BN/Prabhupada 0982 - যখনই আমরা একটি গাড়ী পাই, এটি যতই খারাপ হোক না কেন, আমরা মনে করি যে এটি খুব ভাল
720905 - Lecture SB 01.02.06 - New Vrindaban, USA
ভাগবতে বলা হয়েছে যস্যাত্মবুদ্ধিঃ কুণপে ত্রিধাতুকে, আমি এই দেহ নই। এটি একটি যন্ত্র। ঠিক যেমন আমরা গাড়ীতে চড়ি, গাড়ী চালাই। আমি এই গাড়িটি নই। একইরকমভাবে, এটি একটি যন্ত্র, গাড়ী, কৃষ্ণ আমাকে এই গাড়িটি দিয়েছেন, আমি এটা চেয়েছিলাম। ভগবদ্গীতায় এটি উল্লেখ করা আছে যে, ঈশ্বরঃ সর্বভুতানাং হৃদ্দেশেহর্জুন তিষ্ঠতি (গীতা ১৮.৬১)। "হে অর্জুন, পরমেশ্বর ভগবান সমস্ত জীবের হৃদয়ে অবস্থান করছেন।" ভ্রাময়ন্ সর্বভূতানি যন্ত্রারুঢ়ানি মায়য়া (গীতা ১৮.৬১)ঃ " এবং সমস্ত জীবকে দেহরূপ যন্ত্রে আরোহণ করিয়ে মায়ার দ্বারা ভ্রমণ করান," সর্ব-ভূতানি, "সমগ্র বিশ্বে।" যন্ত্রারুঢ়ানি মায়য়া, গাড়িতে চড়ে জড়া প্রকৃতির দেওয়া একটি গাড়ী চালিয়ে। আমাদের প্রকৃত অবস্থান হচ্ছে যে আমি আত্মা, আমাকে একটি সুন্দর গাড়ী দেওয়া হয়েছে - এটি একটি সুন্দর গাড়ী নয়, যখনই আমরা একটি গাড়ী পাই, এটি যতই খারাপ হোক না কেন, আমরা মনে করি যে এটি খুব ভাল, (হাসি) এবং নিজেকে ঐ গাড়ী বলে মনে করি। " আমি একটি গাড়ী পেলাম, আমার একটি গাড়ী হয়েছে।" একজন ভুলে যায়... যদি কেও একটি দামী গাড়ী চালায়, সে নিজেকে ভুলে যায় যে সে নিজে একজন গরিব মানুষ। সে মনে করে যে, " আমি এই গাড়িটি।" এটি পরিচয়।
তাই যস্যাত্মবুদ্ধিঃ কুণপে ত্রিধাতুকে স্বধী কলত্রাদিষু ভৌম ইজ্যধীঃ (ভাগবত ১০.৮৪.১৩) যে এই দেহকে নিজের স্বরূপ বলে মনে করে, এবং দেহের সাথে সম্পর্কিত, স্বধী, "তারা আমার আপন। আমার ভাই, আমার পরিবার, আমার জাতি, আমার সম্প্রদায়, আমার সমাজ, " অনেক কিছুই, আমার, আমি এবং আমার। এই দেহ হিসেবে "আমি" সম্পর্কে ভুল ধারণা এবং দেহের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে "আমার" সম্পর্কে ভুল ধারণা। যস্যাত্মবুদ্ধিঃ কুণপে ত্রিধাতুকে স্বধী কলত্রাদিষু ভৌম ইজ্যধীঃ (ভাগবত ১০.৮৪.১৩) ভৌম ইজ্যধীঃ, ভূমি, ভূমি মানে জমি। ইজ্যধীঃ, ইজ্য মানে পূজনীয়। সুতরাং বর্তমান সময়ে খুব দৃঢ়ভাবে ধারণা করা হয় যে "আমি এই দেহ," এবং "আমি আমেরিকান," এবং "আমি ভারতীয়," "আমি ইউরোপীয়," "আমি হিন্দু," "আমি মুসলিম," "আমি ব্রাহ্মণ," "আমি ক্ষত্রিয়," "আমি শুদ্র," "আমি এই, সেই...," অনেকগুলি। এটি খুব শক্তিশালী এবং ভৌম ইজ্যধিঃ, কারণ আমি নিজেকে একটি নির্দিষ্ট দেহ বলে মনে করছি, এবং দেহটি কোথা থেকে নির্গত হয়েছে, সেই ভূমিটি পূজনীয়। এটাই জাতীয়তাবাদ। যস্যাত্মবুদ্ধিঃ কুণপে ত্রিধাতুকে স্বধী কলত্রাদিষু ভৌম ইজ্যধীঃ (ভাগবত ১০.৮৪.১৩) যৎ-তীর্থ-বুদ্ধিঃ সলিলে, এবং তীর্থ, তীর্থস্থান।
আমরা যাই, আমরা নদীতে স্নান করি, খ্রিষ্টানদের মত, তারা জর্ডান নদীতে স্নান করে, অথবা হিন্দুরা, তারা হরিদ্বারে যায়, গঙ্গায় স্নান করে, অথবা বৃন্দাবনে স্নান করে। তারা মনে করে যে নদীতে স্নান করে, তাদের কাজ শেষ। না। আসলে এইসব তীর্থস্থানে, পবিত্র যায়গায় যেতে হয়, অভিজ্ঞতা অর্জন এবং পারমার্থিক উন্নতি সাধনের জন্য। কারণ অনেক পারমার্থিকভাবে উন্নত ব্যক্তিরা সেখানে বাস করেন। অতএব, এমন জায়গাগুলিতে গিয়ে অভিজ্ঞ পারমার্থিক ব্যক্তি খোঁজা উচিত, এবং তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। সেটাই প্রকৃত তীর্থস্থানে গমন। এমন নয় যে সেখানে গেলাম এবং স্নান করলাম আর কাজ শেষ। না।
- যস্যাত্মবুদ্ধিঃ কুণপে ত্রিধাতুকে
- স্বধী কলত্রাদিষু ভৌম ইজ্যধীঃ
- যত্তীর্থ বুদ্ধিঃ সলিলে ন কর্হিচিৎ
- জনেষ্ব ভিজ্ঞেষু স এব গোখরঃ
অভিজ্ঞে, যিনি জানেন। (অস্পষ্ট) আমাদের এমন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা উচিত যারা খুব ভাল জিনিস জানে, অভিজ্ঞ। কৃষ্ণ হচ্ছেন অভিজ্ঞ, স্বরাট। সুতরাং একইভাবে কৃষ্ণের প্রতিনিধিও স্বভাবতই অভিজ্ঞ। যদি কেউ কৃষ্ণের সঙ্গ করেন, যদি কেউ কৃষ্ণের সাথে কথা বলেন, তিনি অবশ্যই অনেক অভিজ্ঞ, অনেক জ্ঞানী, কারণ তিনি কৃষ্ণের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। সুতরাং...কৃষ্ণের জ্ঞান পূর্ণ, তাই যেহেতু তিনি কৃষ্ণের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন, তার জ্ঞানও পূর্ণ। অভিজ্ঞ। এবং কৃষ্ণ কথা বলেন। এটা না যে এটি কল্পিত, না। কৃষ্ণ- আমি ইতিমধ্যে বলেছি যে কৃষ্ণ প্রতেকের হৃদয়ে অবস্থান করছেন এবং তিনি সাধু ব্যক্তির সাথে কথা বলেন। ঠিক যেমন একটি বড় মানুষ, তিনি সৎ ব্যক্তির সাথে কথা বলেন, তিনি বাজে লোকের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করেন না। তিনি কথা বলেন, এটি সত্য, কিন্তু তিনি বাজে লোকের সাথে কথা বলেন না, তিনি খাঁটি প্রতিনিধির সাথে কথা বলেন।এটি কীভাবে জানা যায়? এটি ভগবদ্ গীতায় উল্লেখ করা হয়েছে, তেষাম্ সততযুক্তানাং (গীতা ১০.১০), যিনি খাঁটি প্রতিনিধি।