BN/Prabhupada 0776 - কুকুর হলে অসুবিধাটা কি

Revision as of 07:10, 10 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 6.1.12 -- Los Angeles, June 25, 1975

বলা হয়েছে যে, অধায়ো ব্যাধ্যায়ঃ তিন ধরণের দুর্দশা আছে, সবার জন্যই। কোন বিশেষ ব্যক্তির জন্য নয়। আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক, আধিদৈবিক যেই মাত্র তুমি এই জড় দেহ পেয়েছ, তোমাকে দুর্ভোগ পোহাতেই হবে যদি তুমি এই ভোগান্তি বন্ধ করতে চাও, তোমাকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হবে পরের শ্লোকেই নিয়ন্ত্রিত জীবনের কথা বলা হয়েছে

তপসা ব্রহ্মচর্যেন
শমেন চ দমেন চ
ত্যাগেন সত্য শৌচভ্যাম্‌
যমেন নিয়মেন যমেন নিয়মেন বা
(ভাগবত ৬/১/১৩)

এইগুলো হচ্ছে মনুষ্য জীবনের কর্তব্য। নির্দেশিত কর্তব্যগুলো কি কি? প্রথম কর্তব্য হচ্ছে তপসাঃ তাদেরকে অবশ্যই তপস্যা করতে হবে এই হচ্ছে মনুষ্য জীবন। শাস্ত্রে সব জায়গায় এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঋষভদেবও বলেছেন, তপো দিব্যম্‌ পুত্রকা যেন শুদ্ধয়েদ্‌ সত্ত্বঃ তিনি উপদেশ দিয়েছেন- "আমার প্রিয় পুত্রগণ, কুকুর বেড়ালের মতো জীবন যাপন কর না।" নায়ম্‌ দেহো দেহ-ভাজাম্‌ নৃলোকে কষ্টান্‌ কামান্‌ অর্হতে বিড্‌ভুজাম্‌ (ভাগবত ৫/৫/১) "যদি আমি কঠোর পরিশ্রম না করি, আমি কীভাবে আমার ইন্দ্রিয় তৃপ্তি করব? রাতের বেলা মদ, জুয়া, ক্লাব, মেয়েমানুষ এই সব নেশা আমাকে করতেই হবে ... যদি আমি কঠোর পরিশ্রম না করি, কীভাবে আমি এইগুলো ভোগ করব?"

তাই ঋষভদেব বলেছেন, "এই প্রকার ইন্দ্রিয় তৃপ্তি এমন কি শুকরও পেতে পারে এই তুচ্ছ ইন্দ্রিয় ভোগ খুব ভাল কিছু নয় নায়ম্‌ দেহো দেহভাজাম্‌ নৃলোকে কষ্টান্‌ কামান্‌ অর্হতে বিড্‌ভুজাম্‌ যে বিড্‌ভুজাম্‌ মানে বিষ্ঠাভোজী। তাই ওরা বিষ্ঠা খেয়ে আনন্দ পাবার চেষ্টা করছে আর মা বোন না দেখেই যার সাথে ইচ্ছা মৈথুন করছে এই ধরণের ইন্দ্রিয়সুখ ভোগ কুকুর শুকরের মধ্যেও আছে মনুষ্য জীবন এইসবের জন্য নয় মানব জীবন হচ্ছে তপস্যা করার জন্য যেন এই জীবনেই জন্মমৃত্যুর চক্র থেকে আমরা মুক্ত হতে পারি এবং নিত্য চিন্ময় ও আনন্দময় জীবনে প্রবেশ করতে পারি। সেটিই হচ্ছে জীবনের উদ্দেশ্য। এমন নয় যে, "আমি কোন কিছুর পরোয়া করি না"। এখনকার শিক্ষা হচ্ছে এইরকম যে, যদি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করা হয় "তুমি যদি এইভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ কর, তাহলে তুমি পরবর্তী জীবনে কুকুর হয়ে জন্ম নেবে।" উত্তরে ওরা বলবে, "সমস্যা কি আমি কুকুর হলে?" (হাসি) এই হচ্ছে আজকালকার শিক্ষার পরিণাম। সে কোন পরোয়াই করে না। সে ভাবছে, "যদি কুকুরই হই, তাহলে তো ভালই, ইচ্ছামতো রাস্তায় কুকুরীর সঙ্গ করতে পারব"। ব্যাস্‌। এইভাবে ও নিজেকে উন্নত মনে করছে। "এখন স্ত্রীসঙ্গ ভোগ করতে অনেক বাধা আছে, যদি ঐ জীবন পাই তাহলে ইচ্ছেমতো রাস্তায় রাস্তায় যৌনসুখভোগ করতে পারব..." এখন ওরা ক্রমে ক্রমে এই উন্নতির পর্যায়ে আসছে।

এই হচ্ছে অবস্থা ওরা পরজন্মে বিশ্বাস করে না। কুকুর বেড়াল জন্মের আর কি কথা। "কোন পরোয়া করি না"। সবকিছুই অন্ধকারাচ্ছন্ন তাই আমরা যদি কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ না করি, তাহলে এই মানব সভ্যতার ধ্বংস অনিবার্য এখন যা চলছে তা মানব সভ্যতা নয়। মানব সভ্যতা মানে দায়িত্বপূর্ণ জীবন আমরা স্কুল কলেজ যাচ্ছি, দায়িত্বশীল হবার জন্য সেই দায়িত্ব হওয়া উচিৎ যে কীভাবে আমরা এই জন্ম মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পেতে পারি সেটি ভেবে শাস্ত্রে অনেক জায়গাতেই সেই উপদেশ দেয়া হচ্ছে এবং সেটিই হচ্ছে মানব জীবনের উদ্দেশ্য। পুনর্জন্ম-জয়ায়।