BN/Prabhupada 0532 - শ্রীকৃষ্ণের আনন্দ জড় কিছু নয়
Radhastami, Srimati Radharani's Appearance Day -- London, August 29, 1971
সুতরাং কারণ শ্রীকৃষ্ণ, পরম সত্য, আনন্দময়, তাই একো বহুস্যাম্, তিনি অনেক রূপে বিস্তার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণকে আনন্দ দেওয়ার জন্য আমরাও শ্রীকৃষ্ণের অংশ। আর প্রধান হ্লাদিনী শক্তি হল শ্রীমতী রাধারানী।
- রাধা-কৃষ্ণ-প্রণয়-বিকৃতিঃ হ্লাদিনী-শক্তির অস্মাদ
- একাত্মানাব অপি ভুব( পুরা ) দেহ ভেদো গতৌ তৌ
- চৈতন্যাখ্যাম্ প্রকটম্ অধুনা তদ্-দ্ব্যয়ম চৈক্যং আপ্তম্
- রাধা-ভাব-(দ্যুতি) সুবলিতম্ নৌমি কৃষ্ণ স্বরূপম্
শ্রীকৃষ্ণ হলেন পরম ব্রহ্ম, আমরা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা থেকে জানি। অর্জুন যখন শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি শ্রীকৃষ্ণকে নিশ্চিত করেছিলেন, পরম ব্রহ্ম পরম ধাম পবিত্রম্ পরমম ভবান (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১০।১২)। সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ হলেন পরম ব্রহ্ম। সুতরাং এই জড় জগতে আমরা দেখতে পাই যে একজন মহান, সাধু ব্যক্তি, কেবল ব্রহ্মানন্দ উপভোগ করার জন্য, তিনি ভৌতিক উপভোগের সমস্ত কিছু ছেড়ে দেন। তিনি সন্ন্যাসী হন। অহম ব্রহ্মস্মি। শুধু বোঝার জন্য যে তিনি ব্রহ্ম উপলব্ধিতে আছেন। সুতরাং ব্রহ্ম উপলব্ধির জন্য যদি জড় সমস্ত কিছু ছেড়ে দিতে হয়, আপনি কি মনে করেন যে পরম ব্রহ্ম, সর্বোচ্চ ব্রহ্ম কোনও জড় উপভোগ করতে পারবেন? না, শ্রীকৃষ্ণের উপভোগ মোটেও জড় কিছুই নয়। এই বিষয়টি বোঝা উচিত। ব্রহ্ম উপলব্ধির জন্য আমরা সমস্ত জাগতিক বস্তু ত্যাগ করছি। এবং পরম ব্রহ্ম কীভাবে কোনও জড় উপভোগ করতে পারেন? এই প্রশ্নটি জীব গোস্বামী খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করেছেন।
সুতরাং যখন পরম ব্রহ্ম ... সবার আগে, এই ভৌতিক জগতের মধ্যে পরম ব্রহ্মের তথ্য নেই। ক্ষুদ্র ব্রহ্মের তথ্য আছে। বা সামান্য পরমাত্মার তথ্য আছে। তবে পরম ব্রহ্ম বা ভগবানের তথ্য নেই। সুতরাং বলা হয়, মনুষ্যানাম্ সহস্রেষু কশ্চিদ যততি সিদ্ধ্যয়ে (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৭।৩)। সিদ্ধয়ে মানে ব্রহ্ম বা পরমাত্মা বোঝা। কিন্তু এমন অনেক ব্যক্তির মধ্যে যারা ব্রহ্ম এবং পরমাত্মাকে উপলব্ধি করেছেন, শ্রীকৃষ্ণকে খুব কমই লোক জানতে পারে। এবং যে ... সবার আগে ... (বিরতি) ... শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি সম্পর্কে আমরা কী বুঝতে পারি? ঠিক যেমন, আমি যদি কোন বড় লোককে জানতে চাই। এটি একটি প্রক্রিয়া। আর সেই বড় লোকটিকে না জেনে আমি তার অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি কীভাবে বুঝতে পারি? একইভাবে, যদি আমরা শ্রীকৃষ্ণকে না বুঝতে পারি, শ্রীকৃষ্ণ কীভাবে উপভোগ করছেন তা আমরা কীভাবে বুঝতে পারি? সেটা সম্ভব নয়। তবে গোস্বামীগণ, তারা আমাদের তথ্য দিচ্ছেন, শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি কী? তিনি হলেন শ্রীমতী রাধারাণী
সুতরাং আমরা রাধা কৃষ্ণ প্রেমময় বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করেছি, আমাদের শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা বইটিতে, পৃষ্ঠা ২৬৪ তে। আপনি যদি সেই বইটি পেয়ে থাকেন তবে আপনি এটি পড়তে পারেন, রাধা কৃষ্ণের প্রেমময় বিষয়গুলির আদান-প্রদান কীভাবে রয়েছে, দেহাতীত। তাই আমাদের, আজ, শ্রীমতী রাধারানীর কাছে প্রার্থনা ... আমরা শ্রীমতি রাধারণীর কাছে প্রার্থনা করি কারণ তিনি শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি। শ্রীকৃষ্ণ অর্থ "সর্ব-আকর্ষক"। তবে শ্রীমতী রাধারানী এত মহান যে তিনি শ্রীকৃষ্ণকে আকর্ষিত করেন। শ্রীকৃষ্ণ সর্ব-আকর্ষক এবং তিনি শ্রীকৃষ্ণের আকর্ষণীয় (আকর্ষক)। সুতরাং শ্রীমতী রাধারণীর অবস্থান কী? আমাদের এই দিনটি বোঝার চেষ্টা করা উচিত এবং শ্রীমতী রাধারানীকে আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা উচিত। রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী।
- তপ্ত কাঞ্চন গৌরাঙ্গী রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী
- বৃষভানু সুতে দেবী প্রণমামি হরিপ্রিয়ে।
আমাদের কাজ হল "শ্রীমতি রাধারাণী, আপনি শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। আপনি মহারাজ বৃষভানুর কন্যা এবং আপনি শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। সুতরাং আমরা আপনার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। "
- তপ্তকাঞ্চন গৌরাঙ্গী রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী
- বৃষভানুসুতে দেবী প্রণমামি হরিপ্রিয়ে।