"প্রকৃতেঃ ক্রিয়মাণানি গুণৈঃ কর্মাণি সর্বশঃ (শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতা ৩.২৭)। আমরা মনে করছি যে, 'আমি সবকিছুর কর্তা। এটি সত্য নয়। সত্য হল যে, আমাদের কারো অধীনে কাজ করতে হবে। এটিই আমাদের প্রকৃত অবস্থান। জীবের 'স্বরূপ' হয় নিত্য কৃষ্ণ দাস (চৈ.চ. মধ্য ২০.১০৮-১০৯)। আমরা কর্মী। আমরা ভোক্তা নই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা ভোক্তার অবস্থান গ্রহণের চেষ্টা করছি। এটা হচ্ছে মায়া। এটা মায়া। কিন্তু যদি আমরা শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশনায় কর্ম করতে সম্মত হই তখন আমাদের প্রকৃত জীবন পুনরুজ্জীবিত হবে। এটাই প্রত্যাশিত। কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন মানে আমরা মানুষকে তাঁদের চেতনা পরিবর্তনের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা বিভিন্ন ধরণের চেতনার অধীনে অসংখ্য বাসনা লাভ করেছি। তো একটি বাসনা হচ্ছে যে। 'আমি শ্রীকৃষ্ণের নিত্য দাস', একে বলে মুক্তি, শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, 'সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং স্মরণং ব্রজ (শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতা ১৮.৬৬)। এটি হলো মুক্তি। যদি তুমি সমস্ত বাসনা পরিত্যাগ করে শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছাকে গ্রহণ কর, যা মামেকং স্মরণং ব্রজ, 'তুমি আমার নিকট আত্মসমর্পণ কর।' এই হলো মুক্তি।"
|