Template

Template:BN/Bengali Main Page - What is Vanipedia

Revision as of 13:18, 30 September 2019 by ManiGopal (talk | contribs)

বাণীপিডিয়া হচ্ছে শ্রীল প্রভুপাদের বাণীসমূহের এক চলমান বিশ্বকোষ। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা শ্রীল প্রভুপাদের শিক্ষাবলীকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ এবং সংকলন করে সেগুলো সুলভ ও সহজবোধ্যরূপে উপস্থাপন করি। সকলের কল্যাণের লক্ষ্যে আমরা শ্রীল প্রভুপাদের ডিজিটাল শিক্ষাসমূহের এক অতুলনীয় সংগ্রহভান্ডার নির্মাণ করছি যার দ্বারা তিনি (শ্রীল প্রভুপাদ) কৃষ্ণভাবনামৃতের বিজ্ঞান প্রচার ও শিক্ষা দেয়ার জন্য এক নিরবচ্ছিন্ন ও বৈশ্বিক প্রচারমাধ্যম পাবেন।

এই বাণীপিডিয়া কর্মসূচী বিশ্বব্যাপী এক বহুভাষিক ও পারস্পরিক সহযোগিতামূলক উদ্যোগ যা শ্রীল প্রভুপাদের অসংখ্য আগ্রহী ভক্তদের অংশগ্রহণের কারণে সফলতা লাভ করছে। প্রতিটি ভাষা এই সেবাকার্যের অগ্রগতির এক একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে রয়েছে। আমরা ২০২৭ সালের নভেম্বর মাসে শ্রীল প্রভুপাদের ৫০তম তিরোভাব তিথিতে শ্রীল প্রভুপাদের সমস্ত ধারণকৃত প্রবচন, কথোপকথন এবং পত্রসমূহ কমপক্ষে ১৬টি এবং ৩২টি ভাষায় অন্ততপক্ষে শতকরা ২৫ ভাগ সম্পূর্ণ অবস্থায় অর্পণ করতে চাই। এর মধ্যে একটি ভাষা কি বাংলাও হবে?

"মাতৃভাষারূপে ব্যবহৃত জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাংলা বিশ্বের ৫ম স্থানীয় এবং সর্বাধিক সংখ্যক লোকের ব্যবহৃত ভাষার ভিত্তিতে বাংলা বিশ্বের ৭ম শীর্ষ ভাষা। বাংলা সারা বিশ্বে প্রায় ২৮ কোটি লোকের প্রথম ব্যবহৃত ভাষা বা মাতৃভাষা এবং প্রায় ৪ কোটি লোকের দ্বিতীয় ব্যবহৃত ভাষা। ভারতবর্ষে ২২টি আনুষ্ঠানিক ভাষার মধ্যে সবচাইতে অধিক সংখ্যক লোকের মুখে ব্যবহৃত ভাষার বিচারে হিন্দীর পরই বাংলার অবস্থান। এই ভাষার ইতিহাস হাজারো বছরের পুরনো। ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং তাঁর সবচাইতে অন্তরঙ্গ পার্ষদদের অধিকাংশই বাংলা ভাষায় কথা বলতেন। শ্রীমন্মহাপ্রভুর অপূর্ব, দিব্য লীলাচরিত ও তাঁর প্রেমনাম সংকীর্তন আন্দোলনের বর্ণনা যেই তিনটি প্রখ্যাত গ্রন্থ (শ্রীচৈতন্য ভাগবত, শ্রীচৈতন্য মঙ্গল এবং শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত) -এর মাধ্যমে জগতবাসীর কাছে উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয়েছে, তার সবগুলোই বাংলা ভাষায় রচিত। শ্রীচৈতন্যদেবের  পরবর্তীকালে আমাদের ব্রহ্ম-মাধ্ব গৌড়ীয় পরম্পরা ধারার প্রখ্যাত আচার্যগণের মধ্যে নিত্যানন্দশক্তি শ্রীমতি জাহ্নবা মাতা, শ্রীশ্রীরূপ ও সনাতন গোস্বামী, শ্রীল জীব গোস্বামী, বীরচন্দ্র প্রভু, শ্রীনিবাস আচার্য, শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুর মহাশয়, শ্রীল রামচন্দ্র কবিরাজ, শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর, শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর এবং ইস্‌কন প্রতিষ্ঠাতা আচার্য শ্রীল প্রভুপাদ স্বয়ং বাঙ্গালী পরিবারে আবির্ভূত হয়ে গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে যুগযুগ ধরে আমাদের পূজনীয় ও বরণীয় হয়ে এসেছেন। শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে একদিন শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের অপ্রাকৃত ও অপূর্ব স্বাদ আস্বাদন করার জন্য সারা বিশ্বের ভক্তবৃন্দ বাংলা ভাষা শিখবেন। শ্রীমন্মহাপ্রভুর দিব্য বাণী যদি শ্রীল প্রভুপাদের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সমস্ত ভাষায় ছড়িয়ে পড়ে তাহলে নিঃসন্দেহে বাংলা সেই অমিয়বাণীর ধারাপ্রবাহের এক অন্যতম প্রধান ধারা হিসেবে বাহিত হবে তাতে আর আশ্চর্যের কি রয়েছে?"