"পরমসত্য তিনভাবে প্রকাশিত হয়ঃ অব্যক্ত ব্রহ্ম, সর্বব্যপ্ত পরমাত্মা এবং পরমেশ্বর ভগবান—ব্রহ্মেতি পরমাত্মেতি ভগবানিতি শব্দ্যতে (শ্রীমদ্ভাগবত ১.২.১১)—কিন্তু তাঁরা এক এবং অভিন্ন। এটিই শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত। আমরা এই উদাহরণটি থেকে বুঝতে পারব যেমন, সূর্য হচ্ছে দৃশ্যমান। প্রত্যেকেই তা দেখতে পায়। একই সাথে সূর্যালোক সর্বব্যপ্ত এবং সূর্যগোলকের ভিতরে সর্বাধিক প্রভাবসম্পন্ন একজন দেবতা রয়েছেন। তিনি একজন ব্যক্তি। একইভাবে ভগবান হচ্ছেন একজন ব্যক্তি, যখন তিনি নিজেকে বিস্তৃত করে সর্বব্যপ্ত হন, সেটা হল পরমাত্মা আর যখন তিনি নিজের শক্তির মাধ্যমে বিস্তৃত হন, সেটা হচ্ছে ব্রহ্ম। এই হল বিচারবুদ্ধি। ব্রহ্মেতি পরমাত্মেতি ভগবানিতি। এখন কেউ কেউ অব্যক্ত ব্রম্মের উপলব্ধির মধ্যেই তাদের উদ্দেশ্যের সমাপ্তি ঘটায়, আবার কেউ সর্বব্যপ্ত পমাত্মাকে জানার মাধ্যমে তাদের উদ্দেশ্য সম্পন্ন করে। যোগী এবং জ্ঞানীরা। কিন্তু ভক্তরা, তারা সবকিছুর আসল বা প্রকৃত উৎস শ্রীকৃষ্ণ পর্যন্ত পৌঁছায়।"
|