BN/Prabhupada 0755 - সমুদ্রপীড়িত

Revision as of 02:04, 22 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0755 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1976 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 6.1.7 -- Honolulu, May 8, 1976

প্রভুপাদঃ তোমরা ভগবদ্গীতা পড়েছ। সর্বযোনিষুঃ জন্মের সমস্ত উৎসে। সর্বযোনিষু সম্ভবন্তি মূর্তয়ঃ যঃ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৪.৪)। বিভিন্ন ধরণের জীবন রয়েছে, ৮,৪০০,০০০। তারা সবাই জীবাত্মা, কিন্তু কর্ম অনুসারে, তারা বিভিন্ন ধরণের দেহ লাভ করে। এটিই হচ্ছে পার্থক্য। ঠিক যেমন আমরা আমাদের পচ্ছন্দ অনুসারে বিভিন্ন ধরণের পোশাক পরিধান করি, একইভাবে, আমরা আমাদের পছন্দ অনুসারে বিভিন্ন ধরণের দেহ লাভ করি। আজকে সকালে আমরা দুঃখ কষ্ট নিয়ে কথা বলছিলাম... একে কি বলে? কষ্টের সমুদ্র?

ভক্তঃ সার্ফার (ভ্রমণকারী)।

প্রভুপাদঃ ভ্রমণকারী, হ্যাঁ। (ভক্তদের হাসি) ভ্রমণকারী। আমি বলি "ভুক্তভোগী"। "ভুক্তভোগীদের সমুদ্র।" (হাসি) সমুদ্রভ্রমণকারী, এটি বাস্তব, কারণ আমরা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করছি, যার দ্বারা আমরা একটি মাছ হবো। (হাসি)। সংক্রমণ। ঠিক যেমন যদি তুমি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কোন রোগ সংক্রমিত কর, তাহলে তোমাকে অবশ্যই সেই রোগের দ্বারা কষ্ট পেতে হবে। কারণং গুণসঙ্গোহস্য সদসদ্‌যোনিজন্মসু (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ১৩.২২), কেন বিভিন্ন ধরণের জীবন রয়েছে? কারণটা কি? যুক্তি মানে কারণম্‌। শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতায় বলেছেন... কারণং গুণসঙ্গোহস্য সদসদ্‌যোনিজন্মসু প্রকৃতেঃ ক্রিয়মাণানি (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ৩.২৭)। প্রকৃতিস্থো হি পুরুষঃ ভুঙ্‌ক্তে তদগুণান্‌। (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ১৩.২২)। তাই কারণটি হচ্ছে... যেহেতু আমরা সংক্রমিত করছি... প্রকৃতির আইন এতো নিখুঁত যে যদি তুমি কিছু সংক্রমিত কর, কোন রোগ, কিছু দূষণ, তাহলে তুমি অবশ্যই ভুগবে। প্রকৃতির এই আইন স্বাভাবিকভাবেই চলছে। কারণং গুণসঙ্গোহস্য।

তো জড়া প্রকৃতির তিনটি গুণ রয়েছে- সত্ত্ব, রজ এবং তমো গুণ। যতদিন আমরা এই জড়-জগতে থাকব, পুরুষঃ প্রকৃতিস্থো হি ভুঙ্‌ক্তে তদ গুণান। যদি আমরা কোন নির্দিষ্ট জায়গায় থাকি, তবে আমরা অবশ্যই সেই জায়গার গুণ দ্বারা প্রভাবিত হবো। তিনটি গুণ রয়েছেঃ সত্ত্ব গুণ, রজ গুণ... আমাদেরকে হয় সত্ত্ব গুণের সঙ্গ করতে হবে, অথবা রজ গুণের অথবা তমো গুণের। এখন তিন পূরণ তিন ,নয় হল, নয় পূরণ নয়, একাশিটি হল। সুতরাং মিশ্রণ। ঠিক রঙের মতো। তিনটি রং রয়েছেঃ নীল, লাল আর হলুদ। এখন যারা রং তৈরিতে দক্ষ, চিত্রশিল্পী, তারা এই তিনটি রঙকে বিভিন্ন উপায়ে মিশ্রিত করে তা প্রদর্শন করে। একইভাবে, গুণ বা মিশ্রণ অনুসারে, সঙ্গ- কারণং গুণসঙ্গোহস্য- বিভিন্ন ধরণের দেহ লাভ করি। তাই আমরা বিভিন্ন ধরণের বৈচিত্রময় দেহ দেখে থাকি। কারণং গুণসঙ্গোহস্য (শ্রীমদ্ভগবদগীতা ১৩.২২), তাই যে ব্যক্তি সমুদ্রে মাছের মতো নৃত্য করে খুব আনন্দ পাচ্ছে, সে প্রকৃতির গুণকে সংক্রমিত বা দূষিত করছে, তাই পরবর্তী জীবনে সে একটি মাছ হবে। সে সমুদ্রে খুব স্বাধীনভাবে নৃত্য করতে পারবে। (হাসি) তো এখান থেকে মনুষ্য জীবনের পর্যায়ে আসতে তার আবার লক্ষ লক্ষ বছর সময় নিবে। জলজ নবলক্ষানি স্থাবর লক্ষবিংশতি। তাকে মাছের জীবনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এখানে ৯০০,০০০ বিভিন্ন প্রজাতির জীবন রয়েছে। এরপর তুমি আবার ডাঙায় আসবে- তুমি গাছ, লতাপাতা ইত্যাদি হবে। বিশ লক্ষ বিভিন্ন রূপের মধ্য দিয়ে তোমাকে যেতে হবে। এটি হচ্ছে বিবর্তন। ডারউইনের বিবর্তনবাদ যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। এটি বৈদিক সাহিত্যে বর্ণনা করা হয়েছে। তো ঠিক... একটি গাছ দশ হাজার বছর দাঁড়িয়ে থাকে, আমাদেরকে এই জীবনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। কিন্তু সেই বিষয়ে কোন সঠিক জ্ঞান নেই। আমরা ভাবছি যে এখন আমরা খুব সুন্দর আমেরিকান অথবা ভারতীয় দেহে রয়েছি। না। এই জীবনে আসতে আমাদের বহু বছর সময় নিয়েছে। তাই শাস্ত্র বলছে, লব্ধা সুদুর্লভমিদং বহুসম্ভবান্তে (শ্রীমদ্ভাগবত ১১.৯.২৯)। "তুমি বহু বহু লক্ষ বছর ধরে অপেক্ষা করার পর এই মনুষ্য জীবন পেয়েছ।" কাজেই অপব্যবহার করো না। এটি বৈদিক সভ্যতা, মনুষ্য জীবনকে অপব্যবহার করার জন্য নয়।