"সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, দেহিনোহস্মিন্ যথা দেহে কৌমারং যৌবনং জরা, তথা দেহান্তরপ্রাপ্তি (শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতা ২.১৩)। দেহান্তর-প্রাপ্তি এখানে সেই তথ্য রয়েছে। তাহলে কিভাবে আমরা অশিকার করি যে , মৃত্যুর পর আর জীবন নেই। আছে। কিন্তু কেউ এটা জানার জন্য উদ্বিগ্ন হয় না যে, আমার পরবর্তী জন্ম কি হবে? কি ঘটতে চলেছে? আজকে আমি বড় অবস্থানে আছি এবং আগামীকাল আমি একটি গাছ হতে চলেছি......। এখানে খুব আরামে এই ঘরে আমরা বসে আছি। মাত্র কয়েক বছর পরেই সে এখানে একটি গাছ হবে। সে এমনকি এক ইঞ্চিও নড়তে পারবে না। তাঁকে সাইক্লোন, প্রখর সূর্যতাপ প্রভৃতি সবকিছুর মধ্যেই তাঁকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। কেন? আমরা উভয়ই জীবাত্মা। সে কেন এই দেহ পেল, আমি এই দেহ পেয়েছি। আর আরেকজন আমার থেকেও উন্নত দেহ পেয়েছে? কেন এই অসংখ্য, ৮৪০০০০০ প্রজাতির জীবন আর বিভিন্ন অবস্থান? এরকম কেন? এই ধরণের কোন অনুসন্ধান বা জিজ্ঞাসা নেই। এই ধরণের কোন জ্ঞান নেই। তাই তাদেরকে এখানে অন্ধ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।"
|