BN/Prabhupada 0024 - শ্রীকৃষ্ণ অত্যন্ত দয়ালু: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0024 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1974 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 6: Line 6:
[[Category:BN-Quotes - in India]]
[[Category:BN-Quotes - in India]]
[[Category:BN-Quotes - in India, Bombay]]
[[Category:BN-Quotes - in India, Bombay]]
[[Category:French Language]]
[[Category:Bengali Language]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0023 - মৃত্যুর পূর্বেই কৃষ্ণভাবনাময় হউন|0023|BN/Prabhupada 0025 - যদি আমরা খাঁটি জিনিস দেই, এটা কাজ করবে|0025}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<div class="center">
<div class="center">
Line 16: Line 19:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|fQRuJEPYKe4|কৃষ্ণ বড় দয়াময়<br />- Prabhupāda 0024}}
{{youtube_right|my4-1d1rjfs|শ্রীকৃষ্ণ অত্যন্ত দয়ালু<br />- Prabhupāda 0024}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


<!-- BEGIN AUDIO LINK -->
<!-- BEGIN AUDIO LINK -->
<mp3player>http://vaniquotes.org/w/images/741126SB.BOM_clip.mp3</mp3player>
<mp3player>https://s3.amazonaws.com/vanipedia/clip/741126SB.BOM_clip.mp3</mp3player>
<!-- END AUDIO LINK -->
<!-- END AUDIO LINK -->


Line 28: Line 31:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
যখন অর্জুন ভগবান কৃষ্ণ এর সামনা সামনি তাকিয়ে ছিল, ভগবান কৃষ্ণ তখন ভগবদ-গীতা শিক্ষা দিচ্ছিলেন। ভগবান কৃষ্ণকে দেখা এবং ভগবদ-গীতা অধ্যয়ন করা একই জিনিস। এর কোন পার্থক্য নেই। কেউ কেউ বলে যে, অর্জুন খুবই ভাগ্যবান ছিল... সে কৃষ্ণকে সামনা সামনি দেখতে পেয়েছিল এবং তার নির্দেশ গ্রহন করতে পেরেছিল। এটা ঠিক নয়। কৃষ্ণ, সে তৎক্ষণাৎ দেখা দিতে পারে, সে তোমাকে চোখ দিয়েছেন টা দেখার জন্য। কাজেই এটা বলা হয় যে, premāñjana-cchurita... প্রেম এবং ভক্তি, একই জিনিস। Premāñjana-cchurita-bhakti-vilocanena santaḥ sadaiva hṛdayeṣu vilokayanti [Bs. 5.38]. আমি এর সাথে সম্পর্কিত একটি গল্প বলব, দক্ষিণ ভারতে একজন ব্রাহ্মণ, রঙ্গন্নাথ মন্দিরে, সে ভগবদ-গীতা পাঠ করছিল। এবং সে ছিল অশিক্ষিত। সে না জানত সংস্কৃত বা কোন অক্ষর, অশিক্ষিত। কাজেই লোকজন, প্রতিবেশী, তারা জানত যে " এই লোক অশিক্ষিত, এবং সে ভগবদ-গীতা পাঠ করছে" সে ভগবদ-গীতা খুলছে, "উহ উহ," সে ছিল এরকম। কাজেই কেউ কেউ ঠাট্টা করছিল, " বেশ, ব্রাহ্মণ বাবু, আপনি কিভাবে ভগবদ-গীতা পাঠ করছেন?" সে বুঝতে পারছিল যে, এই লোক ঠাট্টা করছে কারন আমি অশিক্ষিত'। কাজেই এই ভাবে, চৈতন্য মহাপ্রভুও সেইদিন রঙ্গন্নাথ মন্দিরে উপস্থিত ছিল, এবং সে বুঝতে পেরেছিল যে " এখানে একজন ভক্ত আছে"। কাজেই সে (চৈতন্য মহাপ্রভু) তার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, "আমার প্রিয় ব্রাহ্মণ বাবু, আপনি কি পাঠ করছেন?" কাজেই সে বুঝতে পেরেছিল যে, "এই লোক ঠাট্টা করছে না"। কাজেই সে বলল, " স্যার আমি ভগবদ-গীতা পাঠ করছি। আমি ভগবদ-গীতা পাঠ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমি অশিক্ষিত। কাজেই আমার গুরু মহারাজ বলেছেন যে " তোমাকে অবশ্যই প্রতিদিন আঠারো অধ্যায় পাঠ করতে হবে"। আমার জ্ঞান নেই। আমি পড়তে পারি না। তারপরও, গুরু মহারাজ বললেন, আমি যেন তাঁর নির্দেশ পালন করার চেষ্টা করি এবং পৃষ্ঠাগুলো খুলছিল। এবং এটাই সব। আমি জানিনা কিভাবে পড়তে হয়। চৈতন্য মহাপ্রভু বললেন, " আমি দেখি, আপনি মাঝেমাঝে কাঁদছেন"। তারপর, "হ্যাঁ, আমি কাঁদছি"। যদি আপনি না পড়তে পারেন, তাহলে কিভাবে কাঁদছেন?" " না, কারন যখন আমি এই ভগবদ-গীতা গ্রন্থটি হাতে নেই, আমি একটি ছবি দেখি, যে, কৃষ্ণ এত দয়ালু যে সে রথ চালানোর দায়িত্ব নিয়েছেন, অর্জুন এর সারথি। সে তাঁর ভক্ত। কাজেই শ্রী কৃষ্ণ খুবই দয়ালু যে সে একজন সেবক এর দায়িত্ব গ্রহন করেছেন কারন অর্জুন নির্দেশ করছিল, ' আমার রথ এখানে রাখ,' এবং কৃষ্ণ তাঁর সেবা করছিল। কাজেই কৃষ্ণ খুবই দয়ালু। কাজেই যখন আমি এই ছবি আমার হৃদয়ের গভীরে দেখতে পাই, তখন আমি কাঁদি।" চৈতন্য মহাপ্রভু তৎক্ষণাৎ তাকে জড়িয়ে ধরলেন, যে আপনি ভগবদ- গীতা পাঠ করছেন। কোন শিক্ষা ব্যাতিত , আপনি ভগবদ- গীতা পাঠ করছেন" সে তাকে জড়িয়ে ধরল। এটাই... সে কিভাবে ছবি দেখছিল? কারন সে ছিল কৃষ্ণভক্ত, এটা কোন ব্যাপার না, সে অই শ্লোকগুলো পাঠ করতে পারছিল কি পারছিল না। কিন্তু সে কৃষ্ণপ্রেম গ্রহন করতে পেরেছিল এবং সে দেখতেছিল, কৃষ্ণ সেখানে বসে ছিল, এবং সে অর্জুন এর রথ চালাচ্ছিল। এটা প্রয়োজন।
যখন অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে সামনাসামনি দেখছিলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তখন ভগবদ্গীতা শিক্ষা দিচ্ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দেখা এবং ভগবদগীতা অধ্যয়ন করা একই জিনিস। এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কেউ কেউ বলে যে, অর্জুন খুবই ভাগ্যবান ছিল... "সে শ্রীকৃষ্ণকে সামনা সামনি দেখতে পেয়েছিল এবং তাঁর থেকে নির্দেশ পেতে পেরেছিল।" এটা ঠিক নয়। শ্রীকৃষ্ণ। তাঁকে তৎক্ষণাৎ দেখা যেতে পারে এই শর্তে যে তাঁকে দেখার মতো চোখ তোমার রয়েছে। কাজেই এটা বলা হয়েছে যে, প্রেমাঞ্জনচ্ছুরিত... প্রেম এবং ভক্তি, একই জিনিস। প্রেমাঞ্জনচ্ছুরিত -ভক্তি-বিলোচনেন সন্ত সদৈব হৃদয়েষু বিলোকয়ন্তি (ব্রহ্ম সংহিতা ৫.৩৮) আমি এর সাথে সম্পর্কিত একটি গল্প বলব, দক্ষিণ ভারতে একজন ব্রাহ্মণ, সে রঙ্গনাথ মন্দিরে ভগবদ-গীতা পাঠ করছিল এবং সে ছিল অশিক্ষিত। সে না জানত সংস্কৃত বা কোন অক্ষর, অশিক্ষিত। কাজেই লোকজন, প্রতিবেশী, তারা জানত যে "এই লোকটি অশিক্ষিত এবং সে ভগবদগীতা পাঠ করছে।" সে ভগবদ্গীতা খুলেই, "আহ্, আহ্" এরকম করছিল। কেউ কেউ ঠাট্টা করছিল, "বেশ, ব্রাহ্মণ বাবু, আপনি কিভাবে ভগবদগীতা পাঠ করছেন?" সে বুঝতে পারছিল যে, এই লোকটি ঠাট্টা করছে কারণ আমিতো অশিক্ষিত'। এই ভাবে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুও সেইদিন ঘটনাক্রমে শ্রীরঙ্গন্নাথ মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন, এবং তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে "ইনি একজন ভক্ত"। কাজেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, "হে প্রিয় ব্রাহ্মণ, তুমি কি পাঠ করছো?" সেই ব্রাহ্মণটি এটিও বুঝতে পেরেছিল যে, "এই লোকটি ঠাট্টা করছে না"। কাজেই সে বলল, "প্রভু, আমি ভগবদগীতা পাঠ করছি। আমি ভগবদগীতা পাঠ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমি তো অশিক্ষিত। আমার গুরুমহারাজ বলেছেন যে "তোমাকে অবশ্যই প্রতিদিন আঠারো অধ্যায় পাঠ করতে হবে"। আমার কোন জ্ঞান নেই। আমি পড়তে পারি না। তারপরও যেহেতু গুরু মহারাজ বলেছেন তাই আমি তাঁর নির্দেশ পালন করার চেষ্টা করছি। এবং শুধু পৃষ্ঠা খুলে যাচ্ছি, ব্যাস্। আমি জানিনা গীতা কিভাবে পড়তে হয়। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বললেন, "আমি দেখছি তুমি মাঝে মাঝে কাঁদছও। "হ্যাঁ, আমি কাঁদছি"। যদি তুমি পড়তেই না পার, তাহলে কাঁদছ কিভাবে? "না, কারণ যখন আমি এই ভগবদগীতা গ্রন্থটি হাতে নিই, আমার সামনে একটি ছবি ভেসে ওঠে যে, শ্রীকৃষ্ণ এত দয়ালু যে তিনি অর্জুনের রথের চালক বা সারথি হয়েছেন। সে তাঁর ভক্ত। শ্রীকৃষ্ণ এতোই দয়ালু যে তিনি একজন সেবকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কারণ অর্জুন নির্দেশ করছিল, 'আমার রথ এখানে রাখ, ওখানে রাখ,' এবং শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সেবা করছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ খুবই দয়ালু। তাই যখনই আমি এই ছবি আমার হৃদয়ের গভীরে দেখতে পাই, তখনই আমি কাঁদি।" শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তৎক্ষণাৎ তাকে জড়িয়ে ধরে বললেন যে, "তুমি সত্যই ভগবদগীতা পাঠ করছ। কোন বিদ্যাশিক্ষা ছাড়াই তুমি ভগবদগীতা পাঠ করছ।" তিনি তাকে জড়িয়ে ধরলেন। সুতরাং এটিই... সে কিভাবে ছবিটি দেখছিল? কারণ সেই ব্রাহ্মণ ছিলেন একজন কৃষ্ণভক্ত, ওই শ্লোকগুলো তিনি পাঠ করতে পারছিলেন কি না, সেটা কোন ব্যাপার না। কিন্তু তিনি কৃষ্ণপ্রেমে মগ্ন ছিলেন এবং দেখছিলেন, শ্রীকৃষ্ণ সেখানে বসেছিলেন এবং তিনি অর্জুনের রথ চালাচ্ছিলেন। এটিই প্রয়োজন।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:06, 4 June 2021



Lecture on SB 3.25.26 -- Bombay, November 26, 1974

যখন অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে সামনাসামনি দেখছিলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তখন ভগবদ্গীতা শিক্ষা দিচ্ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দেখা এবং ভগবদগীতা অধ্যয়ন করা একই জিনিস। এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কেউ কেউ বলে যে, অর্জুন খুবই ভাগ্যবান ছিল... "সে শ্রীকৃষ্ণকে সামনা সামনি দেখতে পেয়েছিল এবং তাঁর থেকে নির্দেশ পেতে পেরেছিল।" এটা ঠিক নয়। শ্রীকৃষ্ণ। তাঁকে তৎক্ষণাৎ দেখা যেতে পারে এই শর্তে যে তাঁকে দেখার মতো চোখ তোমার রয়েছে। কাজেই এটা বলা হয়েছে যে, প্রেমাঞ্জনচ্ছুরিত... প্রেম এবং ভক্তি, একই জিনিস। প্রেমাঞ্জনচ্ছুরিত -ভক্তি-বিলোচনেন সন্ত সদৈব হৃদয়েষু বিলোকয়ন্তি (ব্রহ্ম সংহিতা ৫.৩৮) আমি এর সাথে সম্পর্কিত একটি গল্প বলব, দক্ষিণ ভারতে একজন ব্রাহ্মণ, সে রঙ্গনাথ মন্দিরে ভগবদ-গীতা পাঠ করছিল এবং সে ছিল অশিক্ষিত। সে না জানত সংস্কৃত বা কোন অক্ষর, অশিক্ষিত। কাজেই লোকজন, প্রতিবেশী, তারা জানত যে "এই লোকটি অশিক্ষিত এবং সে ভগবদগীতা পাঠ করছে।" সে ভগবদ্গীতা খুলেই, "আহ্, আহ্" এরকম করছিল। কেউ কেউ ঠাট্টা করছিল, "বেশ, ব্রাহ্মণ বাবু, আপনি কিভাবে ভগবদগীতা পাঠ করছেন?" সে বুঝতে পারছিল যে, এই লোকটি ঠাট্টা করছে কারণ আমিতো অশিক্ষিত'। এই ভাবে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুও সেইদিন ঘটনাক্রমে শ্রীরঙ্গন্নাথ মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন, এবং তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে "ইনি একজন ভক্ত"। কাজেই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, "হে প্রিয় ব্রাহ্মণ, তুমি কি পাঠ করছো?" সেই ব্রাহ্মণটি এটিও বুঝতে পেরেছিল যে, "এই লোকটি ঠাট্টা করছে না"। কাজেই সে বলল, "প্রভু, আমি ভগবদগীতা পাঠ করছি। আমি ভগবদগীতা পাঠ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমি তো অশিক্ষিত। আমার গুরুমহারাজ বলেছেন যে "তোমাকে অবশ্যই প্রতিদিন আঠারো অধ্যায় পাঠ করতে হবে"। আমার কোন জ্ঞান নেই। আমি পড়তে পারি না। তারপরও যেহেতু গুরু মহারাজ বলেছেন তাই আমি তাঁর নির্দেশ পালন করার চেষ্টা করছি। এবং শুধু পৃষ্ঠা খুলে যাচ্ছি, ব্যাস্। আমি জানিনা গীতা কিভাবে পড়তে হয়। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বললেন, "আমি দেখছি তুমি মাঝে মাঝে কাঁদছও। "হ্যাঁ, আমি কাঁদছি"। যদি তুমি পড়তেই না পার, তাহলে কাঁদছ কিভাবে? "না, কারণ যখন আমি এই ভগবদগীতা গ্রন্থটি হাতে নিই, আমার সামনে একটি ছবি ভেসে ওঠে যে, শ্রীকৃষ্ণ এত দয়ালু যে তিনি অর্জুনের রথের চালক বা সারথি হয়েছেন। সে তাঁর ভক্ত। শ্রীকৃষ্ণ এতোই দয়ালু যে তিনি একজন সেবকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কারণ অর্জুন নির্দেশ করছিল, 'আমার রথ এখানে রাখ, ওখানে রাখ,' এবং শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সেবা করছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ খুবই দয়ালু। তাই যখনই আমি এই ছবি আমার হৃদয়ের গভীরে দেখতে পাই, তখনই আমি কাঁদি।" শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তৎক্ষণাৎ তাকে জড়িয়ে ধরে বললেন যে, "তুমি সত্যই ভগবদগীতা পাঠ করছ। কোন বিদ্যাশিক্ষা ছাড়াই তুমি ভগবদগীতা পাঠ করছ।" তিনি তাকে জড়িয়ে ধরলেন। সুতরাং এটিই... সে কিভাবে ছবিটি দেখছিল? কারণ সেই ব্রাহ্মণ ছিলেন একজন কৃষ্ণভক্ত, ওই শ্লোকগুলো তিনি পাঠ করতে পারছিলেন কি না, সেটা কোন ব্যাপার না। কিন্তু তিনি কৃষ্ণপ্রেমে মগ্ন ছিলেন এবং দেখছিলেন, শ্রীকৃষ্ণ সেখানে বসেছিলেন এবং তিনি অর্জুনের রথ চালাচ্ছিলেন। এটিই প্রয়োজন।