BN/Prabhupada 0042 - দীক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নাও: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0042 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1976 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 7: Line 7:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0041 - वर्तमान जीवन अशुभता से भरा है|0041|HI/Prabhupada 0043 - भगवद्-गीता मुख्य सिद्धांत है|0043}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0041 - বর্তমান জীবনটি বহু অশুভ দ্বারা পরিপূর্ণ|0041|BN/Prabhupada 0043 - ভগবদ-গীতা হচ্ছে জীবনের মূলনীতি|0043}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 17: Line 17:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|VLvannmmzAI|এই দীক্ষা, অত্যন্ত গুরুতর ভাবে নিন<br />- Prabhupāda 0042}}
{{youtube_right|_CLLbj_-AZQ|দীক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নাও<br />- Prabhupāda 0042}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 29: Line 29:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
চৈতন্য-চরিতামৃত তে,শ্রীলা রুপা গোস্বামীকে শিক্ষা প্রদান করার সময় চৈতন্য মহাপ্রভু বলেন,  
শ্রীচৈতন্য চরিতামৃততে বর্ণিত আছে, শ্রীল রূপ গোস্বামীকে শিক্ষা প্রদান করার সময় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছিলেন,  


:এই রূপে ব্রহ্মাণ্ড ভ্রমিতে কোনা ভাগ্যবান জিভা
:এইরূপে ব্রহ্মাণ্ড ভ্রমিতে কোনও ভাগ্যবান জীব,
:গুরু-কৃষ্ণ-কৃপায় পায়া ভক্তি-লতা-বিজা
:([[Vanisource:CC Madhya 19.151|চৈ. চ মধ্যে ১৯.১৫১]])


জীবিত সত্ত্বা, তারা এক প্রকারের জীবন থেকে অন্য প্রকারে রূপান্তরিত হয় এবং একটি গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে, চড়ে বেড়ান কখনও কখনও নিম্ন-শ্রেণীর জীবন, কখনও কখনও উচ্চ-শ্রেণীর জীবন। এই চলছ। একে বলা হয় সমসার-চক্র-বর্ত্মানি ([[Vanisource:BG 9.3|ভা গি ৯.৩]])। গত রাতে আমরা ব্যাখ্যা করলাম, মৃত্যু-সমসার-বর্ত্মানি। এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়, মৃত্যু-সমসার-বর্ত্মানি। জীবনের খুব কঠিন উপায়, মরা। সবাই মৃত্যুকে ভয় পায় কারণ মৃত্যুর পর কেউ জানে না কি ঘটবে। যারা নির্বোধ, তারা পশু। ঠিক যেমন পশুদের হত্যা করা হয়, অন্য পশুরা মনে করে যে "আমি নিরাপদ"। সুতরাং যেকোনো ব্যক্তি সামান্য বুদ্ধিমত্তার সাথে কখনও মরতে চাইবে না এবং অন্য শরীর গ্রহণ করতে চাইবে না ।এবং আমরা জানি না আমরা কি ধরনের শরীর পেতে যাচ্ছি।
:গুরুকৃষ্ণ কৃপায় পায় ভক্তিলতাবীজ


সুতরাং গুরু এবং কৃষ্ণের করুণা দ্বারা এই দীক্ষা, এটাকে খুব সাধারণ ভাবে নেবেন না। এটি খুব গুরুত্ব সহকারে নিন। এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ। বীযা মানে বীজ, ভক্তির বীজ। অতএব তোমরা প্রভুর সামনে যা প্রতীজ্ঞা করেছিলে, আপনার আধ্যাত্মিক গুরুর সামনে, অগ্নির সামনে, বৈষ্ণবের সামনে, এই প্রতিশ্রুতি থেকে কখনও বিচ্যুত করবেন না। তাহলে আপনি আপনার আধ্যাত্মিক জীবনের মধ্যে ঠিক থাকতে পারবেন না কোন অবৈধ যৌনতা, না কোন মাংসখাদ্য, না কোন জুয়া, না কোন মাদকতা - এই চারটি না - এবং হরে কৃষ্ণ জপ করা - এক হ্যাঁ। চারটা না এবং একটা হ্যাঁ। যা আপনার জীবনকে সফল করতে পারবে। এটা খুব সহজ।এটা কঠিন নয়.
:([[Vanisource:CC Madhya 19.151|চৈ. চ. মধ্য ১৯.১৫১]])


কিন্তু মায়া খুব শক্তিশালী, কখনও কখনও আমাদেরকে ভ্রান্ত করে দেয়। সুতরাং যখন মায়া আমাদের ত্যাগ করতে চেষ্টা করে, তখন শুধু কৃষ্ণর কাছে প্রার্থনা করুন, "দয়া করে আমাকে বাঁচান। আমি আত্মসমর্পণ করছি, সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করেছি, এবং দয়া করে আমাকে রক্ষা করুন" এবং কৃষ্ণ আপনাকে রক্ষা করবেন। কিন্তু এই সুযোগ হারাবেন না। এটা আমার অনুরোধ। আমার সব শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ আপনার উপর আছে।
জীব এক প্রকারের জীবন থেকে অন্য প্রকারের জীবনে ভ্রমণ করছে, এবং এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কখনও নিম্নতর জীবনে, কখনও উচ্চতর জীবনে। এটিই চলছে। একে বলা হয় সংসার-চক্র-বর্ত্মনি। গত রাতে আমরা ব্যাখ্যা করছিলাম, 'মৃত্যু-সংসারবর্ত্মনি'। এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, 'মৃত্যুসংসারবর্ত্মনি'। জীবনধারণের উপায় অত্যন্ত কঠিন, মৃত্যুও কঠিন। সবাই মৃত্যুকে ভয় পায় কারণ কেউ জানে না মৃত্যুর পর  কি ঘটবে। যারা নির্বোধ, তারা পশু। ঠিক যেমন যখন পশুদের হত্যা করা হয়, অন্য পশুরা মনে করে যে "আমি নিরাপদ"। যে কোনও ব্যক্তি যার সামান্য বুদ্ধিও আছে, কখনই মরতে চাইবে না এবং আরেকটি দেহ ধারণ করতে চাইবে না। আর আমরা জানিও না যে কি ধরনের শরীর আমরা পেতে যাচ্ছি। সুতরাং গুরু এবং শ্রীকৃষ্ণের করুণা দ্বারা এই যে দীক্ষা, একে খুব হালকাভাবে নিও না। এটি খুব গুরুত্ব সহকারে নাও। এটি একটি বিশাল সুযোগ। এখানে 'বীজ' মানে ভক্তির বীজ।


তাই আসুন আমরা ভক্তির সুযোগ গ্রহণ করি,ভক্তি-লতা-বিজা। মালি হানা সেই বিজা করে আরোপনা ([[Vanisource:CC Madhya 19.152|চৈ. চ মধ্যে ১৯.১৫২]])। সুতরাং যখন আপনি একটি চমৎকার বীজ পাবেন, আমদের পৃথিবীতে এটি বপন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি প্রথম শ্রেণীর গোলাপ ফুলের খুব ভাল বীজ-পান, তাই আপনি মাটিতে এটি বপন করুন এবং শুধু একটু, সামান্য, সামান্য জল প্রদান করুন। এটা বৃদ্ধি হবে। তাই এই বীজ জল দ্বারা উত্থিত করা যেতে পারে। জলসেচন কি জিনিস? স্রাবনা কীর্তনা জালে করায়ে সেচনা ([[Vanisource:CC Madhya 19.152|চৈ. চ মধ্যে ১৯.১৫২]])। এই বিচের জলসেচন, ভক্তি-লতা, শ্রবণ-কীর্তন, শ্রবণ ও জপ করা । সুতরাং আপনি সন্ন্যাসী ও বৈষ্ণব থেকে আরও বেশি কিছু শুনতে পারবেন। কিন্তু এই সুযোগ ছাড়বেন না। এটা আমার অনুরোধ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।  
সুতরাং ভগবানের সামনে তোমরা যা প্রতিজ্ঞা করেছ, তোমার গুরুদেবের সামনে, অগ্নির সামনে, বৈষ্ণবদের সামনে, এই প্রতিজ্ঞাগুলো থেকে কখনও বিচ্যুত হইও না। তবেই তুমি তোমার পারমার্থিক জীবনে স্থির থাকতে পারবে। কোনও অবৈধ সঙ্গ নয়, আমিষাহার নয়, কোনও জুয়া খেলা নয়, কোনও নেশা করা চলবে না, এই চারটি করা যাবে না - এবং হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা -এই  একটি করণীয়। চারটি 'না' এবং একটা হ্যাঁ। এটিই আপনার জীবনকে সফল করবে। এটা খুব সহজ। এটা কঠিন নয়. কিন্তু মায়া খুব শক্তিশালী। কখনও কখনও আমাদেরকে বিচ্যুত করে দেয়। সুতরাং যখন যখন মায়া আমাদের পথচ্যুত করতে চেষ্টা করবে, তখন শুধু শ্রীকৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করবে। "দয়া করে আমাকে বাঁচান। আমি আত্মসমর্পণ করছি, সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করছি, এবং দয়া করে আমাকে রক্ষা করুন" এবং শ্রীকৃষ্ণ তোমাকে রক্ষা করবেন। কিন্তু এই সুযোগটি হারিও না। এটা আমার অনুরোধ। আমার সব শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ তোমাদের ওপর আছে। তাই এসো, আমরা ভক্তির এই সুযোগ গ্রহণ করি,ভক্তি-লতা-বীজ। মালী হইয়া সেই বীজ করে আরোপন। সুতরাং যখন তুমি একটি চমৎকার বীজ পাবে, তা তোমাদের মাটিতে বপন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি তুমি প্রথম শ্রেণীর গোলাপ ফুলের খুব ভাল বীজ পাও, তুমি সেটি মাটিতে বপন কর এবং শুধু একটু, সামান্য, সামান্য জল প্রদান দিতে থাকো। এটি বাড়তে থাকবে। সুতরাং এই বীজটি জলসিঞ্চনের দ্বারা বাড়বে। সেই জলসেচনটি কি? শ্রবণ কীর্তন জলে করয়ে সেচন (চৈ. চ.মধ্য ১৯.১৫২)। এই ভক্তি-লতায় জলসেচন হচ্ছে শ্রবণ-কীর্তন, শ্রবণ ও জপ করা । সুতরাং তোমরা সন্ন্যাসী ও বৈষ্ণবদের থেকে আরও বেশি বেশি শুনবে। কিন্তু এই সুযোগ হারাবে না। এটা আমার অনুরোধ। অনেক ধন্যবাদ।  


ভক্তরা: জয় শ্রীল প্রভুপাদ!  
ভক্তরা: জয় শ্রীল প্রভুপাদ!  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:11, 4 June 2021



Initiation Lecture Excerpt -- Melbourne, April 23, 1976

শ্রীচৈতন্য চরিতামৃততে বর্ণিত আছে, শ্রীল রূপ গোস্বামীকে শিক্ষা প্রদান করার সময় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছিলেন,

এইরূপে ব্রহ্মাণ্ড ভ্রমিতে কোনও ভাগ্যবান জীব,
গুরুকৃষ্ণ কৃপায় পায় ভক্তিলতাবীজ
(চৈ. চ. মধ্য ১৯.১৫১)

জীব এক প্রকারের জীবন থেকে অন্য প্রকারের জীবনে ভ্রমণ করছে, এবং এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কখনও নিম্নতর জীবনে, কখনও উচ্চতর জীবনে। এটিই চলছে। একে বলা হয় সংসার-চক্র-বর্ত্মনি। গত রাতে আমরা ব্যাখ্যা করছিলাম, 'মৃত্যু-সংসারবর্ত্মনি'। এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, 'মৃত্যুসংসারবর্ত্মনি'। জীবনধারণের উপায় অত্যন্ত কঠিন, মৃত্যুও কঠিন। সবাই মৃত্যুকে ভয় পায় কারণ কেউ জানে না মৃত্যুর পর কি ঘটবে। যারা নির্বোধ, তারা পশু। ঠিক যেমন যখন পশুদের হত্যা করা হয়, অন্য পশুরা মনে করে যে "আমি নিরাপদ"। যে কোনও ব্যক্তি যার সামান্য বুদ্ধিও আছে, কখনই মরতে চাইবে না এবং আরেকটি দেহ ধারণ করতে চাইবে না। আর আমরা জানিও না যে কি ধরনের শরীর আমরা পেতে যাচ্ছি। সুতরাং গুরু এবং শ্রীকৃষ্ণের করুণা দ্বারা এই যে দীক্ষা, একে খুব হালকাভাবে নিও না। এটি খুব গুরুত্ব সহকারে নাও। এটি একটি বিশাল সুযোগ। এখানে 'বীজ' মানে ভক্তির বীজ।

সুতরাং ভগবানের সামনে তোমরা যা প্রতিজ্ঞা করেছ, তোমার গুরুদেবের সামনে, অগ্নির সামনে, বৈষ্ণবদের সামনে, এই প্রতিজ্ঞাগুলো থেকে কখনও বিচ্যুত হইও না। তবেই তুমি তোমার পারমার্থিক জীবনে স্থির থাকতে পারবে। কোনও অবৈধ সঙ্গ নয়, আমিষাহার নয়, কোনও জুয়া খেলা নয়, কোনও নেশা করা চলবে না, এই চারটি করা যাবে না - এবং হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা -এই একটি করণীয়। চারটি 'না' এবং একটা হ্যাঁ। এটিই আপনার জীবনকে সফল করবে। এটা খুব সহজ। এটা কঠিন নয়. কিন্তু মায়া খুব শক্তিশালী। কখনও কখনও আমাদেরকে বিচ্যুত করে দেয়। সুতরাং যখন যখন মায়া আমাদের পথচ্যুত করতে চেষ্টা করবে, তখন শুধু শ্রীকৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করবে। "দয়া করে আমাকে বাঁচান। আমি আত্মসমর্পণ করছি, সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করছি, এবং দয়া করে আমাকে রক্ষা করুন" এবং শ্রীকৃষ্ণ তোমাকে রক্ষা করবেন। কিন্তু এই সুযোগটি হারিও না। এটা আমার অনুরোধ। আমার সব শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ তোমাদের ওপর আছে। তাই এসো, আমরা ভক্তির এই সুযোগ গ্রহণ করি,ভক্তি-লতা-বীজ। মালী হইয়া সেই বীজ করে আরোপন। সুতরাং যখন তুমি একটি চমৎকার বীজ পাবে, তা তোমাদের মাটিতে বপন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি তুমি প্রথম শ্রেণীর গোলাপ ফুলের খুব ভাল বীজ পাও, তুমি সেটি মাটিতে বপন কর এবং শুধু একটু, সামান্য, সামান্য জল প্রদান দিতে থাকো। এটি বাড়তে থাকবে। সুতরাং এই বীজটি জলসিঞ্চনের দ্বারা বাড়বে। সেই জলসেচনটি কি? শ্রবণ কীর্তন জলে করয়ে সেচন (চৈ. চ.মধ্য ১৯.১৫২)। এই ভক্তি-লতায় জলসেচন হচ্ছে শ্রবণ-কীর্তন, শ্রবণ ও জপ করা । সুতরাং তোমরা সন্ন্যাসী ও বৈষ্ণবদের থেকে আরও বেশি বেশি শুনবে। কিন্তু এই সুযোগ হারাবে না। এটা আমার অনুরোধ। অনেক ধন্যবাদ।

ভক্তরা: জয় শ্রীল প্রভুপাদ!