BN/Prabhupada 0017 - পরা শক্তি এবং অপরা শক্তি

Revision as of 07:04, 4 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on Sri Isopanisad, Mantra 1 -- Los Angeles, May 2, 1970

এই জগতে দুটো শক্তি কাজ করছে: চিন্ময় শক্তি এবং জড় শক্তি। জড় শক্তি মানে এই আটটি জড় উপাদান। ভূমিরাপনোহলো বায়ু: (গীতা ৭.৪) মাটি, জল, আগুন, বায়ু, আকাশ, মন, বুদ্ধি এবং অহংকার। এগুলো সব জড় উপাদান এবং একইভাবে সুক্ষ্মতর, তার থেকে সূক্ষ্মতর, সূক্ষ্মতর এবং স্থুলতর, স্থুলতর, স্থুলতর। যেমন জল, পৃথিবী থেকে সুক্ষ্মতর এবং আগুন, জল থেকেও সুক্ষ্মতর, আর আগুন থেকে বায়ু সূক্ষ্মতর, এবং আকাশ বায়ু থেকে সুক্ষ্মতর। এইভাবে বুদ্ধি আকাশ থেকেও সুক্ষ্ম অথবা মন আকাশ থেকেও সূক্ষ্ম। মনের গতির উদাহরণ আমি অনেক বার দিয়েছি। তুমি এক সেকেন্ডেের মধ্যে কয়েক হাজার মাইল যেতে পার। তাই যত সুক্ষ্মতর, তা ততই শক্তিশালী। এইভাবে চরমে যখন তুমি চিন্ময় দিকটায় আসবে, সূক্ষ্মতর, যার সবকিছু নির্গত হচ্ছে, সেটি খুবই শক্তিশালী। এটি পারমার্থিক শক্তি। ভগবদ্গীতায় তা বলা হয়েছে। পারমার্থিক বা চিন্ময় শক্তিটি কি? সেই চিন্ময় শক্তিটি হচ্ছে এই জীবসত্ত্বা। অপরেয়মিতস তু বিদ্ধি মে প্রকৃতিম্ পরা (গীতা .৭.৫) শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "এগুলো জড় শক্তি, এর অতীত আরেকটি শক্তি, চিন্ময় প্রকৃতি বা শক্তি রয়েছে।" অপরেয়ম। অপরা মানে নিকৃষ্ট। অপরেয়ম্। "এইসব জড় উপাদানগুলো সব নিকৃষ্টা শক্তি। আর এর উর্ধে রয়েছে চিন্ময় শক্তি, হে প্রিয় অর্জুন।" সেটি কি? জীবভূত মহাবাহো - 'এই সমস্ত জীবেরা'। তারাও শক্তি, আমরা জীবেরাও শক্তি, কিন্তু উৎকৃষ্ট শক্তি। উৎকৃষ্ট কেন? কারণ "যয়েদং ধার্যতে জগৎ (ভগবদ্গীতা ৭.৫) উৎকৃষ্টা শক্তি নিকৃষ্টা শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। জড়বস্তুর কোন ক্ষমতা নেই। বিশাল হাওয়াই জাহাজ, সুন্দর একটি যন্ত্র, আকাশে উড়ছে যা কি না জড় উপাদান দিয়ে বানানো। কিন্তু সেখানে যদি কোন আধ্যাত্মিক শক্তি, বিমানচালক না থাকে, তবে সেটি নিরর্থক। হাজার বছর ধরে জেট বিমানটা বিমানবন্দরেই দাঁড়িয়ে থাকবে। ওটা ততক্ষণ চলবে না যতক্ষণ না আধ্যাত্মিক শক্তিরূপ সেই বিমানচালক এসে ওটা ধরবে। তাহলে ভগবানকে বুঝতে অসুবিধাটা কি? সোজা কথা, যদি এই বিশাল যন্ত্রটি ... অনেক অনেক বড় বড় যন্ত্র রয়েছে, আধ্যাত্মিক শক্তির স্পর্শ ছাড়া একটুকুও নড়বে না। মানুষ অথবা অন্য কোনো জীব। তাহলে আপনি এটা কি করে আশা করেন যে এই পুরো জড় শক্তি কোনো সঞ্চালকের উপস্থিতি ছাড়াই আপনাআপনি চলছে? এরকম অযৌক্তিক কথা আপনি বলেন কি করে? তা সম্ভব নয়। সুতরাং অল্পবুদ্ধিসম্পন্ন লোকেদের দল... তারা এটি বুঝতে পারেনা যে কিভাবে ভগবানের দ্বারা এই জড় জগৎটি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।