BN/Prabhupada 0010 - শ্রীকৃষ্ণকে অনুকরণ করার চেষ্টা করো না

Revision as of 07:03, 4 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 7.9.9 -- Mayapur, February 16, 1976

শ্রীকৃষ্ণ... তাঁর ষোলহাজার পত্নী, তাঁরা কিভাবে পত্নী হয়েছিলেন? আপনারা হয়তো গল্পটি জানেন, ষোল হাজার সুন্দরী, অতি সুন্দরী কন্যারা, রাজাদের কন্যারা এক অসুরের দ্বারা অপহৃত হয়েছিলেন। সেই অসুরের নামটি কী ছিল? ভৌমাসুর না ? হ্যাঁ। সুতরাং তারা শ্রীকৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছিলেন যে "আমরা দুঃখভোগ করছি। এই বদমাশ আমাদের অপহরণ করেছে। আমাদের মুক্ত করুন।" তখন শ্রীকৃষ্ণ তাদের উদ্ধার করতে আসেন, এবং ভৌমাসুরকে পরাস্ত করেন এবং সকল মেয়েদের মুক্ত করেন। কিন্তু মুক্তিলাভের পরও ওনারা ওখানেই দাঁড়িয়েছিলেন। তখন শ্রীকৃষ্ণ জিজ্ঞাসা করলেন "এখন তোমরা তোমাদের যার যার পিতার কাছে ঘরে ফিরে যেতে পার।" তাঁরা বললেন "আমাদের অপহরণ করা হয়েছিল, তাই আমাদের কেউই বিবাহ করবে না।" ভারতবর্ষে এখনও এই নিয়ম রয়েছে। যদি কোন যুবতী মেয়ে এক বা দু'দিনের জন্যে ঘরের বাইরে যায়, তাহলে কেউ তাকে বিয়ে করবে না। কেউই তাকে বিয়ে করবে না। তাকে তখন 'নষ্ট' বলে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে এই নিয়ম এখনও রয়েছে। তাঁদেরকে অনেক দিন, অনেক বছর ধরে অপহরণ করে রাখা হয়েছিল। তাই তাঁরা শ্রীকৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা জানালেন, "আমাদের পিতারাও আমাদের আর গ্রহণ করবে না, " না তো আমাদের কেউ বিয়েও করবে।" তারপর শ্রীকৃষ্ণ বুঝলেন যে "তাদের অবস্থান খুবই সংকটজনক। যদিও তারা মুক্ত হয়েছে, কিন্তু তাঁরা কোথাও যেতে পারবে না।" তাই শ্রীকৃষ্ণ... তিনি অতি দয়াময়, ভক্তবৎসল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন "তোমরা কি চাও ?" তাঁরা উত্তর দিলেন "আপনি আমাদের গ্রহণ করুন l অন্যথায় আমাদের বেঁচে থাকার অন্য কোন উপায় নেই।" শ্রীকৃষ্ণ তৎক্ষণাৎ বললেন, "হ্যাঁ, চলো l " ইনি হলেন শ্রীকৃষ্ণ। এবং এমনটাও নয় যে তাঁর ষোলহাজার স্ত্রী কোন একটি শিবিরে জড়ো করা ছিল। তিনি তৎক্ষণাৎ ষোলোহাজার রাজপ্রাসাদ বানিয়ে দিয়েছিলেন l কারণ যেহেতু তিনি স্ত্রী গ্রহণ করেছেন তাই তাঁকে তাঁর স্ত্রীদের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, তার রাণী হিসেবে, এমনটি নয় যে "তাঁদের অন্য কোন উপায় নেই, তাঁরা আমার আশ্রয়ে এসেছেন।" আমি তাঁদের যে কোন একভাবে রাখলেই হল।" না। রাণী হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মান সহকারে। শ্রীকৃষ্ণের রাণী হিসেবে। আবার তিনি ভাবলেন "এই ষোলো হাজার পত্নীরা... যদি আমি কেবল একটি শরীরেই থাকি, তাঁরা আমার সাথে সবসময় সাক্ষাৎ করতে পারবে না। তাদের স্বামীর সাথে দেখা করতে হলে প্রত্যেক স্ত্রীকে পরবর্তী ষোলোহাজার দিনের জন্যে প্রতীক্ষা করতে হবে, না? " তাই তিনি নিজেকে ষোলো হাজার শ্রীকৃষ্ণে বিস্তার করলেন। ইনি হলেন শ্রীকৃষ্ণ। বদমাশেরা শ্রীকৃষ্ণ-কে 'নারী-শিকারী' বলে দোষারোপ করে। এটি আপনার মতো নয়। আপনি এমন কি একটি পত্নীরও দেখভাল করতে পারেন না, কিন্তু তিনি ষোলহাজার রাজপ্রাসাদে ষোলহাজার পত্নীদের ভরণপোষণ করেছেন এবং ষোল হাজার বিস্তারিত রূপে। সকলেই সুখী ছিলেন। এই হলেন শ্রীকৃষ্ণ। আমাদের বুঝতে হবে শ্রীকৃষ্ণ কে? শ্রীকৃষ্ণকে নকল করার চেষ্টা করবেন না। প্রথমে শ্রীকৃষ্ণকে বোঝার চেষ্টা করুন।