BN/Prabhupada 0137 - জীবনের লক্ষ্য কি? ভগবান কি?

Revision as of 08:44, 3 December 2021 by Soham (talk | contribs)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 7.4 -- Nairobi, October 31, 1975

হৃষীকেশঃ"অনুবাদ - পৃথিবী, জল, বায়ু, অগ্নি, আকাশ, মন, বুদ্ধি এবং মিথ্যা অহংকার - একসঙ্গে এই আটটি উপাদান আমার পৃথক জড় শক্তি।"

প্রভুপাদঃ

ভূমিরাপোহনলো বায়ুঃ
খং মনো বুদ্ধিরেব চ
অহঙ্কার ইতীয়ং মে
ভিন্না প্রকৃতিরষ্টধা
(ভ.গী ৭.৪)

কৃষ্ণ নিজেকে ব্যাখ্যা করেছেন। ভগবান ব্যাখ্যা করেছেন ভগবান কি? এটা বাস্তব জ্ঞান। যদি আপনি ভগবানের উপর অনুমান করেন, এটি সম্ভব নয়। ভগবান সীমাহীন তুমি বুঝতে পারছ না। ভগবান কৃষ্ণ প্রথমে বলেছেন, অসংশয়ং সমগ্রং মাং যথা জ্ঞাস্যসি তচ্ছৃণু (ভ.গী. ৭.১) সমগ্রং। সমগ্র মানে যা কিছু... অথবা সমগ্র মানে সম্পুর্ণ। তাই যে কিছু বিষয় অধ্যয়ন এবং জ্ঞানের জন্য আছে, সবমিলিয়ে এক। ভগবান সবকিছু্র মোট যোগফল। অতএব তিনি নিজেকে ব্যাখ্যা করতে শুরু করেন

প্রথমত, কারণ আমাদের কাছে ভগবানের কোন তথ্য নেই- কিন্তু কার্যত আমরা বিশাল জমি, বিশাল জল, সমুদ্র, বিশাল আকাশ দেখতে পাব, তারপর আগুন। অনেক জিনিস, জড় জিনিস। জড় জিনিস, এছাড়াও মন হচ্ছে জড়। এবং তারপর অহঙ্কার সবাই ভাবছেন যে "আমি কিছু। আমি ..." কর্তাহম ইতি মন্যতে। অহঙ্কার-বুমুঢ়াত্মা (BG 3.27)। এই মিথ্যা অহঙ্কার। এই অহঙ্কার মানে, মিথ্যা অহঙ্কার, এবং সত্য অহঙ্কারও আছে। এই সত্য অহঙ্কার হচ্ছে অহম ব্রহ্মাস্মি, এবং মিথ্যা অহঙ্কারঃ'আমি ভারতীয়," "আমি আমেরিকান", আমি আফ্রিকান," আমি ব্রাহ্মন," আমি ক্ষত্রিয়",আমি এই" এই হচ্ছে মিথ্যা অহঙ্কার। সুতরাং এই বর্তমান সময়ে... বর্তমান সময়েই নয়, সর্বদা, আমরা এই সব জিনিস দ্বারা বেষ্টিত হয়ে আছি। এটা আমাদের দর্শনের শুরুঃ এই জমি কোথা থেকে এল? এই জল কোথা থেকে এল? অগ্নি কোথা থেকে এল? এগুলি প্রাকৃতিক অনুসন্ধান। কোথা থাকে এই আকাশ এল? কিভাবে তাদের আকাশে স্থাপন করা হল, অনেক লক্ষ লক্ষ এবং লক্ষ কোটি? সুতরাং এগুলি বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের তদন্ত। এটি থেকে দার্শনিক জীবনের শুরু। অতএব যারা চিন্তাশীল মানুষ, ধীরে ধীরে, তারা পরম পুরুষ কৃষ্ণকে বোঝার জন্য উদ্গ্রীব হয়। সুতরাং কৃষ্ণ আছেন, এবং কৃষ্ণ বর্ণনা করেছেন নিজেকে, আমি এইরকম।" কিন্তু দুভাগ্য বশতঃ আমরা কৃষ্ণকে বুঝতে পারি না, আমরা চেষ্টা করবো জল্পনাকল্পনা করতে ভগবান কি? এটা আমাদের রোগ। কৃষ্ণ বর্ননা করেছেন নিজেকে, ভগবান নিজের বর্ননা করেছেন। আমরা বিবৃতি নেব না, কিন্তু আমরা অস্বীকার করব। এবং আমরা কোন মাথা এবং পা ছাড়া ভগবানকে গ্রহণ করবো, অনেক কিছু। এটি আমাদের রোগ। অতএব, পূর্ববর্তী শ্লোকে এটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে,

মানুষ্যানং সহশ্রেসু
কশ্চিদ যততি সিদ্ধ্যয়ে
যততামপি সিদ্ধানাম
কশ্চিন মাং বেত্তি তত্ত্বতঃ
(ভ.গী. ৭.৩)

অনেক মিলিয়ন মানুষের মধ্যে এবং লাখ লাখ মানুষের মধ্যে, প্রকৃতপক্ষে তারা বুঝতে চায়, "জীবনের উদ্দেশ্য কি? ভগবান কি? আমার সম্পর্ক কী?" কেউ আগ্রহী নয় ঠিক যেমন ... স এব গো-খর (শ্রী. ভা. ১০.৮৪.১৩)। সবাই বিড়াল এবং কুকুর মত জীবনের এই শারীরিক ধারণার সঙ্গে আগ্রহী রাখতে চায়। এই হচ্ছে অবস্থান, শুধু এখনই নয়, সর্বদা, এই হচ্ছে বদ্ধ অবস্থা। কিন্তু কেউ কেউ, মণুষ্যাণাং সহস্রেষু, লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে, কেউ বুঝতে চেষ্টা করে, নিজের জীবনকে উত্তম করে তুলতে চেষ্টা করে। এবং এই ধরনের পরিপূর্ণতা থেকে ...

পরিপূর্ণতা মানে তার বাস্তবিক সাংবিধানিক অবস্থান বুঝতে পারা, তিনি এই জড় শরীর নয়; তিনি চিন্ময় আত্মা, ব্রহ্ম। এটা পরিপূর্ণতা, জ্ঞানের পরিপূর্ণতা, ব্রহ্মজ্ঞান।