BN/Prabhupada 0049 - প্রকৃতির আইন দ্বারা আমরা আবদ্ধ: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0049 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1976 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0048 - आर्यन सभ्यता|0048|HI/Prabhupada 0050 - पूरे वेदों की दिशा प्रवृत्ति निवृत्ति के लिए है|0050}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0048 - আর্য সভ্যতা|0048|BN/Prabhupada 0050 - তারা জানে না যে পরবর্তী জীবনটি কি|0050}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|7EnnY_t-RLo|প্রকৃতির আইন দ্বারা আমরা আবদ্ধ<br />- Prabhupāda 0049}}
{{youtube_right|QnZOWoWUWlg|প্রকৃতির আইন দ্বারা আমরা আবদ্ধ<br />- Prabhupāda 0049}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
তাই এই সংকীর্তন সর্ব মহিমাময়। এই হল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আশির্বাদ। পরম্ বিজয়তে শ্রীকৃষ্ণ সংকীর্তনং। এই যুগের জন্য সংকীর্তন হল তাঁর বিশেষ কৃপাশীর্বাদ। বৈদিক শাস্ত্র তথা বেদান্ত সূত্রে তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। শব্দাৎ অনাবৃত্তিঃ। অনাবৃত্তিঃ অর্থ মুক্তি। আমাদের বর্তমান অবস্থা হল বদ্ধ অবস্থা। আমরা প্রকৃতির নিয়মের অধিনে আবদ্ধ রয়েছি। আমরা মূর্খের মত নিজেকে স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা করতে পারি- কিন্তু সেটি হল আমাদের নির্বুদ্ধিতা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা প্রকৃতির নিয়মের অধিনে আবদ্ধ।  
তাই এই সংকীর্তন সর্ব মহিমাময়। এটিই হচ্ছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আশির্বাদ। পরম্ বিজয়তে শ্রীকৃষ্ণ সংকীর্তনং। এই যুগের জন্য সংকীর্তন হল তাঁর বিশেষ কৃপাশীর্বাদ। বৈদিক শাস্ত্র তথা বেদান্ত সূত্রে তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। শব্দাৎ অনাবৃত্তিঃ। অনাবৃত্তিঃ অর্থ মুক্তি। আমাদের বর্তমান অবস্থা হল বদ্ধ অবস্থা। আমরা প্রকৃতির নিয়মের অধীনে আবদ্ধ রয়েছি। আমরা মূর্খের মত নিজেকে স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা করতে পারি- কিন্তু সেটি হল আমাদের নির্বুদ্ধিতা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা প্রকৃতির নিয়মের অধীনে আবদ্ধ।  


:প্রকৃতেঃ ক্রিয়মাণানি  
:প্রকৃতেঃ ক্রিয়মাণানি  
:গুণৈঃ কর্মাণি সর্বশঃ।  
:গুণৈঃ কর্মাণি সর্বশঃ।  
:অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা
:কর্তাহমিতি মন্যতে।।
:([[Vanisource:BG 3.27|ভ.গী ৩/২৭]])


আমরা প্রকৃতির নিয়মের অধিনে আবদ্ধ রয়েছি। কিন্তু যারা মূর্খ, বিমূঢ়াত্মা, অহঙ্কারের দ্বারা মোহাচ্ছন্ন আত্মা, এমন ব্যক্তিরা নিজেদের স্বাধীন বলে ভাবে। না, সেটি তা নয়। তাই এটি একটি ভ্রান্তি। তাই এই ভ্রান্তির নিরসন করতে হবে। সেটিই জীবনের লক্ষ্য। তাই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন, যদি তুমি হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ-কীর্তন কর, তবে প্রথম যে সুফলটি লাভ করবে তা হল চেতোদর্পণমার্জনং ([[Vanisource:CC Antya 20.12|চৈ.চ অন্ত্য ২০/১২]]) কেননা সমস্ত ভ্রান্তি হৃদয়ের অভ্যন্তরে রয়েছে। যদি হৃদয় পরিশুদ্ধ থাকে তবে চেতনার পরিশুদ্ধি ঘটে, তখন কোন ভ্রান্তি থাকে না।
:অহঙ্কার বিমূঢ়াত্মা  
 
:কর্তাহমিতি মন্যতে।।


তাই এই চেতনা পরিশুদ্ধ করতে হবে। এই হল হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপের প্রাথমিক সুফল। কীর্তনাদেব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গঃ পরং ব্রজেৎ। ([[Vanisource:SB 12.3.51|শ্রীমদ্ভাগবত ১২//৫১]]) শুধুমাত্র কৃষ্ণস্য, শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নাম জপ করার মাধ্যমে। হরে কৃষ্ণ, হরে রাম একই। রাম ও কৃষ্ণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। রামাদিমূর্তিষু কলানিয়মেন তিষ্ঠন্ (ব্রহ্মসংহিতা ৫/৩৯) তাই এটিই তোমার প্রয়োজন।
:([[Vanisource:BG 3.27 (1972)|ভগবদ্গীতা .২৭]])  


আমাদের বর্তমান অবস্থা এতই ভ্রান্তিময় যে, “আমি এই জড়া প্রকৃতির অংশ ” “আমি এই দেহ” “আমি ভারতীয়”, “আমি আমেরিকান”, “আমি ব্রাহ্মণ”,“আমি ক্ষত্রিয়” ইত্যাদি  ইত্যাদি . . . বহু প্রকারের পদবী রয়েছে। কিন্তু আমরা এগুলোর কিছুই না। এটি হল পরিশুদ্ধি। চেতোদর্পন। যখন তুমি সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে পারবে যে, “আমি ভারতীয় নই, আমি আমেরিকান নই”, আমি ব্রাহ্মণ নই, আমি ক্ষত্রিয় নই”- সার্বিকভাবে “আমি এই জড় দেহ নই”- তখন চেতনা হবে অহং ব্রহ্মাস্মি। ব্রহ্মভূতঃ প্রসন্নাত্মা ন শোচতি ন কাঙ্ক্ষতি। ([[Vanisource:BG 18.54|ভ.গী ১৮/৫৪]]) এটিই চাই। এটিই জীবনের সাফল্য।  
আমরা প্রকৃতির নিয়মের অধিনে আবদ্ধ রয়েছি। কিন্তু যারা মূর্খ, বিমূঢ়াত্মা, অহঙ্কারের দ্বারা মোহাচ্ছন্ন, এমন ব্যক্তিরা নিজেদের স্বাধীন বলে ভাবে। না, সেটি তা নয়। তাই এটি একটি ভ্রান্তি। তাই এই ভ্রান্তির নিরসন করতে হবে। সেটিই জীবনের লক্ষ্য। তাই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন, যদি তুমি হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ-কীর্তন কর, তবে প্রথম যে সুফলটি লাভ করবে তা হল চেতোদর্পণমার্জনং ([[Vanisource:CC Antya 20.12|চৈ.চ অন্ত্য ২০.১২]]) কেননা সমস্ত ভ্রান্তি হৃদয়ের অভ্যন্তরে রয়েছে। যদি হৃদয় পরিশুদ্ধ থাকে, তবে চেতনার পরিশুদ্ধি ঘটে, তখন কোন ভ্রান্তি থাকে না। তাই এই চেতনা পরিশুদ্ধ করতে হবে। এই হল হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপের প্রাথমিক সুফল। কীর্তনাদেব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গঃ পরং ব্রজেৎ। ([[Vanisource:SB 12.3.51|শ্রীমদ্ভাগবত ১২.৩.৫১]]) শুধুমাত্র কৃষ্ণস্য, শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নাম জপ করার মাধ্যমে। হরে কৃষ্ণ, হরে রাম একই। রাম ও কৃষ্ণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। রামাদি-মূর্তিষু কলা-নিয়মেন তিষ্ঠন্ (ব্রহ্মসংহিতা ৫.৩৯) তাই এটিই তোমাদের প্রয়োজন। আমাদের বর্তমান অবস্থা এতই ভ্রান্তিময় যে, “আমি এই জড় প্রকৃতির অংশ ” “আমি এই দেহ” “আমি ভারতীয়”, “আমি আমেরিকান”, “আমি ব্রাহ্মণ”,“আমি ক্ষত্রিয়” ইত্যাদি  ইত্যাদি . . . বহু প্রকারের পদবী রয়েছে। কিন্তু আমরা এগুলোর কিছুই না। এটি হল পরিশুদ্ধি। চেতো-দর্পন। যখন তুমি সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে পারবে যে, “আমি ভারতীয় নই, আমি আমেরিকান নই”, আমি ব্রাহ্মণ নই, আমি ক্ষত্রিয় নই”- সার্বিকভাবে “আমি এই জড় দেহ নই”- তখন চেতনা হবে অহং ব্রহ্মাস্মি। ব্রহ্মভূতঃ প্রসন্নাত্মা ন শোচতি ন কাঙ্ক্ষতি। ([[Vanisource:BG 18.54 (1972)|ভ.গী ১৮.৫৪]]) এটিই চাই। এটিই জীবনের সাফল্য।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:12, 4 June 2021



Arrival Talk -- Aligarh, October 9, 1976

তাই এই সংকীর্তন সর্ব মহিমাময়। এটিই হচ্ছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আশির্বাদ। পরম্ বিজয়তে শ্রীকৃষ্ণ সংকীর্তনং। এই যুগের জন্য সংকীর্তন হল তাঁর বিশেষ কৃপাশীর্বাদ। বৈদিক শাস্ত্র তথা বেদান্ত সূত্রে তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। শব্দাৎ অনাবৃত্তিঃ। অনাবৃত্তিঃ অর্থ মুক্তি। আমাদের বর্তমান অবস্থা হল বদ্ধ অবস্থা। আমরা প্রকৃতির নিয়মের অধীনে আবদ্ধ রয়েছি। আমরা মূর্খের মত নিজেকে স্বাধীন হিসেবে ঘোষণা করতে পারি- কিন্তু সেটি হল আমাদের নির্বুদ্ধিতা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা প্রকৃতির নিয়মের অধীনে আবদ্ধ।

প্রকৃতেঃ ক্রিয়মাণানি
গুণৈঃ কর্মাণি সর্বশঃ।
অহঙ্কার বিমূঢ়াত্মা
কর্তাহমিতি মন্যতে।।
(ভগবদ্গীতা ৩.২৭)

আমরা প্রকৃতির নিয়মের অধিনে আবদ্ধ রয়েছি। কিন্তু যারা মূর্খ, বিমূঢ়াত্মা, অহঙ্কারের দ্বারা মোহাচ্ছন্ন, এমন ব্যক্তিরা নিজেদের স্বাধীন বলে ভাবে। না, সেটি তা নয়। তাই এটি একটি ভ্রান্তি। তাই এই ভ্রান্তির নিরসন করতে হবে। সেটিই জীবনের লক্ষ্য। তাই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন, যদি তুমি হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ-কীর্তন কর, তবে প্রথম যে সুফলটি লাভ করবে তা হল চেতোদর্পণমার্জনং (চৈ.চ অন্ত্য ২০.১২) কেননা সমস্ত ভ্রান্তি হৃদয়ের অভ্যন্তরে রয়েছে। যদি হৃদয় পরিশুদ্ধ থাকে, তবে চেতনার পরিশুদ্ধি ঘটে, তখন কোন ভ্রান্তি থাকে না। তাই এই চেতনা পরিশুদ্ধ করতে হবে। এই হল হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপের প্রাথমিক সুফল। কীর্তনাদেব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গঃ পরং ব্রজেৎ। (শ্রীমদ্ভাগবত ১২.৩.৫১) শুধুমাত্র কৃষ্ণস্য, শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নাম জপ করার মাধ্যমে। হরে কৃষ্ণ, হরে রাম একই। রাম ও কৃষ্ণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। রামাদি-মূর্তিষু কলা-নিয়মেন তিষ্ঠন্ (ব্রহ্মসংহিতা ৫.৩৯) তাই এটিই তোমাদের প্রয়োজন। আমাদের বর্তমান অবস্থা এতই ভ্রান্তিময় যে, “আমি এই জড় প্রকৃতির অংশ ” “আমি এই দেহ” “আমি ভারতীয়”, “আমি আমেরিকান”, “আমি ব্রাহ্মণ”,“আমি ক্ষত্রিয়” ইত্যাদি ইত্যাদি . . . বহু প্রকারের পদবী রয়েছে। কিন্তু আমরা এগুলোর কিছুই না। এটি হল পরিশুদ্ধি। চেতো-দর্পন। যখন তুমি সুস্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে পারবে যে, “আমি ভারতীয় নই, আমি আমেরিকান নই”, আমি ব্রাহ্মণ নই, আমি ক্ষত্রিয় নই”- সার্বিকভাবে “আমি এই জড় দেহ নই”- তখন চেতনা হবে অহং ব্রহ্মাস্মি। ব্রহ্মভূতঃ প্রসন্নাত্মা ন শোচতি ন কাঙ্ক্ষতি। (ভ.গী ১৮.৫৪) এটিই চাই। এটিই জীবনের সাফল্য।