BN/Prabhupada 0809 - অসুরতন্ত্রের সংক্ষিপ্ত হচ্ছে গণতন্ত্র

Revision as of 07:03, 4 September 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


740928 - Lecture SB 01.08.18 - Mayapur

কুন্তিদেবী হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণের পিসিমা। বসুদেবের বোন কুন্তিদেবী । তাই শ্রীকৃষ্ণ যখন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর দ্বারকায় ফিরে যাচ্ছিলেন, মহারাজ যুধিষ্ঠিরকে সিংহাসনে আরোহণ করিয়ে, যেটা ছিল তাঁর উদ্দেশ্য... তাঁর উদ্দেশ্য ছিল দুর্যোধনকে রাজসিংহাসন থেকে নামাবেন, এবং যুধিষ্ঠির মহারাজ অবশ্যই রাজসিংহাসনে বসবেন। ধর্ম, ধর্মরাজ।

এটি ছিল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছা যে, রাজ্যের প্রধান নির্বাহী হবেন যুধিষ্ঠির মহারাজের মতো একজন ধার্মিক ব্যক্তি। এটি ছিল পরিকল্পনা। দুর্ভাগ্যবশত, মানুষ তা চায় না। এখন তারা গণতন্ত্র আবিষ্কার করেছে। গণতন্ত্র- 'অসুরতন্ত্র।' ছোটখাটো একটা অসুরতন্ত্র হচ্ছে গণতন্ত্র। সব অসুর আর দুর্বৃত্ত, তারা একত্রিত হয়, যে কোনো ভাবে অথবা অন্যদের ভোটে। গদি দখল করে আর উদ্দেশ্য হচ্ছে অপহরণ করা। এদের কাজ হচ্ছে লুঠ করা। যদি আমরা এর ওপর খুব বেশী কথা বলি, তবে তা ভালো হবে না, কিন্তু শাস্ত্র অনুযায়ী... আমরা শাস্ত্র অনুযায়ী কথা বলছি যে, গণতন্ত্র মানে দুর্বৃত্ত আর লুঠতরাজদের সমাবেশ। এটি শ্রীমদ্ভাগবতের কথা। দস্যু ধর্মভিঃ। সরকারের সব লোক হবে দস্যু। দস্যু মানে ডাকাত। পকেটমার নয়। পকেটমার যে কোন ভাবে তোমার অজান্তে তোমার পকেট থেকে অল্প কিছু সরিয়ে নিবে, আর ডাকাত বা দস্যু, সে তোমাকে জোর করে ধরবে, "তুমি যদি তোমার অর্থ না দাও, আমি তোমাকে হত্যা করবো।" এদেরকে বলে দস্যু।

কলিযুগের বর্তমান সময়ে, সরকারি লোকজন হবে দস্যু। শ্রীমদ্ভাগবতে এটি উল্লেখ করা হয়েছে। দস্যু ধর্মভিঃ (SB 12.2.8)। তোমরা বাস্তবেই তা দেখতে পাচ্ছো। তুমি তোমার অর্থ ধরে রাখতে পারবে না। তুমি কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করবে, কিন্তু তুমি স্বর্ণ রাখতে পারবে না। তুমি গহনা রাখতে পারবে না, তুমি অর্থ রাখতে পারবে না। তারা আইনের মাধ্যমে এগুলো নিয়ে নেবে। তাই তারা আইন তৈরি করবে... যুধিষ্ঠির মহারাজ ছিলেন ঠিক তার বিপরীত। তিনি দেখতে চাইতেন যে প্রত্যেকটি নাগরিক সুখে আছে। এমনকি তারা অতিরিক্ত তাপ বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা দ্বারা উপদ্রুত হচ্ছে না। অতিব্যাধি। তারা কোন অসুখে ভুগছে না। তারা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার দ্বারা কষ্ট পাচ্ছে না, সুন্দরভাবে আহার করছে, ব্যক্তি এবং সম্পদের নিরাপত্তা অনুভব করছে। এই ছিলেন যুধিষ্ঠির মহারাজ। শুধু যুধিষ্ঠির মহারাজই নন। প্রায় সব রাজারাই এরকম ছিলেন।

শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন মূল বা আদি রাজা। কারণ তাঁকে এখানে বলা হয়েছে, পুরুষং আদ্যম্‌ ঈশ্বরম্‌। ঈশ্বর মানে নিয়ন্তা। তিনি হচ্ছেন মূল নিয়ন্তা। ভগবদ্গীতায় এটি বলা হয়েছে। ময়াধ্যক্ষেণ। ময়াধ্যক্ষেণ প্রকৃতিঃ সূয়তে সচরাচরম্‌ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৯.১০)। এমন কি এই জড় জগতে সবকিছু শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশনায় সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বুঝতে হবে। তাই আমরা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা অধ্যয়ন করি। শ্রীমদ্ভাগবত এবং আরও অন্যান্য বৈদিক সাহিত্য। উদ্দেশ্যটা কি? উদ্দেশ্য হচ্ছে বেদৈশ্চ সর্বৈর অহম এব বেদ্য (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৫.১৫)। উদ্দেশ্য হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণে জানা। যদি তোমরা শ্রীকৃষ্ণে না জানতে পার, তাহলে তোমাদের এই তথাকথিত বেদ, বেদান্ত আর উপনিষদ অধ্যয়ন, এগুলো শুধু সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু নয়। তাই এখানে কুন্তিদেবী সরাসরি বলছেন যে, " আমার প্রিয় কৃষ্ণ, তুমি হচ্ছো আদ্যং পুরুষং, মূল ব্যক্তি। এবং ঈশ্বরং। তুমি সাধারণ মানুষ নও। তুমি হচ্ছো পরম নিয়ন্তা।" এটি হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণকে জানা। ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ (ব্রহ্মসংহিতা ৫.১)। প্রত্যেকেই নিয়ন্তা, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরম নিয়ন্তা।