BN/Prabhupada 0076 - কৃষ্ণকে সর্বত্র দেখুন: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0076 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1971 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0075 - तुम्हे एक गुरु के पास जाना चाहिए|0075|HI/Prabhupada 0077 - आप वैज्ञानिक और दार्शनिक अध्ययन कर सकते हैं|0077}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0075 - আপনাকে একজন গুরুর কাছে যাওয়া উচিত|0075|BN/Prabhupada 0077 - আপনি বৈজ্ঞানিক এবং দর্শনিক অধ্যয়ন করতে পারেন|0077}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|3VXeEtNyO2E|কৃষ্ণকে সর্বত্র দেখুন <br /> - Prabhupāda 0076}}
{{youtube_right|3VXeEtNyO2E|কৃষ্ণকে সর্বত্র দেখুন<br /> - Prabhupāda 0076}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->     
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->     
जब हमारी आँखें भगवान के प्रेम के साथ आभूषित होती हैं, हम उन्हें हर जगह देख सकते हैं । यही शास्त्रों का उपदेश है । हमें अपनी दृष्टि को विकसित करना पडेगा भगवान के प्रति अपने प्रेम को विकसित करके । प्रेमान्जना छुरित भक्ति विलोचनेन । (ब्र स ५।३८) जब कोई कृष्णा भावणामृत मैं अच्छी तरह से विकसित हो जाता है, वह भगवान को हर पल अपने ह्रदय और हर जगह देखता है, जहॉ भी वह जाता है ।
যখন তোমার চোখ ভগবানের প্রতি প্রেম রূপ অঞ্জনের দ্বারা রঞ্জিত থাকবে, তখন তুমি সর্বত্রই তাঁকে দেখতে পাবে। এটি হচ্ছে শাস্ত্রের নির্দেশনা। আমাদেরকে ভগবানের প্রতি ভালোবাসা বর্ধিত করার মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি শক্তির উন্নতি ঘটাতে হবে। প্রেমাঞ্জনচ্ছুরিত ভক্তিবিলোচনেন (ব্রহ্মসংহিতা ৫.৫৮)কেউ যখন কৃষ্ণভাবনামৃতে যথেষ্ট উন্নতি লাভ করে, যেখানেই সে যায়, সে সর্বদাই তার হৃদয়ে এবং সর্বত্র ভগবানকে দেখতে পায়, সুতরাং এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন হচ্ছে একটি উদ্যোগ কিভাবে ভগবানকে দেখা যায়, শ্রীকৃষ্ণকে দেখা যায়, এই ব্যাপারে মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা শ্রীকৃষ্ণকে দেখতে পারি। ঠিক যেমন শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, রসোহহমপ্সু কৌন্তেয় ([[Vanisource:BG 7.8 (1972)|ভগবদ্গীতা ৭.৮]])। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "আমি জলের স্বাদ।" আমরা প্রতিদিন জল পান করি, একবার, দুবার, তিনবার নয় আরও বেশী বার। তো যখনই আমরা জল পান করব, যদি আমরা ভাবি যে জলের এই স্বাদটা হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ, তৎক্ষণাৎ আমরা কৃষ্ণভাবনাময় হয়ে উঠব। কৃষ্ণভাবনাময় হওয়াটা খুব কঠিন কাজ নয়। আমাদেরকে শুধু এটি অভ্যাস করতে হবে।


तो यह कृष्ण भावनामृत आंदोलन एक कोशिश है लोगों को सीखना के लिए कि भगवान को कैसे देखा जा सकता है, कृष्ण को कैसे देखा जा सकता है । कृष्ण को देख जा सकता है, अगर हम अभ्यास करें तो । जैसे कृष्ण कहते हैं, रसो अहम् अप्सु कौन्तेय ([[Vanisource:BG 7.8|भ गी ७।८ ]]) । कृष्ण कहते हैं "मैं जल का स्वाद हूँ ।" हम में से हर कोई, हम रोज़ जल पीते हैं, केवल एक बार, दो बार, तीन बार नहीं, या उससे भी ज़्यादा तो जैसे ही हम जल पीते हैं, अगर हम सोचें की इस जल का स्वाद कृष्ण हैं, तुरंत हम कृष्ण भावनामृत हो जाते हैं ।
যেমন এটি একটি উদাহরণ কিভাবে কৃষ্ণভাবনাময় হওয়া যায়। যখনই তুমি জল পান কর, সাথে সাথে তুমি পরিতৃপ্ত হও, তোমার তৃষ্ণা নিবারিত হয়, তৎক্ষণাৎ তুমি ভাববে যে এই তৃষ্ণা নিবারনের ক্ষমতাটা হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ। প্রভাস্মি শশিসূর্যয়োঃ। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "আমি সূর্যের আলোক। আমি চন্দ্রের প্রভা।" সুতরাং দিনের বেলা আমরা সবাই সূর্যের আলো দেখতে পাই। যখনই তুমি সূর্যের আলো দেখবে, তৎক্ষণাৎ তুমি শ্রীকৃষ্ণে স্মরণ করতে পার, "হরে কৃষ্ণ।" যখনই তুমি রাত্রিবেলা চাঁদের আলো দেখবে, তৎক্ষণাৎ তুমি শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করতে পার, "হরে কৃষ্ণ।" এইভাবে তুমি যদি অভ্যাস কর, তাহলে অনেক ঘটনা, অনেক উদাহরণ দেয়া হয়েছে ভগবদ্গীতার সপ্তম অধ্যায়ে, যদি তুমি যত্ন সহকারে পড়, কিভাবে কৃষ্ণভাবনামৃত অনুশীলন করা যায়। সেই সময় , যখন তুমি শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে পরিপক্কতা লাভ করবে, তখন তুমি শ্রীকৃষ্ণকে সর্বত্রই দেখতে পাবে। শ্রীকৃষ্ণকে দেখার জন্য তোমাকে কারো সাহায্য করতে হবে না। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ তোমার সম্মুখে প্রকাশিত হবেন, তোমার ভক্তি, তোমার ভালোবাসার দ্বারা। সেবোন্মুখে হি জিহ্বাদৌ স্বয়মেব স্ফুরত্যদঃ (ভক্তিরসামৃতসিন্ধু ১.২.২৩৪)যখন কারো সেবা মনোভাব থাকে, যখন কেউ বুঝতে পারে যে "আমি হচ্ছি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিত্য দাস," তখন শ্রীকৃষ্ণ তোমাকে সাহায্য করবেন তাঁকে দেখার জন্য।


कृष्ण भावनामृत बनना इतना कठिन नहीं है । हमे केवल अभ्यास करना पडेगा । यह एक उधारण है कि कैसे हम कृष्ण भावनामृत बनने का प्रयास कर सकते हैं । जब तुम जल पीते हो, जैसे ही तुम संतुष्ट हो जाते हो, तुम्हारी प्यास बुझ जाती है, तुम तुरंत सोचो कि यह प्यास को भुझाने वाली शक्ति कृष्ण है । प्रभास्मि शशि सूर्ययो: ([[Vanisource:BG 7.8|भ गी ७।८ ]]), कृष्ण कहते हैं, "मैं सूर्य का प्रकाश हूँ । मैं चन्द्रमा का प्रकाश हूँ ।" तो दिन में, हम सब सूर्य का प्रकाश देखते हैं । जैसे ही तुम सूर्य का प्रकाश देखो, तुरन्त तुम कृष्ण को याद कर सकते हो, "कृष्ण यहाँ हैं ।" जैसे ही तुम रात में चन्द्रमा के प्रकाश को देखते हो, तुरन्त तुम याद कर सकते हो "कृष्ण यहाँ हैं ।"
ভগবদ্গীতায় এটি উল্লেখ করা হয়েছে,  


इस तरह से, अगर तुम अभ्यास करो, कई उदाहरण हैं, भगवद्-गीता में कई उदाहरण दिए गए हैं, सातवे अध्याय में, अगर तुम उन्हे ध्यान से पढ़ोगे, कैसे कृष्ण भावनामृत का अभ्यास करना चाहिए । तो उस समय पर, जब तुम परिपक्व हो जाते हो कृष्ण प्रेम में, तुम हर जगह कृष्ण को देखोगे । कृष्ण को देखने के लिए तुम्हे किसी की मदद की ज़रूरत नही पढ़ेगी, लेकिन कृष्ण तुम्हारे समक्ष प्रकट होंगे, तुम्हारी भक्ति से, तुम्हारे प्रेम से ।
:তেষাং সততযুক্তানাং


सेवोँमुखे ही जिह्वादौ स्वयं एव स्फुरती अद: ([[Vanisource:Brs 1.2.234|भ र िस १।२।२३४ ]]) । कृष्ण, जब कोई सेवा भाव मे होता है, जब कोई समझता है कि "मैं कृष्ण का शाश्वत सेवक हूँ या भगवान का," तब कृष्ण तुम्हारी सहायता करेंगे कि कैसे उन्हे देखा जा सकता है । यह भगवद्-गीता मे कहा गया है,
:ভজতাং প্রীতিপূর্বকম্‌


:तेषां सततयुक्तानां
:দদামি বুদ্ধিযোগং তং
:भजतां प्रीतिपूर्वकम्
:ददामि बुद्धियोगं तं
:येन मामुपयान्ति ते
:([[Vanisource:BG 10.10|भ गी १०।१० ]])


--------
:যেন মামুপযান্তি তে  
 
যখন আমাদের চোখ ভগবানের অভিপ্রায় সঙ্গে অভিষিক্ত হয়, আমরা তাকে সর্বত্র দেখতে পারি। এটি হচ্ছে শাস্ত্রের আজ্ঞা। আমাদের ভগবানের ভালবাসা বিকাশের মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি শক্তি বিকাশ করতে হবে। প্রেমাঞ্জন-চ্ছুরিত ভক্তি-বিলোচনেন (ব্র. স. ৫.৩৮). যখন একজন কৃষ্ণ চেতনায় ভাবনায়পর্যাপ্তভাবে উন্নত হয়, তিনি তাঁর হৃদয়ে এবং সর্বত্র ভগবানকে দেখতে পারবেন যেখানেই তিনি যান। তাই এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন একটি প্রচেষ্টা মানুষকে শেখানো হয় কিভাবে ভগবানকে দেখতে হয়, কিভাবে কৃষ্ণকে দেখতে হয় । আমরা যদি অনুশীলন করি তাহলে কৃষ্ণকে দেখতে পাবো। ঠিক যেমন কৃষ্ণ বলেছেন, রসোহহমপ্সু কৌন্তেয় ([[Vanisource:BG 7.8|ভ. গী. ৭.৮]]) কৃষ্ণ বলেছেন, "আমি জলের স্বাদ।" আমরা সবাই, আমরা প্রতিদিন জল পান করি , শুধুমাত্র একবার না, দুইবার, তিনবার বা তার চেয়ে বেশি। তাই যত তাড়াতাড়ি আমরা জল পান করি, যদি আমরা মনে করি যে জলের স্বাদে কৃষ্ণ আছে, অবিলম্বে আমরা কৃষ্ণচেতন হয়ে যাই। কৃষ্ণ সচেতন হওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। শুধু আমাদের এটা অনুশীলন করতে হবে। ঠিক যেমন এইরকম একটি উদাহরণ যে কীভাবে কৃষ্ণ সচেতন হওয়া যায়। যখনই আপনি জল পান করবেন, তত তাড়াতাড়ি আপনি সন্তুষ্ট হবেন, আপনার তৃষ্ণা নিবারিত হয়, অবিলম্বে আপনি মনে করেন যে এই তৃষ্ণা, নিবারিতের শক্তি হলো কৃষ্ণ। প্রভাসমি শশি সূর্যয়ঃ। কৃষ্ণ বলেছেন, "আমি সূর্যের কিরণ আমি চাঁদের দীপ্তি।" তাই দিনের বেলায়, আমরা প্রত্যেকেই সূর্যের আলো দেখতে পাই। যখন আপনি সূর্যালোক দেখবেন, অবিলম্বে আপনি কৃষ্ণকে মনে করতে পারেন, "এখানে কৃষ্ণ।" যখুনি আপনি চাঁদের দীপ্তি দেখবেন, অবিলম্বে আপনি কৃষ্ণকে মনে করতে পারেন, "এখানে কৃষ্ণ।" এই ভাবে, যদি আপনি অনুশীলন করেন, অনেক উদাহরণ আছে, অনেক উদাহরণ দেওয়া আছে ভাগবত-গীতায়, সপ্তম অধ্যায়ে, যদি আপনি তাদের ভালোকরে পড়েন, কৃষ্ণ চেতনা কিভাবে অনুশীলন করতে হয়। তারপর সেই সময়, যখন আপনি পরপক্কভাবে কৃষ্ণকে ভালোবাসতে পারবেন, তখন আপনি কৃষ্ণকে সব জায়গায় দেখতে পাবেন। কাউকে আপনাকে কৃষ্ণকে দেখতে সাহায্য করতে হবেনা, কিন্তু কৃষ্ণ আপনার আগে প্রকাশ হবে, আপনার ভক্তি দ্বারা, আপনার ভালবাসার দ্বারা। সেবনমুখে হি জিহ্বা্দৌ স্বয়ম এব সপুরিত তদঃ ([[Vanisource:Brs 1.2.234|ব্র. স. ১.২.২৩৪]]). কৃষ্ণ, যখন একজন সেবার ভাবে আছেন, যখন কেউ বুঝতে পারে যে, "আমি কৃষ্ণের, বা ভগবানের নিত্য দাস" তারপর কৃষ্ণ তোমাকে সাহায্য করবে তাকে দেখতে। সেটি ভগবত-গীতায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তেষাম সতত-যুক্তানাং ভজতাম প্রীতি-পূর্বকম দদামি বুদ্ধি-যোগং তং যেন মাম উপযান্তি তে ([[Vanisource:BG 10.10|ভ. গী ১০.১০]])


:([[Vanisource:BG 10.10 (1972)|ভগবদ্গীতা ১০.১০]])।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 08:44, 2 December 2021



Ratha-yatra -- San Francisco, June 27, 1971

যখন তোমার চোখ ভগবানের প্রতি প্রেম রূপ অঞ্জনের দ্বারা রঞ্জিত থাকবে, তখন তুমি সর্বত্রই তাঁকে দেখতে পাবে। এটি হচ্ছে শাস্ত্রের নির্দেশনা। আমাদেরকে ভগবানের প্রতি ভালোবাসা বর্ধিত করার মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি শক্তির উন্নতি ঘটাতে হবে। প্রেমাঞ্জনচ্ছুরিত ভক্তিবিলোচনেন (ব্রহ্মসংহিতা ৫.৫৮)। কেউ যখন কৃষ্ণভাবনামৃতে যথেষ্ট উন্নতি লাভ করে, যেখানেই সে যায়, সে সর্বদাই তার হৃদয়ে এবং সর্বত্র ভগবানকে দেখতে পায়, সুতরাং এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন হচ্ছে একটি উদ্যোগ কিভাবে ভগবানকে দেখা যায়, শ্রীকৃষ্ণকে দেখা যায়, এই ব্যাপারে মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা শ্রীকৃষ্ণকে দেখতে পারি। ঠিক যেমন শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, রসোহহমপ্সু কৌন্তেয় (ভগবদ্গীতা ৭.৮)। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "আমি জলের স্বাদ।" আমরা প্রতিদিন জল পান করি, একবার, দুবার, তিনবার নয় আরও বেশী বার। তো যখনই আমরা জল পান করব, যদি আমরা ভাবি যে জলের এই স্বাদটা হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ, তৎক্ষণাৎ আমরা কৃষ্ণভাবনাময় হয়ে উঠব। কৃষ্ণভাবনাময় হওয়াটা খুব কঠিন কাজ নয়। আমাদেরকে শুধু এটি অভ্যাস করতে হবে।

যেমন এটি একটি উদাহরণ কিভাবে কৃষ্ণভাবনাময় হওয়া যায়। যখনই তুমি জল পান কর, সাথে সাথে তুমি পরিতৃপ্ত হও, তোমার তৃষ্ণা নিবারিত হয়, তৎক্ষণাৎ তুমি ভাববে যে এই তৃষ্ণা নিবারনের ক্ষমতাটা হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ। প্রভাস্মি শশিসূর্যয়োঃ। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "আমি সূর্যের আলোক। আমি চন্দ্রের প্রভা।" সুতরাং দিনের বেলা আমরা সবাই সূর্যের আলো দেখতে পাই। যখনই তুমি সূর্যের আলো দেখবে, তৎক্ষণাৎ তুমি শ্রীকৃষ্ণে স্মরণ করতে পার, "হরে কৃষ্ণ।" যখনই তুমি রাত্রিবেলা চাঁদের আলো দেখবে, তৎক্ষণাৎ তুমি শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করতে পার, "হরে কৃষ্ণ।" এইভাবে তুমি যদি অভ্যাস কর, তাহলে অনেক ঘটনা, অনেক উদাহরণ দেয়া হয়েছে ভগবদ্গীতার সপ্তম অধ্যায়ে, যদি তুমি যত্ন সহকারে পড়, কিভাবে কৃষ্ণভাবনামৃত অনুশীলন করা যায়। সেই সময় , যখন তুমি শ্রীকৃষ্ণকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে পরিপক্কতা লাভ করবে, তখন তুমি শ্রীকৃষ্ণকে সর্বত্রই দেখতে পাবে। শ্রীকৃষ্ণকে দেখার জন্য তোমাকে কারো সাহায্য করতে হবে না। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ তোমার সম্মুখে প্রকাশিত হবেন, তোমার ভক্তি, তোমার ভালোবাসার দ্বারা। সেবোন্মুখে হি জিহ্বাদৌ স্বয়মেব স্ফুরত্যদঃ (ভক্তিরসামৃতসিন্ধু ১.২.২৩৪)। যখন কারো সেবা মনোভাব থাকে, যখন কেউ বুঝতে পারে যে "আমি হচ্ছি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিত্য দাস," তখন শ্রীকৃষ্ণ তোমাকে সাহায্য করবেন তাঁকে দেখার জন্য।

ভগবদ্গীতায় এটি উল্লেখ করা হয়েছে,

তেষাং সততযুক্তানাং
ভজতাং প্রীতিপূর্বকম্‌
দদামি বুদ্ধিযোগং তং
যেন মামুপযান্তি তে
(ভগবদ্গীতা ১০.১০)।