভাবে, পরিবর্তন করা খুব কঠিন। একটি উদাহরন দেওয়া হয়ঃ শ্বা যদি ক্রিয়তে রাজা স কিম ন সৌ উপহনম। যদি আপনি একটি কুকুরকে একটি রাজা বানান, তাহলে কি সে জুতা লেহন করা ছেড়ে দেবে? হ্যাঁ, কুকুরের প্রকৃতি জুতা লেহন করা। এমনকি যদি আপনি একে একটি রাজার মত প্রস্তুত করেন এবং একটি সিংহাসন তাকে স্থাপন করেন, যাইহোক, যত তাড়াতাড়ি সে একটি জুতা দেখবে সে লাঁফ মারবে এবং সে ওটাকে লেহন করবে। একেই বলে স্বভাব। কার্পন্য-দোষ।
পশু জীবন, এই প্রকৃতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, যা জড় প্রকৃতি দ্বারা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতি ক্রিয় মানানি (ভ.গী ৩.২৭)। কারনম গুন-সঙ্গস্য, কারনম গুন-সঙ্গস্য সদ অসদ জন্ম যোনিষু (ভ.গী ১৩.২২) কেন? সমস্ত প্রাণী ঈশ্বরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই মূলত প্রাণীর প্রকৃতি ভগবানের মতই। শুধু এই পরিমানের প্রশ্ন। গুণমান একই। গুণমান একই। মামৈবাংশ জীব-ভুতা (ভ.গী ১৫.৭)। একই উদাহরন। যদি আপনি সমুদ্রের এক বিন্দু জল নেন, তার গুণমান, রাসায়নিক গঠন একই। কিন্তু মাত্রা ভিন্ন। এটি এক ড্রপ, এবং সমুদ্র একটি বিশাল মহাসাগর। একইভাবে, আমরা আসলে কৃষ্ণের গুণের মাত্রাই। আমরা অধ্যয়ন করতে পারি কেন মানুষ বলছেন যে ভগবান নৈর্ব্যক্তিক? যদি আমি একই মানের হই, তাহলে ভগবানও একজন ব্যক্তি, কিভাবে তিনি নৈর্ব্যক্তিক হতে পারেন? যদি, গুণগত, আমরা এক, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তাহলে ভগবানের ব্যক্তিত্ব অস্বীকার করা উচিত কেন? এটি একটি অর্থহীন কথাবার্তা, মায়াবাদী দুষ্ট, তারা ভগবানের প্রকৃতি কি বুঝতে পারে না। এটি বাইবেলেও বলা হয়েছে: "মনুষ্যকে পরমেশ্বরের মত বানান হয়েছে। আপনি আপনার মানের অধ্যয়ন দ্বারা ভগবানের গুনের অধ্যয়ন করতে পারেন, বা অন্য কারোর গুনের। শুধু পার্থক্য পরিমানের। আমার কিছু মান আছে, কিছু উৎপাদনশীল ক্ষমতা। আমরা উৎপাদন করি, প্রতিটি জীব কিছু উৎপাদন করছে। কিন্তু তার উৎপাদন ভগবানের উৎপাদনের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। এটি পার্থক্য। আমরা একটি উড়ন্ত মেশিন উৎপাদন করছি। আমরা খুব গর্বিত যে: "এখন আমরা স্পুতনিক আবিষ্কৃত করেছি, এটি চাঁদ গ্রহে যাচ্ছে।" কিন্তু এটি সম্পূর্ণ নয়। এটা ফিরে আসে। কিন্তু ভগবান অনেক উড়ন্ত গ্রহ, লক্ষ লক্ষ এবং কোটি কোটি গ্রহ সৃষ্টি করেছেন, খুব ভারী, ভারী গ্রহ। এই গ্রহের মত যে একটি বৃহৎ বড় বড় পাহাড়, সাগর, কিন্তু এখনও এটি উড়ন্ত। এটি একটি তুলোর মত বায়ুতে ভাসমান আছে। এটা ভগবানের শক্তি। গাম আবিষ্য (ভ.গী.১৫.১৩) ভগবত গীতাতে, আপনি পাবেন: অহম ধারয়ামি অজসা। কে এই সব বড়, বড় গ্রহ বানিয়ে রেখেছে? আমরা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যাখ্যা করছি। এবং শাস্ত্রে আমরা এটি পাই যে এটা সংকর্ষন দ্বারা উঠানো হচ্ছে।