"মোটামুটি ভাবে, আমরা সবসময়ই সত্ত্ব, রজ আর তম এই তিন গুণের মিশ্রিত অবস্তায় থাকি। এটাই আমাদের জড় অবস্থা তাই মাঝে মাঝে আমরা যখন সত্ত্বগুণে থাকি তখন কৃষ্ণভাবনাময় হই। আবার যখন রজ ও তম গুণ আক্রমণ করে তখন আবার অধঃপতিত হই। সুতরাং আমাদেরকে এই গুণগুলোর ঊর্ধ্বে যেতে হবে। ত্রৈগুণ্যবিষয়া বেদা নিস্ত্রৈগুণ্যো ভবার্জুন (শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতা ২.৪৫)। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে উপদেশ দিচ্ছেন যে, 'তুমি এই তিন গুণগুলোকে অতিক্রম কর।' কাজেই এটা কিভাবে করা যায়? এটা করা যাবে শুধুমাত্র কৃষ্ণকথা শ্রবণের মাধ্যমে। এটা হচ্ছে নৈর্গুণ্যস্থা রমন্তে স্ম গুণানুকথনে হরেঃ (শ্রীমদ্ভাগবতম ২.১.৭)। তুমি যদি নিজেকে শুধুমাত্র কৃষ্ণ কথা শ্রবণে নিয়োজিত রাখ, তাহলে তুমি নিস্ত্রৈগুণ্য। এই হচ্ছে পদ্ধতি, সহজ, আর কোন কাজ নেই। তাই আমরা তোমাকে অনেক গ্রন্থ দিচ্ছি। ঘুমাবে না। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করবে না। অবশ্যই তোমাকে ঘুমাতেও হবে।তবে যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আন। আহার, নিদ্রা, ভয়, মৈথুন-এগুলো কমাও।"
|