"তুমি যদি শুধুমাত্র কৃষ্ণ জপ করো এবং তুমি যদি শুধু শ্রবণ করো, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তোমার মন শ্রীকৃষ্ণের প্রতি স্থির থাকবে। তার মানে হলো যোগ পদ্ধতি তৎক্ষণাৎ অর্জন করতে পারবে। কারণ পুরো যোগ পদ্ধতি হলো মনকে শ্রীবিষ্ণুর রূপে মনোনিবেশ করা, এবং শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছে আদি পুরুষ , শ্রীবিষ্ণুর বিস্তারিত রূপের। শ্রীকৃষ্ণ হলেন ঠিক যেরকম এখানে একটি বাতি রয়েছে। এখন এই বাতি থেকে, এই মোমবাতি থেকে, তুমি এটার থেকে আরেকটা মোমবাতি জ্বালাতে পারো, আরেকটা মোমবাতি, তুমি তাকে জ্বলন্ত করতে পারো। তারপরে আরেকটা, আরেকটা, আরেকটা -হাজার মোমবাতিতে বিস্তার করতে পারবে। প্রত্যেকটা মোমবাতি একটা মোমবাতির মতো প্রগাঢ়। এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু একজনকে এই মোমবাতি তাকে আসল মোমবাতি হিসাবে মানতে হবে। ঠিক সেরকম শ্রীকৃষ্ণ নিজেকে হাজার শ্রীবিষ্ণুর রূপে বিস্তারিত করছেন। প্রত্যেকটা শ্রীবিষ্ণুর রূপ শ্রীকৃষ্ণের মতন ভালো, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ হলেন মোম্বাতিদের আসল উৎস, কারণ তার থেকে সমস্ত কিছু বিস্তারিত হয়ে। "
|