"ভগবান প্রকৃতিকে নির্দেশ দেন, 'এই জীবাত্মা এরকম কিছু একটা চাচ্ছে। তুমি তাঁকে একটি যন্ত্র প্রদান কর'। তখন প্রকৃতি আমাদেরকে বিভিন্ন ধরণের যন্ত্র প্রদান করে। প্রকৃতিঃ ক্রিয়মাণানি গুণৈঃ কর্মাণি সর্বশঃ(শ্রীমদ্ভাগদ্গীতা ৩.২৭)। আমি এই যন্ত্রটি চালাচ্ছি না কিংবা আমি এটি তৈরিও করিনি। আমি এটিকে আমার কর্ম করার জন্য কিংবা বাসনা পূরণ করার জন্য উপহার স্বরূপ পেয়েছি। এই হচ্ছে অবস্থা। তাই শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, 'তুমি আখিন খুব ভালো একটি যন্ত্র পেয়েছো। নৃ-দেহম। মনুষ্য দেহ হচ্ছে সবচেয়ে ভালো যন্ত্র। নৃ-দেহম আদ্যম্ সুলভম সুকল্পম। এটা অত্যন্ত দুর্লভ। অনেক কষ্ট করে তোমরা এই যন্ত্রটি পেয়েছ। কারণ আমাদেরকে আর বহু যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে আসতে হয়েছে-জলজ প্রাণী, তৃণ, পোকামাকড়, গাছপালা, সাপ, সরিস্রিপ , তারপর পাখি, তারপর পশু- লক্ষ লক্ষ বছর ধরে। যেমন তোমরা এখন গাছগুলোকে দেখতে পাচ্ছ, যেগুলো হয়ত পাঁচ হাজার বছর ধরে দারিয়ে আছে। তাই তুমি যদি এই যন্ত্রটা পাও তাহলে তুমি নড়তে পারবে না, তোমাকে এক জায়গায় দারিয়ে থাকতে হবে। কাজেই আমাদেরকেও এগুলোর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। মূর্খরা তা জানে না। সুতরাং এই যন্ত্রটি হচ্ছে সুলভম। সুলভম মানে খুব সৌভাগ্যের ফলে আমরা এই যন্ত্রটি লাভ করেছি।"
|