"যদি আপনি শ্রীকৃষ্ণের সেবা করেন, আমরা যেহেতু তাঁর প্রতিফলন, তাই তিনি সন্তুষ্ট হওয়ার ফলে, আমরাও তৎক্ষণাৎ সন্তুষ্ট হই। তাই যদি আপনি শান্তি পেতে চান, সন্তুষ্ট হতে চান, তাহলে শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করুন। সেটিই হচ্ছে পন্থা। আপনি পারবেন না... ঠিক যেমন আয়নায় প্রতিবিম্বটাকে সাজানোর মতো। সেটি সম্ভব নয়। আপনি বাস্তবকে সাজান, সেই ব্যক্তিটিকে, আর তাহলে সেই আয়নায় থাকা প্রতিবিম্ব আপনা থেকেই সজ্জিত হবে। এটিই হচ্ছে প্রকৃত পন্থা। শ্রীকৃষ্ণ আপনার সাজ-সজ্জার পেছনে লালায়িত নন, আপনার দেয়া দারুন সব খাদ্যদ্রব্যের পেছনে উনি লালায়িত নন। কারণ তিনি পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট, ‘আত্মারাম’। তিনি যে কোনও ধরণের আরাম-বিলাসিতা সৃষ্টি করতে পারেন, তিনি এতোটাই শক্তিশালী। কিন্তু তা সত্ত্বেও, তিনি এতোই দয়ালু যে তিনি এমনই এক রূপে আপনাদের কাছে আসেন, যাতে আপনি তাঁকে সেবা করার জন্য পেতে পারেনঃ এই বিগ্রহ রূপে। শ্রীকৃষ্ণ এতোই কৃপালু। যেহেতু আপনি শ্রীকৃষ্ণকে এখন তাঁর চিন্ময় স্বরূপে দেখতে সমর্থ নন, তাই তিনি আপনার কাছে পাথর বা কাষ্ঠরূপে অবতীর্ণ হন। কিন্তু তিনি পাথর নন বা কাঠ নন।"
|