BN/Prabhupada 0009 - চোরটি ভক্তে পরিণত হল

Revision as of 07:03, 4 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 1.2.12 -- Los Angeles, August 15, 1972

শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতায় বলেছেনঃ নাহং প্রকাশঃ সর্বস্য যোগমায়াসমাবৃতঃ, (ভ.গী. ৭ .২৫) "আমি সবার কাছে প্রাকাশিত হই না, যোগমায়ার দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে থাকি"। সুতরাং আপনি কিভাবে ভগবানকে দেখতে পাবেন? কিন্তু এই মূর্খতা চলছেই, যে "আপনি কি আমাকে ভগবান দেখাতে পারেন? আপনি কি ভগবান দর্শন করেছেন ?" ভগবান শুধু একটি খেলনার মতো হয়ে গেছে l "এই হচ্ছেন ভগবান l ইনি ভগবানের অবতার l " ন মাং দুষ্কৃতিনো মূঢ়া প্রপদন্তে নরাধমাঃ। (ভ.গী.৭ .১৫) এই ধরণের লোকেরা মানবজাতির মধ্যে পাপিষ্ঠ, ধূর্ত, নির্বোধ, সবচাইতে নীচ l তারা এইরকম জিজ্ঞাসা করে : "আপনি কি আমাকে ভগবান দেখাতে পারেন?" আপনি কি যোগ্যতা অর্জন করেছেন যে আপনি ভগবানকে দেখতে পাবেন? এখানে যোগ্যতাটি লেখা রয়েছে। সেটি কি? তচ্ছ্রদ্দধানা মুনয়ঃ (শ্রী.ভা.১.২.১২) প্রথমত তাকে বিশ্বাসী হতে হবে l বিশ্বাসী l শ্রদ্দধানা। আসলে তাকে, ভগবানকে দর্শনের জন্য খুবই আগ্রহী হতে হবে l একটি গৎবাঁধা ঝোঁকের বশে বা চপলতাপূর্ণভাবে নয়, "আপনি কি আমাকে ভগবানকে দেখাতে পারেন?" যাদু, যেন ভগবান একটি যাদু্র মত। না। তাকে অত্যন্ত গম্ভীর হতে হবে : হ্যাঁ, যদি ভগবান রয়েছেন... আমরা দেখেছি, আমদের ভগবানের বিষয়ে জানানো হয়েছে। তাই আমি অবশ্যই দেখতে পারব ।"

এই সম্পর্কে একটি গল্প আছে l এটি খুবই শিক্ষামূলক; শুনতে চেষ্টা করুন l এক পেশাদার পাঠক ভাগবত সম্পর্কে পাঠ করছিল, এবং তিনি বর্ণনা করছিল যে কৃষ্ণ সমস্ত রত্নসজ্জিত ছিলেন, তাঁকে বনে বনে গোচারণ করতে পাঠানো হয়েছিল। সেই ভাগবত সভায় একটি চোর বসে ছিল l তাই সে চিন্তা করল "তাহলে আমি বৃন্দাবন গিয়ে এই ছেলের সব চুরি করে নিই না কেন ?" সে অনেক মূল্যবান অলঙ্কারাদি গায়ে দিয়ে বনে অবস্থান করে। আমিতো সেখানে যেতে পারি এবং এই শিশুকে ধরে তাঁর সমস্ত অলঙ্কার নিয়ে নিতে পারি। এই ছিল তার উদ্দেশ্য। সুতরাং, সে মনস্থির করে নিয়েছিল যে আমাকে ওই ছেলেকে খুঁজে বের করতেই হবে l তাহলে এক রাতেই আমি কোটিপতি হয়ে যাব l কত কত অলঙ্কার, তাই না?" তাই সে বৃন্দাবনে গেল, কিন্তু তার যোগ্যতাটি ছিল যে "আমাকে কৃষ্ণকে দেখতেই হবে", আমাকে কৃষ্ণকে দেখতেই হবে "এই উদ্বেগ, এই আগ্রহ, এটা সম্ভব করে দিল এবং সে কৃষ্ণ দর্শন করল। ভাগবত পাঠক ঠিক যেমন শ্রীকৃষ্ণের বর্ণনা করেছিলেন ঠিক তেমনটাই সে দেখতে পেল। তারপর সে দেখল আর বলল, "ওহ, ওহ, কৃষ্ণ তুমি এত সুন্দর।" তাই সে তোষামোদ করতে শুরু করল। সে ভেবেছিল, "তোষামোদ করে আমি এর সব অলঙ্কার নিয়ে নেব"। তাই যখন সে তার আসল প্রস্তাবটি রাখল, "আমি কি তোমার কিছু অলঙ্কার নিতে পারি? তুমি এতো ধনী।" না, না, তুমি নিতে পার না ... আমার মা রাগ করবেন। আমি এগুলো দিতে পারব না... শ্রীকৃষ্ণ এক সাধারাণ শিশুর মতো বলতে লাগলেন। তাই সে শ্রীকৃষ্ণের জন্য আরও আরও আগ্রহী হয়ে উঠলো। এবং তারপর... শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গপ্রভাবে, সে ইতিমধ্যেই শুদ্ধ হয়ে উঠল। তারপর, শেষে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, "ঠিক আছে, তুমি নিতে পার।" তারপর সে তৎক্ষণাৎ একজন ভক্তে পরিণত হল। কারণ শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গপ্রভাবে....

তাই যেনতেন প্রকারেই হোক, আমাদের শ্রীকৃষ্ণের সংস্পর্শে আসা উচিত। যে কোন ভাবেই হোক না কেন। তাহলেই আমরা পবিত্র হতে পারব।