"শ্রীকৃষ্ণ গাভী, গোবৎস এদের দেখাশোনা করতেন, যদিও (অস্পষ্ট)। এটিই নিয়ম। তিনি সারাদিন বাছুরদের সাথে অতিবাহিত করতেন, রাখাল বালকদের সাথে খেলাধূলা করতেন আর গাভীদের যত্ন নিতেন এবং সন্ধ্যায় ফিরে আসতেন। তখন মা তাঁর হাত পা ধৌত করে সুন্দর আহার পরিবেশন করতেন। এরপর খুব শীঘ্র তিনি ঘুমিয়ে পড়তেন। কিন্তু কৃষ্ণ খুব চালাক। রাত্রিবেলা তিনি গোপীদের নিকট যেতেন (হাসি)। মা যশোদা তা জানতেন না, তিনি ভাবতেন 'আমার সুন্দর ছেলেটা ঘুমাচ্ছে।' তখন গোপীরাও একই জায়গায় আসতেন এবং তাঁরা সবাই নৃত্য করতেন। এটাকে বলে জীবন, বাল্যকাল বা ছেলেবেলা। যখন তিনি বয়ঃপ্রাপ্ত হলেন, তখন তাঁকে মথুরায় নিয়ে আসা হলো, তিনি তাঁর মামার সাথে যুদ্ধ করে তাকে হত্যা করলেন। তখন তাঁর পিতা বসুদেব তাঁর যত্ন নিলেন, তিনি তাঁকে সান্দিপনী মুনির কাছে প্রেরণ করলেন, তিনি শিক্ষা লাভ করলেন। তিনি প্রতিদিন প্রতিটি বিষয়ে শিক্ষা লাভ করতে লাগলেন। এরপর তাঁকে দ্বারকায় নিয়ে আসা হল, সেখানে বহু রাণীকে বিবাহ করে তিনি রাজা হলেন। শ্রীকৃষ্ণের জীবনে তিনি সর্বদাই ব্যস্ত। শ্রীকৃষ্ণকে তুমি কখনোই কর্মহীন দেখতে পাবেনা। জীবনের শুরু থেকেই তিনি পুতনা, অঘাসুর, বকাসুরদের হত্যা করতে ব্যস্ত। তাঁর বন্ধুরা অঘাসুরদের মুখে প্রবেশ করেছিল। তারা দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিল যেঃ 'ওহ্ কৃষ্ণ এখানে আছে, সে অবশ্যই এটাকে হত্যা করবে। এই হচ্ছে বৃন্দাবন।"
|