"সুতরাং প্রথমে এটা বুঝতে হবে যে ভগবানের ব্যবস্থাপনায় কোনো ত্রুটি নেই। চৈতন্য মহাপ্রভু বলছেন যে বেদান্ত, বেদান্ত স্বয়ং ভগবান প্রণয়ন করেছেন। যেটা আমরা গতকাল আলোচনা করেছি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবারও বলছেন যে বেদান্ত কৃত বেদবিদেব চাহম (শ্রীমদ্ভগবদ গীতা ১৫.১৫): "আমিই বেদান্তের প্রণেতা আর আমি বেদান্ত সম্বন্ধে জ্ঞাত।"স্বয়ং ভগবান, কৃষ্ণ, যদি উনি বেদান্ত না জানেন, তাহলে কিভাবে তা প্রণয়ন করবেন? বেদান্তের অর্থ হচ্ছে জ্ঞানের সর্বশেষ শব্দ। আমরা সবাই জ্ঞানের অনুসন্ধান করি আর বেদান্ত হচ্ছে জ্ঞানের অন্তিম শব্দ। সুতরাং চৈতন্য মহাপ্রভু এটা প্রতিষ্ঠা করেছেন যে, যেহেতু তোমরা বেদান্ত সূত্রের কোনো ত্রুটি বের করতে পারবেনা, গতিকে তার ব্যাখ্যা করারও তোমাদের কোনো অধিকার নেই। কারণ তোমরা হচ্ছো মূর্খ ও দুষ্ট, তো তুমি কিভাবে সূত্রগুলি ব্যাখ্যা অথবা স্পর্শ করবে যেগুলি স্বয়ং ভগবান কর্তৃক প্রণীত হয়েছে, যিনি হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও পূর্ণরূপে ত্রুটিহীন? কিন্তু আমরা এটা স্বীকার করিনা যে"আমি একটি মূর্খ।" আমি এটাই ভাবি যে আমি খুব শিক্ষিত।আমি ত্রুটিমুক্ত। আমি নিখুঁত। সুতরাং এইসমস্ত কিছু হচ্ছে বোকামি।"
|