BN/Prabhupada 0083 - হরে কৃষ্ণ জপ করুন তাহলে সবকিছু আসবে: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0083 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1969 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 7: Line 7:
[[Category:BN-Quotes - in USA]]
[[Category:BN-Quotes - in USA]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- TO CHANGE TO YOUR OWN LANGUAGE BELOW SEE THE PARAMETERS OR VIDEO -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|French|FR/Prabhupada 0082 - Krishna est présent en tout lieu|0082|FR/Prabhupada 0084 - Devenez simplement un dévot de Krishna|0084}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0082 - কৃষ্ণ সর্বত্র আছেন|0082|BN/Prabhupada 0084 - শুধু একজন কৃষ্ণ ভক্ত হও|0084}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
প্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন - আমরা আগে এটা বর্ননা করেছি- যে এটির কোনো যোগ্যতা প্রয়োজন হয় না। শান্তির জন্য, দয়া করে, প্রভুর সন্তুষ্টির জন্য, আপনার কোন অগ্রিম-যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। ওহ, আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষায় পাস করতে হবে, অথবা আপনি রকফেলার বা ফোর্ডের মতো একজন ধনী ব্যক্তি হতে হবে, অথবা আপনি এই বা এটি হতে হবে ... যেকোনও অবস্থায়। অহৈতুকি অপ্রতিহতা। যদি আপনি কৃষ্ণকে পছন্দ করতে চান, কোন পরীক্ষা আছে। কোন পরীক্ষা নেই। রাস্তা খোলা আছে সহজভাবে আপনাকে আন্তরিক হতে হবে এখানেই শেষ. তারপর কৃষ্ণ পথ পরিষ্কার করবেন। এবং যেখানে কোন আন্তরিকতা নেই , সেখানে কৃষ্ণর মায়া আছেন। তিনি সর্বদা, তিনি সবসময় কিছু হোঁচট ব্লক করবে: "এটা না, ওটা না, এই না।" তাই প্রহ্লাদ মহারাজ সিদ্ধান্ত নিলেন যে "যদিও আমি একজন শিশু, আমার কোন শিক্ষা নেই, আমি কোন বেদ পড়ি নি, এবং নাস্তিক পিতা, নিন্ম জন্ম, সব খারাপ যোগ্যতা..... সুতরাং, ভগবান ধার্মিক বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যক্তি দ্বারা উপাসিত হয়, বৈদিক স্বরবর্ণ, এবং ব্রাহ্মণ, অত্যন্ত স্ভ্রান্ত। সুতরাং আমার কোনও এইরকম যোগ্যতা নেই। কিন্তু এখনও, এই সব দেবতারা যারা তাদের অবস্থানের মধ্যে অত্যন্ত উচ্চতর , তারা আমার অনুরোধ করেছে। এর মানে হল ভগবান আমার দ্বারা সন্তুষ্ট হতে পারেন। অন্যথায় তারা কিভাবে সুপারিশ করছে? তাই আমি যে যোগ্যতা পেয়েছি, যাই হোক না কেন আমি যে বুদ্ধি পেয়েছি, আমি কৃষ্ণকে দিতে পারি। " অতএব আমাদের এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন এই রকম, যাই যোগ্যতা আপনি পেয়েছেন, সেটাই যথেষ্ট। সেই যোগ্যতার সঙ্গে আপনি শুরু ক্রুন। আপনি আপনার যোগ্যতার সঙ্গে কৃষ্ণকে সেবা করার চেষ্টা করুন। কারণ প্রকৃত যোগ্যতা - আপনার সেবা অনুভূতি। এটা সত্যিকারের যোগ্যতা। সুতরাং আপনি আপনার অনুভূতি বিকাশ ক্রুন, আপনার বাইরের যোগ্যতা না, সৌন্দর্য, সম্পদ, জ্ঞান, এইগুলি, না। এগুলির কোনও দাম নেই , কৃষ্ণ সেবাতে নিযুক্ত হলে তারা মূল্যবান। আপনি যদি খুব ধনী ব্যক্তি হন, আপনি যদি আপনার সম্পদ কৃষ্ণের সেবাতে ব্যবহার করেন ... তাহলে ঠিক আছে, কিন্তু কোন প্রয়োজন নেই যে আপনাকে খুব ধনী হতে হবে। তারপর আপনি  কৃষ্ণ সেবা করবেন। প্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন নিচু অজেয় গুন বিসর্গম অনুপ্রবিষ্টা পুয়তে যেন পুমান অনুভরনিতেন। এখন, কেউ প্রশ্ন করতে পারে যে প্রহ্লাদের জন্ম অশুদ্ধ পিতা থেকে এটা তর্ক । এই প্রহ্লাদ অশুচি নয়, তবে এটি একটি যুক্তি, নিম্ন পিতা থেকে জন্ম বা নিম্ন পরিবার, বা এক, এমনকি অনেক, অনেক কিছু তারা বলতে পারে কিন্তু প্রহ্লাদ মহারাজ বলছেন যে "যদি আমি শুরু করি, কেবল ভগবানকে মহিমান্বিত করো, তারপর আমি শুদ্ধ হবো। " যদি আমি শুদ্ধকরণের কথা বলি ... এই হরে কৃষ্ণ মন্ত্র হচ্ছে শুদ্ধকরণের প্রক্রিয়া। এইরকম না যে আমাকে প্রথমে শুদ্ধ হতে হবে অন্যথায় এবং তারপর হরে কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করতে হবে। আপনি জপ শুরু করেন, তারপর এটি শুদ্ধ হবে। আপনি শুদ্ধ হবেন। জপ শুরু করুন, যে কোন অবস্থায় আপনি করতে পারেন, এটা কোন ব্যাপার না। প্রকৃতপক্ষে আমি এই আমার কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন শুরু করেছি - এমন নয় যে তারা খুব শুদ্ধ অবস্থায় এসেছিলেন। আমরা যে, আমরা প্রত্যেকে জানি, যারা আমার কাছে এসেছিল, তারা, সেই অনুযায়ী,  শৈশব থেকে প্রশিক্ষিত হয়েছে ... ভারতীয় মান অনুযায়ী, তারা এমনকি স্বাস্থ্যকর নীতিগুলিও জানেন না। পরিশোধনের প্রশ্ন কি? তুমি দেখ। ভারতে পদ্ধতি শৈশব থেকে, একটি শিশু স্নান গ্রহণ করার জন্য প্রশিক্ষিত হয়, সকালে দাঁত ধোয়া। হ্যাঁ। আমি মনে করি, যখন আমার দ্বিতীয় ছেলে চার বছর বয়সী ছিল, তাই ব্রেকফাস্টের আগে, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম , "আমাকে তোমার দাঁত দেখাও।" তাই সে দেখাবে ..., "হ্যাঁ।" "ঠিক আছে, তুমি তোমার দাঁত ধুয়েছ। ঠিক আছে। তারপর তাকে ব্রেকফাস্ট নিতে অনুমতি দেওয়া হয়। " তাই এই প্রশিক্ষণ আছে। কিন্তু এখানে, এই দেশে, প্রশিক্ষণ ... অবশ্যই, কোথাও আছে, কিন্তু খুব কঠোর নয়। সুতরাং এটা কোন ব্যাপার না, হরে কৃষ্ণ জপ কর। তাহলে সবকিছু আসবে। সবকিছু আসবে।  
প্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন - আমরা ইতিমধ্যেই এটি আলোচনা করেছি যে, এর জন্য কোন যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না ভগবানকে প্রীত করতে, তাঁকে সন্তুষ্ট করতে, তোমার কোন পূর্ব যোগ্যতার দরকার নেই ওহ্‌ তোমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পাশ করতে হবে অথবা তোমাকে রক্‌ফেলার বা ফোর্ড -এর মতো ধনী হতে হবে অথবা এটা হতে হবে, ওটা হতে হবে - কোন শর্ত নেই। অহৈতুকী অপ্রতিহতা। যদি তুমি কৃষ্ণকে ভালবাস, তা কখনও প্রতিহত করা যায় না। বাধা পাবে না এই মার্গ উন্মুক্ত। তোমাকে কেবল ঐকান্তিক হতে হবে। ব্যাস্‌। তখন শ্রীকৃষ্ণ তোমার রাস্তা পরিষ্কার করবেন। এবং যদি কোন ঐকান্তিকতা না থাকে, তাহলে কৃষ্ণের মায়াশক্তি থাকবে। সে সর্বদাই কিছু না কিছু প্রতিবন্ধকতা এনে দেবে, "এটা না, এটা না, এটা না"প্রহ্লাদ মহারাজ সিদ্ধান্ত করেছিলেন যে, "যদিও আমি একটি শিশু, আমার কোন শিক্ষা নেই, আমি বেদ শিক্ষা করিনি এবং নাস্তিক পিতার সন্তান হয়েছি, নীচ জন্ম, সব দোষে পূর্ণ... ভগবানকে ধার্মিক বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা আরাধনা করেন, বৈদিক প্রার্থনা নিবেদন করেন, ব্রাহ্মণেরা উচ্চ সংস্কৃতিসম্পন্ন আমার সেই ধরণের কোন যোগ্যতা নেই। কিন্তু তবু উন্নত দেবতারা আমাকে অনুরোধ করেছেন অর্থাৎ ভগবান আমার দ্বারাও শান্ত হতে পারেন। নয়তো তাঁরা আমার নাম কেন বলতেন? তাই আমার যে যোগ্যতাই থাকুক না কেন, যাই আমার আছে না কেন, আমি তা কৃষ্ণকে অর্পণ করতে পারি।" আমাদের এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন হচ্ছে এই রকম যে, তোমার যাই যোগ্যতা আছে না কেন, তাই যথেষ্ট তুমিসেই যোগ্যতা দিয়েই শুরু কর তোমার যোগ্যতা দিয়েই তুমি কৃষ্ণসেবা কর কারণ আসল যোগ্যতা হচ্ছে - তোমার সেবার মনোভাব । সেটিই আসল যোগ্যতা তাই সেই মনোভাব বাড়াতে চেষ্টা কর, বাহ্যিক যোগ্যতা নয়, সৌন্দর্য, ধনসম্পদ, জ্ঞান, এটা ওটা , না এসবের কোন মূল্য নেই। এসব তখনই মূল্যবান যখন তা কৃষ্ণসেবায় লাগে যদি তুমি খুব ধনী কেউ হও, তোমার সম্পদ কৃষ্ণসেবায় লাগাতে পার ... তা ঠিক আছে। কিন্তু তোমার আলাদা করে অনেক ধনী হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এই ভাবেই তুমি কৃষ্ণের সেবা করতে পারবে
 
তাই প্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন, নীচো অজয়া গুণবিসর্গম্‌ অনুপ্রবিষ্টঃ পূয়েত যেন পুমান্‌ অনুবর্ণিতেন ([[Vanisource:SB 7.9.12|ভাগবতম 7.9.12]])। এখন, কেউ প্রশ্ন করতে পারে, প্রহ্লাদ তো অশুদ্ধ পিতার থেকে জন্মেছে এটা কেবল যুক্তিমাত্র। প্রহ্লাদ অশুদ্ধ নন। কেবল তর্কের খাতিরে তিনি নীচ পিতা, বা পরিবার থেকে জন্ম নিয়েছিলেন, অথবা আরও আরও অনেক অনেক কিছু বলতে পারে কিন্তু প্রহ্লাদ মহারাজ বলেন, "আমি যদি কেবল ভগবানের গুণ মহিমা করতে শুরু করি , তাহলেই আমি পবিত্র হব"আমি কীর্তনের দ্বারা শুদ্ধ হব ... এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র শুদ্ধিকরণের পন্থা এমন নয় যে আমাকে অন্য কোন পন্থার মাধ্যমে শুদ্ধ হতে হবে, তারপর আমি হরে কৃষ্ণ কীর্তন করব। না। আমাদের এই কীর্তন করতে হবে। তাহলেই আমরা শুদ্ধ হতে পারব। তোমরা শুদ্ধ হতে পারবে। জপ কীর্তন শুরু কর। যে অবস্থাতেই আছ না কেন, সেটা কোন ব্যাপার নয় প্রকৃতপক্ষে আমি এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন শুরু করেছিলাম - এমন নয় যে এঁরা সবাই শুদ্ধ অবস্থাতে আমার কাছে এসেছিল এটা সকলেই জানে যে, যারা আমার কাছে এসেছিল তাদের শৈশব অবস্থার শিক্ষা এমনই ছিল... ভারতীয় মান অনুযায়ী, ওরা এমনকি পরিষ্কার থাকতেও জানত না। শুদ্ধিকরণের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? ভারতীয় ব্যবস্থায়, শিশুকাল থেকেই তাকে সকালে উঠে দাঁত মাজতে, স্নান করতে শেখান হয়। হ্যাঁ। আমার মনে আছে, আমার দ্বিতীয় সন্তান যখন চার বছরের ও খেতে বসার আগে আমি ওকে জিজ্ঞাসা করতাম, "তোমার দাঁত দেখাও" তখন সে দাঁত দেখাত... "হ্যাঁ" ঠিক আছে, তুমি দাঁত মেজেছ, তাহলে ঠিক আছে। তাহলে তুমি সকালের প্রসাদ পেতে পার"। এইসব শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে, এই দেশে, এই শিক্ষা... অবশ্য, কোথাও কোথাও আছে। কিন্তু এতোটা কড়াকড়ি নেই। যাইহোক এসব কিছু না। হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন কর। হরে কৃষ্ণ কীর্তন করতে শুরু কর। তাহলে সবকিছুই আসবে। সবই আসবে।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 10:15, 2 December 2021



Lecture on SB 7.9.11-13 -- Hawaii, March 24, 1969

প্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন - আমরা ইতিমধ্যেই এটি আলোচনা করেছি যে, এর জন্য কোন যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না ভগবানকে প্রীত করতে, তাঁকে সন্তুষ্ট করতে, তোমার কোন পূর্ব যোগ্যতার দরকার নেই ওহ্‌ তোমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পাশ করতে হবে অথবা তোমাকে রক্‌ফেলার বা ফোর্ড -এর মতো ধনী হতে হবে অথবা এটা হতে হবে, ওটা হতে হবে - কোন শর্ত নেই। অহৈতুকী অপ্রতিহতা। যদি তুমি কৃষ্ণকে ভালবাস, তা কখনও প্রতিহত করা যায় না। বাধা পাবে না এই মার্গ উন্মুক্ত। তোমাকে কেবল ঐকান্তিক হতে হবে। ব্যাস্‌। তখন শ্রীকৃষ্ণ তোমার রাস্তা পরিষ্কার করবেন। এবং যদি কোন ঐকান্তিকতা না থাকে, তাহলে কৃষ্ণের মায়াশক্তি থাকবে। সে সর্বদাই কিছু না কিছু প্রতিবন্ধকতা এনে দেবে, "এটা না, এটা না, এটা না"। প্রহ্লাদ মহারাজ সিদ্ধান্ত করেছিলেন যে, "যদিও আমি একটি শিশু, আমার কোন শিক্ষা নেই, আমি বেদ শিক্ষা করিনি এবং নাস্তিক পিতার সন্তান হয়েছি, নীচ জন্ম, সব দোষে পূর্ণ... ভগবানকে ধার্মিক বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা আরাধনা করেন, বৈদিক প্রার্থনা নিবেদন করেন, ব্রাহ্মণেরা উচ্চ সংস্কৃতিসম্পন্ন আমার সেই ধরণের কোন যোগ্যতা নেই। কিন্তু তবু উন্নত দেবতারা আমাকে অনুরোধ করেছেন অর্থাৎ ভগবান আমার দ্বারাও শান্ত হতে পারেন। নয়তো তাঁরা আমার নাম কেন বলতেন? তাই আমার যে যোগ্যতাই থাকুক না কেন, যাই আমার আছে না কেন, আমি তা কৃষ্ণকে অর্পণ করতে পারি।" আমাদের এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন হচ্ছে এই রকম যে, তোমার যাই যোগ্যতা আছে না কেন, তাই যথেষ্ট তুমিসেই যোগ্যতা দিয়েই শুরু কর তোমার যোগ্যতা দিয়েই তুমি কৃষ্ণসেবা কর কারণ আসল যোগ্যতা হচ্ছে - তোমার সেবার মনোভাব । সেটিই আসল যোগ্যতা তাই সেই মনোভাব বাড়াতে চেষ্টা কর, বাহ্যিক যোগ্যতা নয়, সৌন্দর্য, ধনসম্পদ, জ্ঞান, এটা ওটা , না এসবের কোন মূল্য নেই। এসব তখনই মূল্যবান যখন তা কৃষ্ণসেবায় লাগে যদি তুমি খুব ধনী কেউ হও, তোমার সম্পদ কৃষ্ণসেবায় লাগাতে পার ... তা ঠিক আছে। কিন্তু তোমার আলাদা করে অনেক ধনী হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এই ভাবেই তুমি কৃষ্ণের সেবা করতে পারবে

তাই প্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন, নীচো অজয়া গুণবিসর্গম্‌ অনুপ্রবিষ্টঃ পূয়েত যেন পুমান্‌ অনুবর্ণিতেন (ভাগবতম 7.9.12)। এখন, কেউ প্রশ্ন করতে পারে, প্রহ্লাদ তো অশুদ্ধ পিতার থেকে জন্মেছে এটা কেবল যুক্তিমাত্র। প্রহ্লাদ অশুদ্ধ নন। কেবল তর্কের খাতিরে তিনি নীচ পিতা, বা পরিবার থেকে জন্ম নিয়েছিলেন, অথবা আরও আরও অনেক অনেক কিছু বলতে পারে কিন্তু প্রহ্লাদ মহারাজ বলেন, "আমি যদি কেবল ভগবানের গুণ মহিমা করতে শুরু করি , তাহলেই আমি পবিত্র হব"। আমি কীর্তনের দ্বারা শুদ্ধ হব ... এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র শুদ্ধিকরণের পন্থা এমন নয় যে আমাকে অন্য কোন পন্থার মাধ্যমে শুদ্ধ হতে হবে, তারপর আমি হরে কৃষ্ণ কীর্তন করব। না। আমাদের এই কীর্তন করতে হবে। তাহলেই আমরা শুদ্ধ হতে পারব। তোমরা শুদ্ধ হতে পারবে। জপ কীর্তন শুরু কর। যে অবস্থাতেই আছ না কেন, সেটা কোন ব্যাপার নয় প্রকৃতপক্ষে আমি এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন শুরু করেছিলাম - এমন নয় যে এঁরা সবাই শুদ্ধ অবস্থাতে আমার কাছে এসেছিল এটা সকলেই জানে যে, যারা আমার কাছে এসেছিল তাদের শৈশব অবস্থার শিক্ষা এমনই ছিল... ভারতীয় মান অনুযায়ী, ওরা এমনকি পরিষ্কার থাকতেও জানত না। শুদ্ধিকরণের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? ভারতীয় ব্যবস্থায়, শিশুকাল থেকেই তাকে সকালে উঠে দাঁত মাজতে, স্নান করতে শেখান হয়। হ্যাঁ। আমার মনে আছে, আমার দ্বিতীয় সন্তান যখন চার বছরের ও খেতে বসার আগে আমি ওকে জিজ্ঞাসা করতাম, "তোমার দাঁত দেখাও" তখন সে দাঁত দেখাত... "হ্যাঁ" ঠিক আছে, তুমি দাঁত মেজেছ, তাহলে ঠিক আছে। তাহলে তুমি সকালের প্রসাদ পেতে পার"। এইসব শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে, এই দেশে, এই শিক্ষা... অবশ্য, কোথাও কোথাও আছে। কিন্তু এতোটা কড়াকড়ি নেই। যাইহোক এসব কিছু না। হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন কর। হরে কৃষ্ণ কীর্তন করতে শুরু কর। তাহলে সবকিছুই আসবে। সবই আসবে।