""যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণকেই জানতে না পার, তাহলে তোমার সেই তথাকথিত বেদ, বেদান্ত আর উপনিষদ অধ্যয়ন শুধু অপ্রয়োজনে সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়। কুন্তী দেবী এখানে সরাসরি বলেছেন যে, 'আমার প্রিয় শ্রীকৃষ্ণ , তুমি হচ্ছো আদ্যমপুরুষম, আদি পুরুষ এবং ঈশ্বরম । তুমি সাধারণ মানুষ নও। তুমি পরম নিয়ন্তা' (শ্রীমদ্ভাগবতম ১.৮.১৮)। এটি হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ সম্বন্ধে উপলব্ধি। ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ. (শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতা ৫.১)। প্রত্যেকেই নিয়ন্তা কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরম নিয়ন্তা। যদিও এই জড় জগতকে দুঃখালয়ম অশাশ্বতম (শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতা ৮.১৫) নিন্দা করা হয়, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন- এটিও তাঁরই রাজ্য, কারণ সবকিছুই ভগবানের, সবকিছুই শ্রীকৃষ্ণের অধীনে। তাই এই নিন্দিত স্থানটি দণ্ডিত ব্যক্তিদের কষ্টভোগের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কারা দোষী সাব্যস্ত? যারা শ্রীকৃষ্ণকে ভুলে গেছে এবং স্বাধীনভাবে নিজেরাই সুখী হতে চায়। তারা সকলেই দণ্ড প্রাপ্ত অসুর। আর যারা শ্রীকৃষ্ণের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, তারা দণ্ডিত নয়। এটাই হচ্ছে পার্থক্য।"
|