BN/Prabhupada 0044 - সেবার অর্থ হচ্ছে আপনি গুরুর আদেশ পালন করবেন: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0044 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1968 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 7: Line 7:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0043 - भगवद्-गीता मुख्य सिद्धांत है|0043|HI/Prabhupada 0045 - ज्ञान का प्रयोजन ज्ञेयम है|0045}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0043 - ভগবদ-গীতা হচ্ছে জীবনের মূলনীতি|0043|BN/Prabhupada 0045 - জ্ঞানের বিষয়বস্তুকে বলা হয় জ্ঞেয়|0045}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 17: Line 17:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|mNEVDMERkLI|সেবার অর্থ যে আপনি গুরুর আদেশ মান্য করবেন<br />- Prabhupāda 0044}}
{{youtube_right|MlPU9plty4M|সেবার অর্থ যে আপনি গুরুর আদেশ মান্য করবেন<br />- Prabhupāda 0044}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 29: Line 29:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
তাই তার মানে তিনি কৃষ্ণের নির্দেশ অনুসরণ করেছে। এটাই শেষ। তিনি মনে করেন না যে "আমি কৃষ্ণের শত্রূ হতে যাচ্ছি।" নীতি হল যে তিনি অনুসরণ করছেন। যদি কৃষ্ণ বলে বলে যে "তুমি আমার শত্রূ হও," তাহলে আমি তার শত্রূ হতে পারি। এটা ভক্তি-যোগ। হ্যাঁ। আমি কৃষ্ণকে পরিতৃপ্ত করতে চাই
তাই তার মানে হচ্ছে তিনি শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ অনুসরণ করছেন। সেটিই সবকিছু। "আমি কৃষ্ণের শত্রূ হতে যাচ্ছি।" এ কথা ভেবে তিনি কিছু মনে করেন না। মূলনীতি হচ্ছে যে তিনি অনুসরণ করছেন। যদি শ্রীকৃষ্ণ বলেন যে "তুমি আমার শত্রূ হও," তাহলে আমি তার শত্রূ হতে পারি। সেটিই হচ্ছে ভক্তিযোগ। হ্যাঁ। আমি শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করতে চাই। ঠিক যেমন একজন গুরু তাঁর শিষ্যকে আদেশ করছেন, "তুমি আমাকে এখানে আঘাত কর।" সে গুরুদেবের কথামতো তাঁকে এভাবে আঘাত করল। সুতরাং এই হচ্ছে সেবা। অন্যরা হয়তো দেখছে, "ওহ, সে আঘাত করল আর সে কি না মনে করছে, 'আমি সেবা করছি'? এটা কী ধরণের সেবা? সে তো আঘাত করছে।" কিন্তু গুরু চাইছেন যে "তুমি আমাকে আঘাত কর।" সেটি হচ্ছে সেবা। সেবা মানে যে আপনি গুরুর নির্দেশ মান্য করবেন। আদেশটি কি তা কোন ব্যপার নয়। ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনে একটি চমৎকার উদাহরণ রয়েছে। গোবিন্দ নামে তাঁর একজন সেবক ছিল। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রসাড পাবার পর গোবিন্দ প্রসাদ পেতেন। একদিন চৈতন্য মহাপ্রভু প্রসাদ গ্রহণ করার পর, ঘরে ঢোকার দুয়ারে শুয়ে পড়লেন। কি বলে একে? দরজা, প্রবেশের দুয়ার। সুতরাং গোবিন্দ তাঁকে ডিঙিয়ে গেলেন। যখন মহাপ্রভু বিশ্রাম নিতেন, গোবিন্দ তাঁর চরণসেবা করতেন। গোবিন্দ চৈতন্য মহাপ্রভুকে ডিঙিয়ে গিয়ে তাঁর পাদসম্বাহন করছিলেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ঘুমিয়ে ছিলেন, এবং আধা ঘন্টা পর, যখন তাঁর ঘুম ভাঙ্গল, তিনি দেখলেন, "গোবিন্দ, তুমি কি এখনও তোমার প্রসাদ গ্রহণ কর নি?" "না প্রভু." "কেন?" "আমি তো আপনাকে ডিঙিয়ে যেতে পারি না। আপনি তো এখানে শুয়ে আছেন।" "তাহলে তুমি এসেছো কিভাবে?" "আমি আপনাকে ডিঙিয়ে  এসেছি." "তুমি প্রথমে কিভাবে ভেতরে এলে, তাহলে কেন আবার ডিঙিয়ে যাচ্ছো না?" "সেটা আমি আপনাকে সেবা করতে এসেছিলাম। আর এখন আমার নিজের প্রসাদ পাওয়ার জন্য আমি ওভাবে ডিঙিয়ে যেতে পারবো না।" সেটি আমার করা উচিৎ নয়। এটা তো আমার জন্য। আর সেবা করাটা ছিল আপনার জন্য। " সুতরাং শ্রীকৃষ্ণের প্রীতিবিধানের জন্য আপনি তার শত্রূ হতে পারেন, আপনি তার বনধু হতে পারেন, আপনি যে কোন কিছুই হতে পারেন। সেটিই হচ্ছে ভক্তিযোগ। কেন না আপনার উদ্দেশ্য হচ্ছে কিভাবে শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করা যায়। এবং যেই মুহূর্তে আপনার ইন্দ্রিয় তৃপ্তির কথা আসে, সঙ্গে সঙ্গে তা জাগতিক হয়ে যায়।


ঠিক যেমন একজন গুরু ভৃত্যকে জিজ্ঞেস করছেন যে "তুমি আমাকে এখানে নিক্ষেপ কর"। সুতরাং তিনি এই ভাবে নিক্ষেপ করছে।এটাই সেবা অন্যরা দেখতে পারে, "ওহ, সে নিক্ষেপ করেছে এবং সে চিন্তা করছে, 'আমি সেবা করছি'? এটা কী? সে নিক্ষেপ করছে।" কিন্তু গুরু চায় যে "আপনি আমাকে নিক্ষেপ করুন।" এটা সেবা।
:কৃষ্ণ-বহির্মুখ হইয়া ভোগ বাঞ্ছা করে।


সেবা মানে যে আপনি গুরুর আদেশ মান্য করবেন। এটা কোন ব্যাপার না এটা কি।
:নিকটস্থ মায়া তারে জাপটিয়া ধরে।।


ভগবান চৈতন্যের জীবনে একটি চমৎকার উদাহরণ আছে, যে তিনি তার ব্যক্তিগত পরিচারক ছিলেন গোবিন্দ। তাই পালনকর্তা চৈতন্য মহাপ্রভু প্রসাদ গ্রহণ করার পরে, তারপর গোবিন্দ প্রসাদ পেতেন। তাই একদিন, মহাপ্রভু চৈতন্য, প্রসাদ গ্রহণ করার পরে, তিনি নিজেকে গোবরাটের ওপর শুয়ে গেলেন। কি বলা হয়? গোবরাট? দরজা? দরজার রাস্তা। সুতরাং গোবিন্দ তাকে পার হয়ে গেল। গোবিন্দ তার পা পরে মালিশ করতেন, যখন তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সুতরাং গোবিন্দ চৈতন্যকে পার করে এবং তার পায়ে মালিশ করেছেন। তারপর ভগবান চৈতন্য ঘুমন্ত ছিল, এবং, অর্ধ ঘন্টা পরে, যখন তিনি পেয়েছিলেন, তিনি দেখলেন, "গোবিন্দ, তুমি কি এখনও তোমার প্রসাদ গ্রহণ করনি?" "না জনাব." "কেন?" "আমি তোমাকে অতিক্রম করতে পারি না। তুমি এখানেই শুয়ে আছো"। "তাহলে তুমি কেমন আছ?" "আমি অতিক্রম করে এসেছি." "আপনি কিভাবে সব থেকে প্রথম এসেছেন,কেন আবার পেরোচ্ছেন না?"?" "আমি আপনাকে পরিবেশন করতে এসেছি। আর এখন আমি এখন পেরোতে পারবোনা  আমার প্রসাদ নেওয়ার জন্য। এটা আমার দায়িত্ব নয় ।এটা আমার জন্য। এবং এটি আপনার জন্য। "
:(প্রেম-বিবর্ত)  
 
সুতরাং কৃষ্ণের পরিতোষের জন্য আপনি তার শত্রূ হতে পারেন, আপনি তার বঁধু হতে পারেন, আপনি কিছু হতে পারে। এটা ভক্তি-যোগ। কারণ আপনার উদ্দেশ্য কিভাবে কৃষ্ণ কে খুশি করা এবং যত তাড়াতাড়ি বিন্দু আসে, আপনার ইন্দ্রিয়কে খুশি করতে, তারপর আপনি জোর জগতে আসেন, অবিলম্বে। কৃষ্ণা-বহির্মুখ হানা ভোগা বাঞ্চা কারে নিকাটা-সাথে মায়া তারে জাপাতিয়া ধারে (প্রেমা-বিবার্তা) যখুনি আমরা কৃষ্ণকে ভুলেযাবো এবং আমরা আমাদের ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তি এর জন্য জিনিস করতে চাই, সে মায়া হয়। আর যখুনি আমরা অর্থের প্রক্রিয়া পরিতৃপ্তি ত্যাগ করি এবং কৃষ্ণের জন্য সবকিছু করি, সেটি স্বাধীনতা।


যখনই আমরা শ্রীকৃষ্ণকে ভুলে যাই এবং আমরা আমাদের ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তির জন্য কিছু করতে চাই, সেটাই মায়া। আর যখনই আমরা ইন্দ্রিয় তৃপ্তির পন্থা পরিত্যাগ করি এবং শ্রীকৃষ্ণের জন্য সবকিছু করি, সেটিই হচ্ছে প্রকৃত মুক্তি।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:11, 4 June 2021



Lecture on BG 4.1 -- Montreal, August 24, 1968

তাই তার মানে হচ্ছে তিনি শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ অনুসরণ করছেন। সেটিই সবকিছু। "আমি কৃষ্ণের শত্রূ হতে যাচ্ছি।" এ কথা ভেবে তিনি কিছু মনে করেন না। মূলনীতি হচ্ছে যে তিনি অনুসরণ করছেন। যদি শ্রীকৃষ্ণ বলেন যে "তুমি আমার শত্রূ হও," তাহলে আমি তার শত্রূ হতে পারি। সেটিই হচ্ছে ভক্তিযোগ। হ্যাঁ। আমি শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করতে চাই। ঠিক যেমন একজন গুরু তাঁর শিষ্যকে আদেশ করছেন, "তুমি আমাকে এখানে আঘাত কর।" সে গুরুদেবের কথামতো তাঁকে এভাবে আঘাত করল। সুতরাং এই হচ্ছে সেবা। অন্যরা হয়তো দেখছে, "ওহ, সে আঘাত করল আর সে কি না মনে করছে, 'আমি সেবা করছি'? এটা কী ধরণের সেবা? সে তো আঘাত করছে।" কিন্তু গুরু চাইছেন যে "তুমি আমাকে আঘাত কর।" সেটি হচ্ছে সেবা। সেবা মানে যে আপনি গুরুর নির্দেশ মান্য করবেন। আদেশটি কি তা কোন ব্যপার নয়। ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনে একটি চমৎকার উদাহরণ রয়েছে। গোবিন্দ নামে তাঁর একজন সেবক ছিল। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রসাড পাবার পর গোবিন্দ প্রসাদ পেতেন। একদিন চৈতন্য মহাপ্রভু প্রসাদ গ্রহণ করার পর, ঘরে ঢোকার দুয়ারে শুয়ে পড়লেন। কি বলে একে? দরজা, প্রবেশের দুয়ার। সুতরাং গোবিন্দ তাঁকে ডিঙিয়ে গেলেন। যখন মহাপ্রভু বিশ্রাম নিতেন, গোবিন্দ তাঁর চরণসেবা করতেন। গোবিন্দ চৈতন্য মহাপ্রভুকে ডিঙিয়ে গিয়ে তাঁর পাদসম্বাহন করছিলেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ঘুমিয়ে ছিলেন, এবং আধা ঘন্টা পর, যখন তাঁর ঘুম ভাঙ্গল, তিনি দেখলেন, "গোবিন্দ, তুমি কি এখনও তোমার প্রসাদ গ্রহণ কর নি?" "না প্রভু." "কেন?" "আমি তো আপনাকে ডিঙিয়ে যেতে পারি না। আপনি তো এখানে শুয়ে আছেন।" "তাহলে তুমি এসেছো কিভাবে?" "আমি আপনাকে ডিঙিয়ে এসেছি." "তুমি প্রথমে কিভাবে ভেতরে এলে, তাহলে কেন আবার ডিঙিয়ে যাচ্ছো না?" "সেটা আমি আপনাকে সেবা করতে এসেছিলাম। আর এখন আমার নিজের প্রসাদ পাওয়ার জন্য আমি ওভাবে ডিঙিয়ে যেতে পারবো না।" সেটি আমার করা উচিৎ নয়। এটা তো আমার জন্য। আর সেবা করাটা ছিল আপনার জন্য। " সুতরাং শ্রীকৃষ্ণের প্রীতিবিধানের জন্য আপনি তার শত্রূ হতে পারেন, আপনি তার বনধু হতে পারেন, আপনি যে কোন কিছুই হতে পারেন। সেটিই হচ্ছে ভক্তিযোগ। কেন না আপনার উদ্দেশ্য হচ্ছে কিভাবে শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করা যায়। এবং যেই মুহূর্তে আপনার ইন্দ্রিয় তৃপ্তির কথা আসে, সঙ্গে সঙ্গে তা জাগতিক হয়ে যায়।

কৃষ্ণ-বহির্মুখ হইয়া ভোগ বাঞ্ছা করে।
নিকটস্থ মায়া তারে জাপটিয়া ধরে।।
(প্রেম-বিবর্ত)

যখনই আমরা শ্রীকৃষ্ণকে ভুলে যাই এবং আমরা আমাদের ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তির জন্য কিছু করতে চাই, সেটাই মায়া। আর যখনই আমরা ইন্দ্রিয় তৃপ্তির পন্থা পরিত্যাগ করি এবং শ্রীকৃষ্ণের জন্য সবকিছু করি, সেটিই হচ্ছে প্রকৃত মুক্তি।