BN/Prabhupada 0931 - যদি কেউ জন্ম গ্রহণ না করে, তাহলে সে কিভাবে মৃত্যু বরণ করবে? সেখানে মৃত্যুর কোন প্রশ্নই নেই

Revision as of 13:45, 31 July 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 0931 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730424 - Lecture SB 01.08.32 - Los Angeles

যদি কেউ জন্ম গ্রহণ না করে, তাহলে সে কিভাবে মৃত্যু বরণ করবে? সেখানে মৃত্যুর কোন প্রশ্নই নেই কারণ আমরা শ্রীকৃষ্ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন অজ। অজ মানে, যার কোন জন্ম মৃত্যু নেই। সুতরাং আমরাও অজ। আমরা কিভাবে ভিন্ন হতে পারি? আমি শ্রীকৃষ্ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একই উদাহরণ আমরা দেখতে পাই। যদি আমার পিতা সুখী হন, তাহলে আমিও আমার পিতার সন্তান। তাহলে আমি কেন হবো না, আমি কেন অসুখী হবো? এটি স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত। কারণ আমি আমার পিতার সম্পত্তি উপভোগ করছি , যেভাবে আমার পিতাও উপভোগ করছেন। একইভাবে ভগবান হচ্ছেন সর্বশক্তিমান। শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন সর্বশক্তিমান, পরিপূর্ণ সুন্দর, পরিপূর্ণ জ্ঞান, সবকিছুই পরিপূর্ণ। তো আমি পূর্ণ নাও হতে পারি, কারণ আমি হচ্ছি অংশ। কিন্তু আমি ভগবানের সমস্ত গুণই আংশিকভাবে পেয়েছি। এটি এমন নয় যে... তো ভগবানের মৃত্যু নেই। তিনি অজ। তাই আমিও মারা যাই না। এটিই আমার অবস্থান। ভগবদ্গীতায় এটি উল্লেখ করা হয়েছে যেঃ ন জায়তে ন ম্রিয়তে বা কদাচিৎ। তিনি যখন আত্মা সম্বন্ধে আলোচনা করতে গিয়েছেন, শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে আত্মার জন্ম হয় না, ন জায়তে, ন ম্রিয়তে। আর যদি কেউ জন্ম না নেয়, তাহলে সে কিভাবে মারা যাবে? মৃত্যুর কোন প্রশ্নই এখানে নেই। মৃত্যু হচ্ছে সেই বস্তুর জন্য যার জন্ম আছে। যদি কারো জন্ম না থাকে, তাহলে মৃত্যুর কোন প্রশ্ন নেই। ন জায়তে ন ম্রিয়তে বা। আমরা হচ্ছি শ্রীকৃষ্ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ অজ, আমরাও অজ। আমরা এটি জানি না। এটি অজ্ঞানতা। এটিই অজ্ঞানতা।

তারা বৈজ্ঞানিক গবেষণা করছে, কিন্তু তারা জানে না যে প্রতিটি জীব হচ্ছে চিন্ময় আত্মা। তার কোন জন্ম নেই। তার কোন মৃত্যু নেই। সে নিত্য। নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং, চিরস্থায়ী, পুরাণঃ, প্রবীণতম, ন হন্যতে। সিদ্ধান্ত হচ্ছেঃ ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ২.২০)। তাই এই দেহ ধবংসের পরও আত্মা মরে না। সে আরেকটি দেহ ধারণ করে। এটিই হচ্ছে আমাদের রোগ। এটিকে বলে ভবরোগ। ভবরোগ মানে জড় রোগ। তাই শ্রীকৃষ্ণ, পরমাত্মা হওয়ায়, নিত্যো নিত্যানাং চেতনশ্চেতনানাং (কঠোপনিষদ ২.২.১৩)। শ্রীকৃষ্ণ ঠিক আমাদের মতো। অথবা আমরা শ্রীকৃষ্ণের প্রতিলিপি। পার্থক্যটা হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন বিভু, অসীম, আর আমরা অণু, আমরা সীমিত। এটিই হচ্ছে পার্থক্য। অন্যথায় গুণগতভাবে আমরাও শ্রীকৃষ্ণেরই মতো। কাজেই শ্রীকৃষ্ণের যেসমস্ত প্রবৃত্তি রয়েছে, সেই সমস্ত প্রবণতাই আমাদেরও রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের বিপরীত লিঙ্গকে ভালোবাসার প্রবণতা রয়েছে। তাই আমাদেরও এই প্রবণতা রয়েছে, বিপরীত লিঙ্গকে ভালোবাসার। ভালোবাসার শুরু হয়েছে শ্রীমতি রাধারানী এবং শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে, শ্রীমতি রাধারানী এবং শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে নিত্য ভালোবাসা বিদ্যমান। তাই আমরাও নিত্য ভালোবাসা খুঁজছি, কিন্তু যেহেতু আমরা জড় আইনের দ্বারা আবদ্ধ, তাই এটি ছিন্ন হয়েছে। এটি বিঘ্নিত হয়েছে।

তাই যদি আমরা এই বাঁধা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি, তাহলে আমরাও শ্রীমতি রাধারানী এবং শ্রীকৃষ্ণের মতো একই ভালোবাসার সম্পর্ক লাভ করতে পারব। তাই আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কিভাবে আমাদের নিত্য আলয়, শ্রীকৃষ্ণের কাছে ফিরে যাওয়া যায়। কারণ শ্রীকৃষ্ণের কাছে ফিরে যাওয়া মানে, শ্রীকৃষ্ণ নিত্য, আমরাও নিত্য দেহ লাভ করব। ঠিক যেমন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সচিব বা এমনকি তার চাকর হওয়া মানে, সেও একজন বড় মানুষ। সেও একজন বিরাট ব্যক্তি। কারণ কারো যদি কিছু বিশেষ গুণ না থাকে, সে প্রেসিডেণ্ট নিক্সনের ব্যক্তিগত দাস বা সচিব হতে পারত না। এটি সম্ভব নয়। কোন সাধারণ মানুষ প্রেসিডেণ্ট নিক্সনের দাস বা সচিব হতে পারবে না। একইভাবে নিত্য আলয়ে ফিরে যাওয়া, ভগবদ্‌ধামে ফিরে যাওয়া মানে শ্রীকৃষ্ণের যেরকম দেহ আছে, আমরাও ঠিক একই রকম দেহ লাভ করবো। তুমি অজ হয়ে যাবে। অজ নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং। এটি হচ্ছে ব্যাধি যে, আমরা আমরা আমাদের দেহ পরিবর্তন করছি। সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন অজ।