"গোবিন্দ, যেহেতু তিনি এই ব্রহ্মাণ্ডে প্রবেশ করেছেন। তাই এই মহাজাগতিক প্রকাশ সম্ভব হয়েছে। অন্যথায় এটি সম্ভব নয়। ঠিক যেমন আমি হচ্ছি আত্মা, তুমি হচ্ছো আত্মা। যেহেতু আমি এই শরীরে প্রবেশ করেছি, অথবা তুমি এই শরীরে প্রবেশ করেছো তাই এই শরীরটির চলাফেরা সম্ভব হচ্ছে। যেই মুহূর্তে আমি অথবা তুমি এই শরীরটি ত্যাগ করব, এটা নিস্তেজ হয়ে যাবে, আর নড়াচড়া করবে না। এটা বোঝা খুবই সহজ। একইভাবে এই মহাজাগতিক সৃষ্টির ক্রিয়াকলাপ কিভাবে চলছে টা এই সমস্ত তথাকথিত বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক আর বদমাশগুলো বুঝতে পারেনা যে, যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ এতে প্রবেশ করেছেন, এটা উপলব্ধি করা খুবই সোজা। আমি শ্রীকৃষ্ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ,অতি ক্ষুদ্র অংশ, তবুও যেহেতু আমি এই শরীরে প্রবেশ করেছি তাই এটি নড়াচড়া করছে, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ চলছে। এটা কি বোঝা খুবই কঠিন? সুতরাং যেকেউ এটি বুঝতে পারবে যে এই বিশাল জড়পিণ্ডটির মহাজাগতিক প্রকাশ যদি আমার মতো আত্মারূপ কোন কিছু না থাকত তাহলে কিভাবে এত সুন্দরভাবে চলছে।"
|